গতকাল ছিল শোক দিবস। কিন্তু মাইকের ক্রমাগত অত্যাচারে প্রান ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছিল। আচ্ছা, শোক হিসেবে দেশাত্মবোধক গান এর ব্যবস্থা বাদ দিয়ে দোয়া দরূদ কিংবা দান করার বিষয়টাকে বেশি গুরুত্ব দিলে ভালো হতো না?
রান্না করা খিচুড়িটা এলাকার বাড়িওয়ালাদের না পাঠিয়ে নিম্নশ্রেণীর ভাড়াটিয়াদের কিংবা এতিমদের দিলে ভালো হতো না?
আচ্ছা, অন্তত বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশে কোনো নতুন পরিবর্তন হয়েছে কি আজ থেকে? কোনো নতুন নিয়ম যা সবার উপকারে আসবে? আমি জানতে চাচ্ছি কেবল।
গান প্লে করা মানুষগুলোর মধ্যে কতজন মোনাজাতে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছে? কারো প্রার্থনায় কি 'বাংলাদেশ' শব্দটা উচ্চারিত হয়?
বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন - "দেশ স্বাধীন করলে সবাই পায় সোনার খনি, আমি পেয়েছি চোরের খনি!"
আচ্ছা, জালিয়াতি বা ঘুষ ব্যবস্থা কমানোর উদ্দেশ্যে কোনো নতুন নিয়ম কি তৈরী হয়েছে যা আজ থেকে বাস্তবায়িত হবে?
"মুক্তির সংগ্রাম", "স্বাধীনতার সংগ্রাম " শব্দগুলো শব্দতেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেলো। ধর্ষিতার বাবা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেওয়া মানুষটির আদর্শ আমাদের ঠোঁটের কোণা ছেড়ে কর্মে তেমন আসেনি। কিছু মানুষ আড়ালে ধর্ষক, জনসম্মুখে ধর্ষিতার ভাই।
আমি গত রাত থেকে একটার পর একটা দেশাত্মবোধক গান শুনছি। ইচ্ছে করে শুনছি না, এলাকায় কারা যেনো বাজিয়ে চলছে। স্বাধীনতা দিবসের গান, শহীদ দিবসের গান, বিজয় দিবসের গান, দেশের রূপ বর্ণনার গান সব একসাথে বাজছে। শোক পালনের জন্য গান চলছে। হয়তো আমি কম বুঝি তাই আমার কাছে বিষয়টা অদ্ভুত লাগছে। শোক দিবস মানেই কি দেশের সব গান উচ্চশব্দে বাজানো?
আমি রাজনীতির ধার ঘেষিনি কখনো। সাধারণ পরিবারের সন্তান। যে ভালো কিছুর উদ্যোগ নেয় তাকেই অসম্ভব ভালো লাগে। হোক সে যে দলের!!
আর বঙ্গবন্ধু দল দেখেননাই, দেশ দেখেছিলেন।
যদি রাত পোহালেই শোনা যেতো, বঙ্গবন্ধু মরে নাই!!!
আপনাকে সত্যি দরকার ছিলো খুব।।
মুজিব স্মরণে শুধু গান নয়, তার সম্পন্ন করতে না পারা ভালো কাজের ইচ্ছা গুলোর কিছুটা অন্তত সম্পন্ন হোক।
আশা করি আগামী বছর গুলোতে শোক দিবস ধর্মীয় বিধান মোতাবেক করা হবে।