somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জঙ্গীদের গডফাদার মীর কাসেমের ফুঁটো সমূহ

১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ১০:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে গত বছর থেকে মুক্তিযুদ্ধকালীন নানা অপরাধের অভিযোগ তদন্ত শুরু হয়। আর এরপর থেকেই তিনি নিজেও অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে নানা কৌশলের আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা চালাতে থাকেন। এমনকি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের সঙ্গে সঙ্গে ২০১০ সালেই তিনি সহযোগিতা, স্বার্থরক্ষার অনুরোধ করে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেন। তাতে ব্যয় করেন ২৫ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটি টাকা।

কে এই মীর কাসেম আলী?


নানামুখী ব্যবসা-বাণিজ্যে তিনি গড়ে তোলেন বিত্তের পাহাড়। কাসেমের সাত-পাঁচ খবর নিয়ে পাওয়া গেছে নানা তথ্য। মীর কাসেম আলী বর্তমানে দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া তিনি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, ইবনে সিনা ট্রাস্টের সদস্য (প্রশাসন) এবং কেয়ারি হাউজিং ও ইডেন শিপিং লাইন্সের চেয়ারম্যান। তিনি রাবেতা আলম আল ইসলামীর এদেশীয় পরিচালক। মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানার চালা গ্রামের বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ড (পিডব্লিউডি) কর্মচারী তৈয়ব আলীর চার ছেলের মধ্যে দ্বিতীয় মীর কাসেম আলী। ডাক নাম পিয়ারু, এলাকায় সবাই চেনে মিন্টু নামে।

স্বাধীনতার পর মীর কাসেম পালিয়ে ঢাকা চলে আসেন। মিন্টু নামে সেসময় নিজের পরিচয় দিতে শুরু করেন তিনি। এমনকি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলেও দাবি করতেন। কিন্তু তাতে শেষরক্ষা হয়নি। স্বাধীনতাবিরোধী আলবদর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে পড়ার পর আরেক ঘাতক মঈনুদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে চলে যান লন্ডন। সেখান থেকে সৌদি আরব। সেখানে স্বাধীনতাবিরোধীদের সংগঠিত করতে থাকেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশে ফিরে আসেন মীর কাসেম। তার বিরুদ্ধে আনা প্রাথমিক অভিযোগে জানা যায়, মীর কাসেম আলী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আলবদর বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। স্বাধীনতাযুদ্ধের আগে বাবার চাকরির সুবাদে চট্টগ্রামে যান।


চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র থাকার সময় থেকেই তিনি মওদুদীর মৌলবাদী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। জামায়াতের অঙ্গসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের দায়িত্ব পান স্বাধীনতার আগে। স্বাধীনতাবিরোধী তত্পরতার সময় ছাত্রসংঘের নতুন প্রাদেশিক পরিষদ গঠন হয়। মীর কাসেম হন তার সাধারণ সম্পাদক। সেসময় সংগঠনটির সভাপতি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন নানা অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ। এরপর ইসলামী ছাত্রসংঘ নাম বদলে ইসলামী ছাত্রশিবির করা হলে মীর কাসেম হন প্রথম কেন্দ্রীয় সভাপতি। এরপর রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের নামে রাবেতা আল ইসলামী গড়ে তোলেন। ধীরে ধীরে তৈরি করেন ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা ট্রাস্ট ও ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস।

গতকাল তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ারা জারির আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। সেখানে তারা দাবি করেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের নানা দেশ সফর করে নিজে ও পারিবারিকভাবে ট্রাইব্যুনালের পরিচালিত বিচারপদ্ধতি নিয়ে মিথ্যাচার করে আসছেন তিনি। এই বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনাও ইতোমধ্যে করেছেন। তার মতো প্রভাবশালী অভিযুক্ত ব্যক্তি কারাগারের বাইরে থাকলে সুষ্ঠু তদন্ত বাধাগ্রস্ত হবে বলেও দাবি করেন রাষ্ট্রপক্ষ।


অভিযোগ থেকে বাঁচতে ২শ’ কোটি টাকা অভিযোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মীর কাশেম আলী যুক্তরাষ্ট্রের এক লবিস্ট গ্রুপকে ২শ’ কোটি টাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। ২০১০ সালের মে মাসে সহযোগিতা, স্বার্থরক্ষার অনুরোধ করে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেন তিনি। তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম ঠেকাতেই এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ায় এ চুক্তিপত্রকে ধরেই প্রথম পর্যায়ে বিচারের সম্ভাব্য তালিকাভুক্ত হয়েছেন মীর কাশেম আলী। মীর কাশেম আলী ও লবিস্ট ফার্মের পক্ষে জেনারেল কাউন্সেল এন্ড্রু জে ক্যামেরুজ স্বাক্ষরিত চুক্তিতে উল্লেখ আছে, লবিস্ট নিয়োগের জন্য খরচ করতে হয়েছে ২৫ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটি টাকা।

এ ছাড়াও গ্রেফতার এড়াতে তিনি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মহলে অঢেল টাকা ঢেলেছেন বলে আলোচনা রয়েছে।
























সংগৃহিত
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নেতানিয়াহুও গনহত্যার দায়ে ঘৃণিত নায়ক হিসাবেই ইতিহাসে স্থান করে নিবে

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৩৮

গত উইকেন্ডে খোদ ইজরাইলে হাজার হাজার ইজরাইলি জনতা নেতানিয়াহুর সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।
দেখুন, https://www.youtube.com/shorts/HlFc6IxFeRA
ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে নেতানিয়াহুর এই হত্যাযজ্ঞ ইজরায়েলকে কতটা নিরাপদ করবে জনসাধারণ আজ সন্দিহান। বরং এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×