somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ড: মুসা বিন শমসের, আন্তর্জাতিক রহস্য মানব!

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
যেখানে বাংলাদেশ সরকার ঋন নেয় ইন্ডিয়ান বেসরকারি ব্যাংক থেকে সেখানে যদি শুনি কোন বাংলাদেশী নাগরিক ঋন দেয় ইউরোপিয়িন ব্যাংক গুলোকে!!


এটি হচ্ছে আরব্য রজনীর অকল্পনীয় এক রাজকীয় লোক কাহিনীর এক বাস্তব জীবনী চিত্র। তিনি হচ্ছেন একজন রক্ত-মাংসের জীবন্ত কিংবদন্তী ও প্রান চঞ্চল মানুষ। তিনি হীরা খচিত জুতা পরেন যার প্রতি জোড়া লক্ষ ডলার বলে ধারনা করা হয়। তাঁর সংগ্রহে এমনি হাজারো রত্ন খচিত জুতা রয়েছে। তাঁর পরনের কয়েকটি সু্যট স্বর্ণ সুতা খচিত। ভারতীয় দৈনিক 'দি হিন্দু' পত্রিকায় এ নিয়ে প্রকাশিত এক বিশেষ প্রতিবেদনে লিখেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক রাশিদা ভাগৎ।

তিনি প্রতিদিন গোসল করেন নির্জলা গোলাপ পানিতে। তিনি হচ্ছেন মুসা বিন শমসের। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক এবং এখানেই তিনি বসবাস করেন। বিত্ত বৈভব আর প্রাচুর্যের মাঝেও তিনি ব্যাক্তিগত জীবনে আদর্শের এক মূর্ত প্রতীক।

আমরা জানি এমন একজন সৌখিন ব্যক্তির কথা যার পোশাক, পছন্দ-অপছন্দ ও হেয়ালীপনা বৃটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্যার এন্থনি ইডেনের মত। ঊনবিংশ শতাব্দির সেরা ফ্যাশনরাজ বিউব্রামেল এর সাথেই তাঁর কেবল তুলনা চলে। আমরা আরো শুনেছি ফিলিপাইনের এক সময়ের ফাষ্ট লেডি ইমেল দ্য মারকোসের ফ্যাশন-প্রিয়তার কথা এবং যাঁর ওয়্যারড্রব ভরে থাকত ১০০ জোড়া সৌখিন জুতো। তবে কিন্তু মুসা বিন শমসেরের অবাক বিস্ময়কর বিলাসিতার কাছে ইমেল দ্য মারকোসের ফ্যাশন প্রীতি অনেকাংশে অলিক কল্পনা মাত্র।

বিশ্ববরেণ্য অসংখ পত্র-পত্রিকায় তাঁর পোশাক পরিচ্ছদ সম্পর্কে লেখা হয়েছে যে তাঁর সংগ্রহে অসংখ্য মূল্যবান স্যুট রয়েছে; তাঁকে কখনো এক স্যুটে পরিহিত অবস্থায় দু'বার দেখা যায় না। এমনি মূল্যবান প্রতিটি স্যুটের দাম ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার পাউন্ড। যা শুধু তাঁর জন্য তৈরী করা হয়েছিল। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডিজাইনার বলে খ্যাত প্রিওনী বেলভেস্ট এবং ইটালীর আবলা এবং ফ্যান্সিসকো স্মলটো ও খ্রিস্টিয়ান ডিয়রের বিশেষ ব্রান্ডের অতি মূল্যবান পোশাক-আশাক দিয়েই তাঁর সারি সারি ওয়্যারড্রব ভর্তি। তাঁর হাতের সবচেয়ে মূল্যবান ঘড়ির ডায়াল এবং ব্রেসলেট হচ্ছে হীরা খচিত। যার মূল্য অর্ধ মিলিয়ন ডলার এবং তাঁর সবচেয়ে মূল্যবান ঘড়ির বেল্ট, কাফলিঙ্ক-এর সেটের মূল্য ১.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কেবল তাঁর জন্যে প্রস্তুতকৃত এই মূল্যবান ঘড়িটি তৈরী করা হয়েছিল ২৭ মাসেরও বেশী সময় ধরে। বিশ্ব বিখ্যাত রোলেক্স কোম্পানী এই অত্যাশ্চার্য্য ঘড়িটির প্রস্তুতকারক। লন্ডনের দৈনিক দি সানডে টেলিগ্রাফ ম্যাগাজিনের এক জরিপে বলা হয়, এই আশ্চর্য্যজনক মূল্যবান ঘড়িটি পৃথিবীর তাবৎ বিখ্যাত ঘড়ির মাঝে সর্বোৎকৃষ্ট।

কেবল মাত্র বড় বড় অংকের চেক সই করতে তিনি পুরো ২৪ ক্যারেট স্বর্ণ দিয়ে তৈরী মন্ট ব্ল্যাঙ্ক কলম ব্যবহার করে থাকেন। অতি মনোমুগ্ধকর এই কলমটিতে ৭৫০০ খন্ড হীরা বসানো রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ২৬০ হাজার মার্কিন ডলার এবং এর দ্বিতীয়টি ওই কোম্পানি আর তৈরী করেনি কারন প্রিন্স মূসা এই কলমের ডিজাইনের সম্পূর্ণ স্বত্ব কিনে নিয়েছেন।

আরও আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, প্রিন্স মূসার নিত্যদিনের ব্যাবহারের শেভিং কিট, টুথ ব্যাশ, টুথ পিক সহ আরও অনেক কিছু তৈরী করা হয়েছে খাটি সোনা দিয়ে যা সমস্ত পৃথিবীতে অদ্বিতীয়।

ডঃ মুসা তাঁর ব্যবসায়িক জীবনে কোন ব্যাংক থেকে কখনই কোন ঋণ গ্রহণ করেননি বরং তিনি ইউরোপিয়ান ব্যাংকেগুলোকে ঋণ দিয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া যায়। এ বিষয়টি ভারতের বিখ্যাত দি হিন্দু পত্রিকায় প্রকাশিত সাংবাদিক রাসিদা ভাগৎ-এর বিশেষ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল। পত্রিকান্তরে প্রকাশ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বব ডোলকে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত গালফ-ইস্টিম জেট বিমানটি নির্বাচনী প্রচারণার সাহায্যার্থে ধার দিয়েছিলেন। যদিও ডোল নির্বাচনে জয়ী হননি।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে ডঃ মুসার চারিত্রিক গুনাবলী নিয়ে অসংখ্য প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে। এসব প্রতিবেদনে তাঁকে বিভিন্ন শিরোনামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সে সবের মধ্যে রয়েছে নানা উল্লেখযোগ্য শিরোনামঃ "প্রাচ্যের রাজকুমারের রূপকথার গল্প", ''মুকুটহীন এক রাজার প্রতিকৃতি'', "বিশ্বের ধনী ও শক্তিধরদের বন্ধু"। কোনটার আখ্যায় আবার বলা হয়েছে, "বিলাসিতা যাঁর নিত্য জীবনের অঙ্গ।" কিন্তু সব বিশেষণ-শিরোনাম ছাপিয়ে তিনি একজন সৎ মানুষ যার প্রমাণ পাওয়া যায় বিশ্বের বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্রে।

লন্ডনের দি সানডে ম্যাগাজিনে তাঁকে আখ্যায়িত করা হয়েছে এক আন্তর্জাতিক রহস্য মহামানব বলে। ইন্টারনেটের ওয়েব সাইটে তাঁকে "মহাজাগতিক যুগের প্রিন্স" বলা হয়েছে। টেলিগ্রাফ ম্যাগাজিনের শিরোনামে বলা হয়, "ডঃ মুসা বিন শমসের প্রচন্ড মাত্রার একজন আদর্শবান, সৎ, চারিত্রিক মহা গুণাবলী সম্পন্ন, মানবদরদী, দেশপ্রেমিক, ধনকুবের এবং আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি।"

পৃথিবীর সব শক্তিধর ও প্রভাবশালী নেতা ও ব্যক্তিত্বের কাছে তিনি অতি নিকটজন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ সিনিয়র বুশ, টনি ব্লেয়ার, সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন, মারগারেট থ্যাচার, ডেভিড ফ্রস্ট, নেলসন মেন্ডেলা তাঁর ঘনিষ্ট বন্ধু মহলের অন্তর্ভুক্ত। মার্গারেট থ্যাচার, ডেভিড ফ্রস্ট এবং নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁদের আত্মজীবনী গ্রন্থ সহস্তে স্বাক্ষর দিয়ে প্রিন্স মুসাকে উপহার দিয়েছেন। এক সময়ে বৃটিশ পত্র-পত্রিকায় প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানার সাথে তাঁর নাম জড়িত করে বেশ রসালো কিচ্ছা-কাহিনী ছাপিয়েছিল। মুসা বিন শমসেরকে অনেক জিজ্ঞাসাবাদ করে এসব ঘটনার সত্য উদঘাটিত হয়েছে। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে এ পর্যন্ত প্রকাশিত অনেক প্রতিবেদনের মুখে তিনি এক বিরাট রহস্যঘেরা ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। ১৯৯৪ সালে তিনি যখন বৃটেনের লেবার পার্টিতে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড দান করতে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তখনই তিনি বিশ্বময় সংবাদ মাধ্যমগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর প্রস্তাবটি এড়ানো হয়েছিল শুধুমাত্র একটি কারণেই যে তিনি বৃটেনের ভূমিপুত্র নন।

তাঁর গুলশানস্থ বিলাশবহুল প্রাসাদোসম ভবনের পাহারায় নিয়োজিত আছে কেতাদূরস্ত ও সশস্ত্র নিরাপত্তা প্রহরী দল। বলা হয় তাঁর ভবনের প্রতিটি আসবাবপত্র বিশেষভাবে ইটালি থেকে প্রস্তুতকৃত। তাঁর প্রাসাদের আভ্যন্তরীণ মূল্যবান সব কারুকার্য ৬ মাস পর পর পরিবর্তন করা হয়। তাঁর রাজোচিত খাদ্য ভান্ডার সবসময় পরিপূর্ণ থাকে। একটি বিশেষ মজার ব্যাপার এই যে, বিশ্ব বরেণ্য এই ধনাঢ্য প্রিন্স জীবনে কখনও মদ স্পর্শ করেননি।

তিনি আবারও বৃটিশ পত্র-পত্রিকায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছিলেন। উপলক্ষ্য ছিল তিনি এক প্রস্তাবে সে দেশের ১৫০০ একরের বিশাল ঐতিহ্যবাহী জমিদারী 'লুটন হু' ২৫ মিলিয়ন স্টালিং পাউন্ড দিয়ে ক্রয় করতে চেয়েছিলেন। আসল কথা হল, বৃটিশ সংবাদ মাধ্যমগুলো আফ্রিকা কিংবা এশিয়ার ধনী ব্যক্তিদের বৃটেনের ঐতিহ্যবাহী মূল্যবান সম্পত্তি কেনার আগ্রহটা আদৌ ভাল নজরে দেখে না। এ কারণেই মিশরীয় ধনাঢ্য ব্যক্তি ডোডি আল-ফায়েদ যখন লন্ডনের হ্যারডস্ ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর ক্রয় করেন তখন সারা বৃটেনে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তবে এখনো ডঃ মুসা বৃটিশ সংস্কৃতির একজন অকৃত্রিম প্রেমী হিসাবেই রয়েছেন। তিনি মনে করেন, বৃটিশ সাম্রাজ্য বিশ্বের মানব সভ্যতাকে অনেক কিছু দান করেছে এবং তাঁর ধারণা বিশ্বময় বৃটিশ সাম্রাজ্যে অব্যাহত থাকলে মানব সভ্যতার আরো উপকার হত। ডঃ মুসার এই মতামতটি অনেক দার্শনিকের কাছেও গ্রহণযোগ্য।

তার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, মনন ও মানসিকতায় প্রিন্স মূসা একজন অতি উচ্চ মানসিকতা সম্পন্ন ব্যাক্তি। সাধারন মানুষের সহযোগিতায় তিনি উদার এবং নিয়মানুবর্তিতায় তিনি চরম কঠোর একজন মানুষ। তিনি আদর্শ একজন দেশপ্রেমিক এবং দেশ নিয়ে তিনি ভাবেন, স্বপ্ন দেখেন। যদিও তথাকথিত বেনামী কিছু পত্রিকায় হলুদ সাংবাদিকতার প্রমানস্বরূপ প্রিন্স মূসাকে একজন দেশবিরোধী রাজাকার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে কিন্তু তার কোন যৌক্তিক প্রমান কোথাও পাওয়া যায়নি। বরং স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন এপ্রিল মাসে প্রিন্স মূসা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে আটক হন যুদ্ধ প্রস্তুতি ও পাকিস্তানীদের ঘোর বিরোধিতার কারনে এবং ডিসেম্বরে অর্ধমৃত অবস্থায় তিনি মুক্ত হন যার প্রমান পাওয়া যায় ভারতীয় প্রখ্যাত সাংবাদিক স্যার প্রবীর নিয়োগীর লেখার মাধ্যমে।

ডঃ মুসার অর্জিত বিশাল ধন-সম্পদ ও বিলাসিতার কল্পকাহিনী তাঁর শিক্ষাগত অর্জনকে আড়াল করেছে। তিনি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে কৃতিত্বের সাথে পি,এইচ,ডি লাভ করেছেন।

তাঁর পর্বতসম সম্পদের মূল্য নির্ধারণ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। ১৫ বিলিয়ন ডলার কিংবা তারও বেশী বলে ধারণা করা হয়। যা তিনি উপার্জন করেছেন স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মানব সম্পদ রপ্তানী এবং আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যাবসার মাধ্যমে। উল্লেখ্য প্রিন্স মূসাই হচ্ছেন বাংলাদেশের মানব সম্পদ রপ্তানীর স্রষ্টা। যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশে তার হাত ধরেই বাংলাদেশের মানব সম্পদ রপ্তানীর পথ উন্মোচন হয়। তিনি বঙ্গবন্ধুর খুব ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন লোক ছিলেন বলে জানা যায়। রাষ্ট্রীয় ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় বাংলাদেশ থেকে ১৯৭২ সালের পর থেকে প্রিন্স মূসার হাত ধরেই ১ কোটি ৯৭ লক্ষ লোক দুবাই, কাতার, কুয়েত, সৌদি আরব, ওমান, লিবিয়া, সাউথ কোরিয়া, ইতালি সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তাদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য পাড়ি জমিয়েছেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়েছে প্রিন্স মূসার জনশক্তি রপ্তানীর মাধ্যমে অর্জিত প্রবাসীদের পাঠানো টাকা থেকে। এ কারনেই প্রিন্স মূসাকে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানীর অগ্রদূত ও অর্থনৈতিক মুক্তির জনক বলা হয়। আশির দশকে প্রিন্স মূসা আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যাবসায়ী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং সাফল্যের ধারাবাহিকতায় তিনি বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ১০ অস্ত্র ব্যাবসায়ীর কাতারে প্রবেশ করেন। কথিত আছে প্রিন্স মূসার আন্তর্জাতিক লবিং এতটাই প্রবল শক্তিশালী যে তিনি চাইলে যে কোন রাষ্ট্রের ক্ষমতার পট পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন মাত্র কয়েক সপ্তাহে। আবার প্রিন্স মূসাকে আন্তর্জাতিক ভাবে সামরিক বিশেষজ্ঞ বলা হয় যা অনেকের অজানা। বিশ্বের বহু দেশের সামরিক বাহিনীর পুনর্ঘটনে প্রিন্স মূসার অগ্রনী ভূমিকা রয়েছে যার প্রমান আন্তর্জাতিক সামরিক দলিল এবং ইন্টারনেটে পাওয়া যায়।

জনৈক সাংবাদিক ডঃ মুসার অনেক আস্থা অর্জন করেছিলেন। সে কারণে তাকে তাঁর রক্ষিত সমস্ত স্বর্ণ, রৌপ্য, অলংকার ও মূল্যবান সম্পদ অবলোকনের সুযোগ দিয়েছিলেন। তার কাছে মনে হয়েছিল এসব যেন আরব্য রজনীর রাজা-মহারাজাদের স্তুপকৃত অত্যাশ্চার্য্য ধন-রত্নের মতো। তাঁর সহধর্মীনি কানিজ ফাতেমার আছে অঢেল অলংকার এবং সম্পদ। তাঁর ব্যবসা সংক্রান্ত তিনি খুব স্বল্প কথাই বলে থাকেন। তাঁর বিপুল ধন-সম্পদ সম্পর্কে বলা হয়, এগুলো তার অস্ত্র ও জনশক্তি রপ্তানী থেকে অর্জিত ফসল এবং তার বিরুদ্ধে দেশে বিদেশে এখন পর্যন্ত কোন অসততার প্রমান পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রিন্স মূসা একজন স্বচ্ছ ব্যাবসায়ী, তার বিরুদ্ধে কোন অর্থপাচার এবং দুর্নীতির অভিযোগ নেই। উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বরে দুদকের উচ্চপদস্ত একজন কর্মকর্তা প্রিন্স মূসাকে কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকে তলব করেন এবং প্রিন্স মূসা দুদকের সকল সন্দেহের অবসান ঘটান সকল তথ্য উপাথ্য হাজিরের মাধ্যমে। তাঁর আগেকার জীবন আরো স্বচ্ছ হয়েছে পরবর্তী দিনগুলোতে দেশ-বিদেশের পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে কুড়িয়ে পাওয়া সংবাদের ভিত্তিতে। একই দিনে সাংবাদিক সম্মেলনে পদ্মা সেতুতে ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন যা দেশব্যাপী ব্যাপক আলচিত হয় এবং প্রিন্স মূসা রাষ্ট্রীয় মহানায়ক হিসেবে আবির্ভূত হন। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ এগিয়ে যাচ্ছে এবং প্রিন্স মূসা ২য় পদ্মা সেতুতে একক ভাবে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং তিনি আশা করছেন তার এই মহৎ উদ্যোগে সরকার তাকে সহায়তা করবে। প্রিন্স মূসা স্বপ্ন দেখেন সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশের।

তিনি সর্বশেষ আলোচনায় আসেন তার ৭১ তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে। এই অনুষ্ঠানে প্রিন্স মূসা তার ফেইসবুক ফ্যানক্লাবের ফ্যানদের মধ্য থেকে সারা বাংলাদেশের সৌভাগ্যবান ৩০০ জন সাধারন ফ্যানকে তার বাসভবনে আমন্ত্রণ জানান এক রাজকীয় জমজমাট জন্মদিনের ভোজসভায়। এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রিন্স মূসা তার ফ্যানদের সাথে জন্মদিন উদযাপন করেন। আমন্ত্রিত কিছু অতিথির সাথে কথা বলে জানা যায় প্রিন্স মূসা, তার পরিবার এবং তার ঘনিষ্ঠজনদের অমায়িক আন্তরিকতা এবং ব্যাবহারে তারা মুগ্ধ। আমন্ত্রিত সবার জন্য প্রিন্স মূসার পক্ষ থেকে ছিল আকর্ষণীয় উপহার, ব্যাগ, মগ, ব্যাজ সহ অনেক কিছু। দেশ বিদেশের প্রায় ৫০ টি চ্যানেল, দৈনিক পত্রিকা, ম্যাগাজিন, অনলাইন পত্রিকা উক্ত অনুষ্ঠান প্রচার করে এবং ৩টি শীর্ষস্থানীয় টিভি চ্যানেল অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে।

প্রিন্স মূসা ফরিদপুরে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। একজন পদস্ত সরকারী কর্মকর্তার ছেলে তিনি। স্কুলে তিনি মেধাবী ছাত্র ছিলেন এবং শৈশবই তাঁর বুদ্ধি-দীপ্ততার পরিচয় প্রকাশ পায়। এই ৭১ বছরের প্রিন্স তাঁর সম্পদ দিয়ে কি করবেন, তাঁর এ বিষয়ে পরিকল্পনা কি, তা তিনি প্রকাশ করেছেন দুদকের সেই সংবাদ সম্মেলনে। প্রিন্স মূসা পদ্মা সেতুর পাশাপাশি বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বয়স্ক নাগরিকদের কল্যাণে, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের এবং তাদের পরিবারের পুনর্বাসনে। সর্বোপরি তিনি অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে চান, তাদের উপকার করতে চান। এখানে উল্লেখ্য যে, প্রিন্স মূসা অতীত জীবনেও বাংলাদেশের অসহায় মানুষের সাহায্য সহযোগিতায় প্রাণপণে চেষ্টা করেছেন। এর মধ্যে ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যা, ১৯৯১ সালের বিধ্বংসী সাইক্লোনে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে তার শতকোটি টাকারও অধিক সাহায্য উল্লেখযোগ্য। দেশে তাঁর জনহিতকর বিশাল উদ্যোগ অতীতে অবশ্য বাঁধাগ্রস্থ হয়েছে। যেমনি তাঁর বিশাল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগটি সরকার হতে প্রত্যাখ্যাত করা হয়েছিল রাজনৈতিক কারনে। পরিশেষে প্রিন্স মূসা এই বয়সেও নিজেকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান এবং আমৃত্যু দেশ ও দেশের মানুষের উপকারেই ব্রত থাকতে চান।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অল্প পুঁজিতে অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসার সন্ধান, যে কেউ চাইলে শুরু করতে পারে

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৫



কেউ একজন জানতে চেয়েছেন ১০/১২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে কিভাবে মাসে ১/২ লাখ টাকা ইনকাম করা যায়? বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করে দেখলাম বাংলাদেশে ১০/১২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজনীতির পন্ডিত, ব্লগার তানভীর জুমারের পোষ্টটি পড়েন, জল্লাদ আসিফ মাহমুদ কি কি জানে!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৯



সামুর রাজনীতির ডোডো পন্ডিত, ব্লগার তানভীর ১ খানা পোষ্ট প্রসব করেছেন; পোষ্টে বলছেন, ইউনুস ও পাকিসতানীদের জল্লাদ আসিফ মাহমুদ ধরণা করছে, "সেনাবাহিনী ও ব্যুরোক্রেটরা বিএনপি'কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নীল নকশার অন্ধকার রাত

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৬


কায়রোর রাস্তায় তখন শীতের হিম হাওয়া বইছিল। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। দুইটা বড় সংবাদপত্র অফিস: আল-আহরাম এবং আল-মাসরি আল-ইয়াউম—হঠাৎ করেই আগুনে জ্বলে উঠলো। কিন্তু এই আগুন কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×