উত্তরার দিয়াবাড়িতে কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র করতে চাইলো সরকার। আমরা এলাকাবাসী রুখে দিলাম। অভিজাত এলাকায় কোয়ারেন্টিন কেনো? ঘামে ভেজা টাকায় ফ্ল্যাট কিনেছি কোয়ারেন্টিন বানানোর জন্য? যাও ফুটো! ফুটে দূরে যাও। দূরে গিয়ে উড়ে যাও!
রিজেন্ট হসপিটাল করোনা সেবা দিতে চাইলো। আমরা এলাকাবাসী আবারো ফুঁসে উঠলাম। আবাসিক এলাকার হাসপাতালে করোনা কেনো? তোমরা মরুভূমি চোখে দেখো না? যাও মরুভূমিতে যাও!
কিশোরগঞ্জে এক ড্রাইভার হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে থাকতে চাইলো। আমরা এলাকাবাসী বললাম, ‘আমাদের এলাকায় এসব চলবে না বাপু! পিটুনি চেনো পিটুনি? পিটিয়ে পিঠের ছাল তুলে দেবো!’ বেচারা ড্রাইভার জান বাঁচাতে রাতের আঁধারে পালিয়ে গেলো।
আমরা চুকচুক করে বললাম, ‘চায়না সাতদিনে হাসপাতাল বানিয়ে ফেললো তোমরা কি ছালটা তুললা?’ আমাদের চুকচুকানিতে আকিজ গ্রুপ এগিয়ে এলো। কাজও শুরু হলো। আমরা কাউন্সিলরসহ হাজার হাজার জনতাকে সাথে নিয়ে থ্রেট দিয়ে এলাম। ‘বিড়ি বেচা টাকায় আমরা পবিত্র করোনা হাসপাতাল হতে দেবো না। সেটাও আবার আমাদের বিশুদ্ধ মহল্লায়! চাইলে তোমরা চাঁদে হাসপাতাল করো, নেপচুনে করো, এখানে কেনো??’ আমাদের ধমকে হাসপাতালের কাজ থেমে গেলো।
খিলগাঁওয়ে আমরা সাইনবোর্ড টানিয়ে দিলাম। শুধু করোনা না, করোনার বাপ দাদা চোদ্দগুষ্টি এমনকি করোনায় মরা লাশকেও আমরা কবরে আসতে দেবো না! এটা আমাদের স্বর্গীয় কবরস্থান! এখানে করোনা ফরোনার জমিদারি চলবে না! করোনা ভয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেলো!
আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সেই সাথে সচেতন এলাকাবাসী। আমার এলাকায় করোনা? আমি লাত্থি মারি করোনা
(সংগৃহিত : ফেসবুকে আমার এক বন্ধুর পোস্ট )
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১০