আওয়ামীলিগের অপর নাম বাকশাল।
এটা ঐতিহাসিক ও গানীতিক ভাবে প্রমানিত।
বলবেন কিভাবে ?
হ্যা, উত্তর খুবই সোজা। সরল অংকের মত।
আওয়ামীলিগ দল হিসেবে মানে বংগবন্ধুর নীতি-বিশ্বাস, আদর্শ, মুলনীতি। কথাটি আমার মুখের কথা না, বাংলাদেশের রাজনীতির হাল-চাল সম্পর্কে যারা খোজ খবর রাখেন তারা সবাই একবাক্যে একথা স্বীকার করবেন( ঘাড় ত্যারা করে কেউ অস্বীকার করলে তা ভিন্ন কথা)। দলটির রাজনৈতিক নীতি-আদর্শ, মুল্যবোধ সবই ই মরহূম বংগবন্ধুর রেখে যাওয়া নীতি-বিশ্বাস, আদর্শ।
১৯৭৫ সালে যখন বংগবন্ধুর প্রয়ান ঘটে তখন কিন্তু তিনি অয়ামীলিগের প্রধান ছিলেন না, ছিলেন বাকশালের। কারন, নিহত হবার কিছুকাল আগে তিনি সব দল-মতের রাজনৈতিক কার্যক্রম কে রহিত করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিলেন। গনমাধ্যম সহ সকল সেক্টরেই তার বিরুদ্ধমতের ( অবশ্যই তা রাজনৈতিক) ম্যাকানিজম কে মাজা ভেংগে দেন। হত্যা করান অসংখ্য রাজনৈতিক মতবিরোধীদের। একথা গুলো অস্বীকার করার কোনই উপায় নেই। বহুদলীয় রাজনীতির কবর রচয়ীতা হিসেবে সুনাম-দূর্নাম যাই প্রাপ্য হোক না কেন, তা চীরকাল তার নামের পাশেই শোভা পাবে।
যাই হোক, ৭৫ পট পরিবর্তনের পরে মরহুম জেনারেল জিয়াউর রহমান যখন আবার বহুদলীয় রাজনীতি ফিরিয়ে আনেন তখন আওয়ামীলিগ ও জেনারেল জিয়ার দয়ার বলে আবার রাজনীতিতে ফিরতে পারে। যখন রাজনীতিতে ফেরে, তখন কিন্তু দলের নাম আওয়ামীলিগই রাখা হয়। কিন্তু সেই থেকে আজ পর্যন্ত তাদের সমগ্র কার্যকলাপে, কথা বার্তায় তারা বংগবন্ধুর নীতি-বিশ্বাস, আদর্শ, মুলনীতিকেই নিজেদের নীতি-বিশ্বাস, আদর্শ, মুলনীতি হিসেবে মেনে ছলছে।
তাহলে হিসেবে কি বলে ?
কাগজে কলমে, মুখে গনতন্ত্রের কথা বল্লেও ওরা কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বাকশালীই রয়ে গ্যাছে। তার জন্য প্রমানও নেহায়েত কম মওজুদ নেই। একটা দুইটা নয়, শত শত প্রমান আছে।
যদি না জ্ঞানপাপী হন, এবং বিবেক বুদ্ধি দাদাদের রুপীয়ার কাছে এখনো বিকিয়ে না দিয়ে থাকেন তবে কি সেগুলো আমাকে চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে??
নিশ্চই না ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৫৯