somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিছু প্রশ্ন নিজের কাছে আর কিছু প্রিয়জনদের কাছে…।।(যদিও হারানো সভ্যতার মত বেশির ভাগ প্রিয়জনেরাই এখন যাদুঘরে)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ কাল নিজেকে বড্ড বেশি অচেনা লাগে। ওনেকেই বলে আমি নাকি ভীষণ রকম বদলে গেছি, নিজের কাছেও তাই মনে হয়।
প্রশ্ন হল- কেন?

আমার বদলে যাওয়াটা কার কাছে আদিক্ষেতা আর কারো কাছে অকারন অগোছালো জীবনকে প্রশ্রয় দেয়া। কিন্তু এই বদলে যাওয়াটা আমার কাছে কি তা জানার সময় কিংবা ইচ্ছা বোধ করি কারোই নেই। যে যে যার যার মন্তব্য আর খোঁচা দিতেই ব্যস্ত।

সম্ভবত এটা আমার আপনার আমাদের সবারই একটা সাধারণ সমস্যা তা হল নিজের দুঃখ টাকে সবার থেকে বড়ো করে দেখা। ভুল ও কিছুনা কারন যার যার কাছে তার দুঃখটাই বড়ো, কিন্তু আমদের সংকুচিত মস্তিস্ক এটা মেনে নিতে সবসময়ই নারাজ। কিন্তু আমরা কখনো একবারো কি ভেবে দেখি দুঃখটা যত বড়ো কিংবা ছোট-ই হোক না কেন যার দুঃখ তার সইবার ক্ষমতা কতোটুকু? না দেখিনা কারন তখন অতি সহজেই আমরা তাকে বলি “এত দুঃখ বিলাস ভালো না”।
প্রিয়জনদের কাছে প্রশ্ন –“দুঃখ যাকে প্রতি মুহূর্তে গ্রাস করে তার কি দুঃখ নিয়ে বিলাসিতা করার প্রয়োজন হয়?”

জীবনে চলার পথ সবসময় কণ্টকময় হবে তা জরুরী নয়, এটাও জরুরী নয় যে পথ সবসময় এ মসৃণ হবে। কার পথের গল্প কখন মোড় নেয় সেটা কি কেও আগে থেকেই নির্ধারণ করতে পারে? তবে ভাগ্য-বিধাতা কে?? কেনই তার চর্চা, কেনই বা তাতে বিশ্বাস?? মূর্খের মত প্রশ্নটা করলাম যার উত্তর যারা বিশ্বাস করে তাদের কারো কাছে নেই। কারন যারা বিশ্বাস করে তাদের জন্য কন যুক্তির প্রয়োজন হয়না। সুতরাং এই প্রশ্নের উত্তর দেবার প্রয়োজন ও তাদের নেই।


যখন মস্তিস্কে যুক্তি ফুরিয়ে যায় সম্ভবত তখনই প্রশ্রয় পায় আবেগ। আবেগ নিয়ে বেশি কিছু বলার দরকার হয়না। কারন জীবনের বেশীর ভাগ সময় আমরা আবেগ দিয়ে পরিচালিত কিংবা প্রতারিত যাই বলিনা কেন আবেগই এখানে একচ্ছত্র অধিপতি। কিছু কিছু সময় আমরা এতটাই অসহায় বোধ করি তখন সান্ত্বনা গুলোকে মনে হয় ফরমালিন দেয়া কোন পন্য বিক্রির বৃথা চেষ্টা। কথাটা যদি একটু অন্যভাবে কাব্যরস মিলিয়ে লিখতাম আপনাদের পড়তে ভালো লাগতো কিন্তু আমাদের অবভস্ততার কথাটাও তো ভাবা দরকার। কি বলে, কি শুনে আমরা অভ্যস্ত...তাই না?


এত কিছু বলার কারন টা হল যদি কারো দুঃখে দুঃখিত হতে না পারি কিংবা তাকে সহযোগিতা করতে না পারি অন্তত আমরা তাকে যেন বিভ্রান্ত কিংবা অশান্ত না করি।। যাই যাক যতটুকুই যাকনা কেন, যার যায় সেই বুঝে তার আবেগ আর তার পেছনের যুক্তি। তার আবেগ যদি আমাদের চোখের পাশ কাটিয়ে যায় কিংবা যুক্তি যদি আমাদের অলক্ষে অন্যত্র হারিয়ে যায় তবে এটা তার দোষ কি? কষ্টের এমন মুহূর্তে সে যদি তার আবেগ কিংবা যুক্তি দেখানোর পরিস্থিতিতে থাকতো তবে সে তো ভালই থাকতো। কষ্টে থাকতো না।

প্রিয়জনদের কাছে প্রশ্ন- আমার কষ্ট কি তুমি আর তোমাদের না ভাবায় তবে তোমরা ভেবনা কিন্তু আমরা কষ্টকে নিলামে তুলছো কেন? আমার কষ্টের ভাগ না নিতে পার, নিওনা তবে আমার কষ্টকে কষ্ট দিচ্ছ কেন? তোমরা যদি ভাবো কষ্ট আমার সাময়িক বিলাসিতা, ভাবো...তবে আমার কষ্টের বিলাসিতায় তোমাদের কমদামি চেতনার বিস্তার ঘটাচ্ছ কেন?
হ্যাঁ, আমি আবেগ কে প্রশ্রয় দিয়েছি, আবেগ কে প্রশ্রয় দেয়া যদি ভুল হয় তবে আমি ভুল করেছি, এই ভুল সবাই করে আমিও না-হয় করলাম ক্ষতি কি???


নিজের কাছে প্রশ্ন- কেন প্রিয়জন দের কাছে এত প্রশ্ন? কেনই বা তাদের অস্থির মনভাবনা কে আমি প্রশ্নবিদ্ধ করছি? আদৌ কি আমার কিংবা তাদের কিছু এসে যায়? প্রিয়জন দের তো যুক্তির মারপ্যাঁচে অনেক আগেই হারিয়েছি...আবেগের যুগে তারা সম্ভবত যাদুঘরে।
যুক্তির যুগে যাদের হারিয়েছি আবগের যুগে তাদের প্রশ্ন করে আরও একবার বোকা সেজে কি লাভ?


ঠিক এই মুহূর্তে নচিকেতার একটি গানের কয়েকটি লাইন খুব মনে পরছে-
যখন এ মনে প্রশ্নের ঝর,
ভেঙ্গে দেয় যুক্তির খেলাঘর
তখন বাতাস অন্য কথাও
শোনায় তার উত্তর।।
যখন আমার ক্লান্ত চরণ
অবিরত বুকে রক্ত ক্ষরণ
খুঁজে নিয়ে মন, নির্জন কোন
কি আর করে তখন?
স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন...স্বপ্ন দেখে মন।।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৪৪
৭টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×