somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আরিফ রুবেল
জীবন বৈচিত্রময়। জীবনের বিচিত্র সব গল্প বলতে পারাটা একটা গুন আর সবার সেই গুনটা থাকে না। গল্প বলার অদ্ভুত গুনটা অর্জনের জন্য সাধনার দরকার। যদিও সবার জীবন সাধনার অনুমতি দেয় না, তবুও সুযোগ পেলেই কেউ কেউ সাধনায় বসে যায়। আমিও সেই সব সাধকদের একজন হতে চাই।

মুভি রিভিউ : 'ডুব'

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



হ্যালো ব্লগারস !

কেমন আছেন সবাই? কিছু দিন বিরতির পর আবার ফিরে আসলাম আপনাদের কাছে। আজ মুক্তি পেল মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর বহুল আলোচিত চলচ্চিত্র 'ডুব'। আলোচিত এবং বিতর্কিত। কাজেই আগ্রহটা বেশ ভালোই ছিল। ওনার প্রায় সব কয়টি চলচ্চিত্রই আমার দেখা হয়েছে। ওনাকে বর্তমান সময়ের বেশ শক্তিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা বলা হয়ে থাকে। সেটা একটা কারণ, তবে 'ডুব' কিংবা ডুবে যেতে চাওয়ার সেটাই মূখ্য কারণ নয়। মূলত এই সিনেমাকে ঘিড়ে বিতর্কই আমাকে টেনে নিয়ে গেছে সিনেমা হলে।



সে যাই হোক, আপাতত বিতর্ককে পাশে রেখে চলচ্চিত্রের খুটিনাটি বিষয়ের সারসংক্ষেপ আপনাদের কাছে তুলে ধরা যাক। চেষ্টা করব গল্পটা আপনাদের সাথে শেয়ার না করতে। কিন্তু যেহেতু বিতর্কের বিষয়টি আসবে সেহেতু আপনি চাইলে এখান থেকে নাও পড়তে পারেন। আসুন দেখে নেয়া যাক 'ডুব' সিনেমার ট্রেলার।



কাহিনী সংক্ষেপ : সিনেমার গল্প আবর্তিত হয় স্বনামধন্য চলচ্চিত্র নির্মাতা জাভেদ হাসানের ব্যক্তিগত জীবনের সংকটকে কেন্দ্র করে। প্রথম স্ত্রীর সাথে বোঝাপড়ার অভাব এবং মেয়ের বান্ধবীর সাথে অসম প্রেম কিংবা সেই অসম প্রেমের ফলে প্রথম সংসারের সাথে সম্পর্কের সংকটকে কেন্দ্র করে গল্প এগিয়ে যায়। ব্যক্তি জীবনে জাভেদ (ইরফান খান) একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা তার প্রথম স্ত্রী মায়া (রোকেয়া প্রাচী) মেয়ে সাবেরি (তিশা) এবং সাবেরির বান্ধবী নিতু (পার্নো মিত্র)। এরাই মূল চরিত্র।



সিনেমার প্রথম দৃশ্য দেখানো হয় একটি কলেজ/স্কুল রিইউনিয়ন। সেখানে দু'জন বান্ধবী সাবেরী ও নিতুর দেখা হওয়া এবং সেখান থেকে ফ্লাশ ব্যাক। ২০১৭ থেকে এক লাফে ২০১০। পারিবারিক ভ্রমনে বের হয়েছেন চলচ্চিত্রকার জাভেদ হাসান। সেখানে তার স্ত্রীর সাথে তার ঘুড়তে যাওয়া এবং ফ্লাশব্যাকের ভেতরে আবার ফ্লাশব্যাক, সাল ১৯৯০।

জাভেদ হাসান আর নুরুন্নাহার মায়ার বিয়েটা হয় বাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে। মায়ার কর্নেল বাপ সেটা মেনে না নিয়ে পুলিশ ডাকেন এবং সেখান থেকে গল্প এগোয়। বেশ হাস্যরসাত্মকভাবে সেই গল্প শেষও হয়। গল্প শেষে আমরা ফিরে আসি সন ২০১০ এ। এটা মূলত ২০১০ সালেরই গল্প। যদিও সিনেমার টাইমলাইন নিয়ে এরপর আর কোন স্পষ্ট দিকনির্দেশ আমরা পাই না। তবে ধারণা করা যায় গল্প এগুতে এগুতে সেটা ২০১৪-১৫ পর্যন্ত এসেছে। সে যাই হোক।

গল্পের শুরুর দুই একটা দৃশ্যেই দর্শকরা বুঝে ফেলে জাভেদ মিড লাইফ ক্রাইসিসে ভুগছে। ওই যে 'সংসার আমার ভাল্লাগে না' রোগ যেটাকে বলে। মূলত গোটা সিনেমাতেই জাভেদকে কিছুটা সংসার বিরাগী দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এই সংসার বৈরাগ্যের মাঝেই জাভেদের জীবনের নতুন মোড় মেয়ের বান্ধবী নিতুকে জড়িয়ে পত্রিকার প্রতিবেদন। সেখান থেকে জন্ম নেয় পারিবারিক সংকট। সংসার থেকে আলাদা থাকা। নিতুর সাথে নৈকট্য এবং নিতুকে বিয়ে। তার থেকে সন্তানদের সাথে দূরত্ব।

সাবেরী এবং আহির (জাভেদ হাসানের ছেলে) সব সময় মায়াকেই সাপোর্ট দিয়েছে। যদিও সাবেরীর আক্ষেপ ছিল তার মায়ের প্রতি। কারণ তার মা অলস, সংসারের নিয়ন্ত্রন রাখতে পারেনি। কিন্তু তার ভালোবাসা সব সময়ই মায়ের প্রতি ছিল অটুট। অপর দিকে বাবার প্রতি তার ক্ষোভ ছিল। ক্ষোভ থাকাটাই স্বাভাবিক। তার উপর নিজেরই বান্ধবী। সিনেমায় সাবেরীর একটা উক্তি ছিল এরকম যেহেতু নিতু তার সাথে কোন প্রতিযোগীতায় পারেনি, জাভেদকে বাবা হিসেবে পায়নি তাই জাভেদকে বিয়ে করে বউ হিসেবে পেতে চেয়েছে। আমি হুবহু তুলতে পারিনি তবে এই উক্তি দিয়ে নিতুর প্রতি সাবেরীর ক্ষোভের মাত্রা কিছুটা হলেও আপনারা আন্দাজ করতে পারবেন।

বিরতির পর পুরোটা সময়েই জাভেদের প্রথম সংসারের সাথে নিতু এবং জাভেদের দ্বন্দ্ব নিয়ে। এক পর্যায়ে জাভেদ আত্মসমর্পন করে নিতুর কাছে। এরপর সিনেমা শেষ হয় জাভেদের মৃত্যু এবং তার দাফনের মধ্য দিয়ে। মৃত্যুকে কেন্দ্র করেও দুই পরিবারে সংকট তৈরি হয়।



দুই

প্রথমেই আসি সিনেমার গল্প কিংবা চিত্রনাট্য নিয়ে। দর্শক হিসেবে গল্পটা আমি নিতে পারিনি। হতে পারে আমি খুবই গড়পরতা মানের দর্শক এবং সিনেমাটা আসলে উচ্চমার্গীয় দর্শকদের কথা ভেবে করা হয়েছে এবং সেটি হলে কথা ভিন্ন। তবে সেরকম যদি না হয় এবং নির্মাতা ফারুকী সাহেব যদি আসলেই একটা গল্প বলার চেষ্টা করে থাকেন তাহলে বলতে হবে তিনি ব্যর্থ। আমার কাছে মনে হয়েছে সামনের বন্ধুর খাতা দেখে লিখতে গিয়ে বন্ধু পাতা উল্টে ফেললে যেই বিরম্বনার মধ্যে পড়তে হয় সেই রকম বিরম্বনায় উনি হয়ত পড়েছিলেন। বেশ খাপছাড়া গল্প। এখান থেকে একটু ওখান থেকে একটু নিয়ে উনি আসলে পুরো গল্পটাই গোজামিল পাকিয়ে ফেলেছেন। ধরেন ডুব সম্পর্কে কিছুই জানে না, এর ট্রেলার দেখেনি এর ব্যাপারে কোন প্রতিবেদনও পড়েন, একেবারে সাদা খাতার মত হলে ঢুকে যদি কেউ সিনেমাটা দেখতে বসে তাহলে আমি হলফ করে বলতে পারি তার বুঝতে সমস্যা হবে। তবে কোন চলচ্চিত্র উৎসবের জুরি হলে অবশ্য কথা ভিন্ন।

জাভেদ হাসান চরিত্রে ইরফান খানের কাছ থেকে আরো বেশি কিছু আশা করেছিলাম। কিন্তু মার খেয়ে গেছেন দুর্বল চিত্রনাট্যের কাছে।
অত গুনী একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা পুরো সিনেমাতে তার কাজ নিয়ে কিছুই দেখালেন না বরং এসিস্টেন্টকে ধরে মৃদু বকে দিলেন শুধু তার স্ত্রীর ছবি ক্রপ করে ফেসবুকে প্রোফাইল পিক দেয়ার কারণে। ঠিক গেল না। পুরো সিনেমাতেই তার হতবিহ্বল ভাব। ভাবুক ভাব আনতে গিয়ে নেশাগ্রস্থের চরিত্রে চলে গেছেন মনে হল।

মায়া চরিত্রে রোকেয়া প্রাচীকে আরেকটু স্পেস দেয়া দরকার ছিল। স্ত্রী হিসেবে ওনার ভূমিকাটা আরেকটু সামনে আনা প্রয়োজন ছিল। উনি যখন স্বামীর সাথে রাগ করে বাপের বাড়ি চলে যান তখন কিংবা জাভেদ যখন তাকে ছেড়ে চলে যায় তখন জাভেদের প্রতি তার ইমোশন (ক্ষোভ কিংবা ভালোবাসা কিংবা অভিমান) দেখানো যেত।

নিতু চরিত্রে পার্নো মিত্র মূলত একটি নেগেটিভ চরিত্র যে একটা সুখী সংসার ভেঙ্গে খান খান করে ভালো মানুষ জাভেদকে এবং সম্পত্তি প্রতিপত্তিকে গ্রাস করে নেয়। এই সিনেমার ভিলেন সে। মূলত সে এটেনশন সিকার এবং এটেনশন পাওয়ার জন্যেই জাভেদকে তার জালে পোড়ে এবং জাভেদ বাধ্য হয় নিতুর ফাঁদে পা দিয়ে স্ত্রী সন্তান সবাইকে হারিয়ে ফেলতে। পার্নো মিত্রকে নেগেটিভ দেখানোর জন্যে ড্যাম কেয়ার একটা ভাব আনার চেষ্টা করা হয়েছে। তাকে দিয়ে স্মোক করানো হয়েছে। এমনকি তাকে প্রতিশোধপরায়ন, হিংসুটে নারী হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

সাবেরী, আপাত দৃষ্টিতে সিনেমার পার্শ্ব চরিত্র হলেও আমার কাছে মনে হয়েছে তিনি সিনেমার মূল চরিত্র। চলচ্চিত্রকার মূলত সাবেরীর চোখেই সিনেমাটা দেখাতে চেয়েছেন। এর প্রমাণ পাওয়া যায় সিনেমার প্রথম ও শেষ দৃশ্য দেখে। প্রথম দৃশ্যে সাবেরী ও নিতু পাশাপাশি বসে আছে ২০১৭ সালে আবার শেষ দৃশ্যেও তারা ব্যাক করে সেই জায়গায়। প্রথমেই বলা দরকার জাভেদের ও মায়ার মেয়ের চরিত্রে তিশা একটু বয়স্ক হয়ে গেছে। স্কুল ড্রেস পরা তিশাকে আর যাই হোক স্কুল ছাত্রী মনে হয়নি। এখানে আরেকটু কম বয়সী কাউকে নেয়া যেত। কিংবা ইরফানকে আরেকটু বয়স্ক দেখানো যেত। কিছু জায়গায় তিশার অভিনয় একটু ওভার এক্টিং হয়ে গেছে। বিশেষ করে বাবার বিদায়ের সময় পানির গ্লাস হাতে দাঁড়িয়ে থাকা দৃশ্যে তার কান্নাটা (যেটা দেখে নাকি কেউ কেউ কেঁদেছেন)। তবে বাবার মৃত্যু সংবাদে সাবেরীর প্রতিক্রিয়াটা দুর্দান্ত ছিল। বিশেষ করে ক্যামেরায় আহিরের জানালার গ্লাস নাড়ানো আর গ্লাসের প্রতিবিম্বে সাবেরীর দাড়িয়ে থাকা একটা শূণ্যতার জন্ম দেয় দর্শকের মনে।


তিন

সাম্প্রতিককালে কোন সিনেমা নিয়ে যদি বিতর্ক হয়ে থাকে সেটা হচ্ছে ডুব। একে তো এর কাস্টিং ইরফান খান। বাংলাদেশে ওনার অনেক ভক্ত আছেন। আমি নিজেও যে কয়জন ভারতীয় অভিনেতার অভিনয় পছন্দ করি তার মধ্যে উনি অন্যতম। স্বাভাবিকভাবেই আমারও আগ্রহ ছিল। তার উপর সিনেমার নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। উনিও ওনার জায়গায় স্বনামধন্য। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে ডুব লাইম লাইটে আসে লেখন হুমায়ুন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওনের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে।

কি সেই অভিযোগ ? ফারুকী নাকি হুমায়ূন আহমদের জীবনের স্পর্শকাতর অংশ নিয়ে সিনেমার গল্প সাজিয়েছেন। সিনেমার জাভেদ চরিত্রটি মূলত হুমায়ূন আহমেদেরই চিত্রায়ন এবং এর চরিত্ররাও হুমায়ূনের সাথে সংশ্লিষ্ট। মায়া চরিত্রটি হুমায়ূন আহমেদের প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন মেয়ে সাবেরী হচ্ছে শিলা এবং ছেলে আহির হচ্ছে নুহাশ।

যদিও সিনেমার শুরুতে পরিচালক বলেছেন সিনেমার সকল চরিত্র কাল্পনিক এবং উনি ওনার বিভিন্ন সাক্ষাতকারে বলা চেষ্টা করেছেন এটা হুমায়ূন আহমেদের জীবনের উপর নির্মিত সিনেমা নয় কিন্তু সিনেমা দেখে যারা হুমায়ূন আহমেদের জীবন সম্পর্কে বিন্দুমাত্র জানে তারাও বলবে এটা মূলত তার জীবনে স্থুল একটা প্রকাশ। যদিও হুমায়ূন আহমেদ লেখক আর জাভেদ হাসান চলচ্চিত্র নির্মাতা কিন্তু উভয়ের জীবনের এত মিল আসলে মানসিকভাবে অন্ধ না হলে কারো পক্ষে অস্বীকার করা অসম্ভব যে এখানে ফারুকী হুমায়ূনকে দেখাতে চেয়েছেন। এমনকি তার মৃত্যু পরবর্তী জটিলতাও এড়িয়ে যাননি

এবং সেটা করতে তিনি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। লেখক হুমায়ূন আহমেদের জীবনাচারণ কিংবা তার জীবন দর্শন ফুটিয়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন পুরোপুরিভাবে। আবার কিসের টানে হুমায়ূন শাওনের কাছে গেলেন সেটাও এখানে অনুপস্থিত। সেটা কি শরীরের টান না মনের টান সেটাও দর্শক বুঝতে ব্যর্থ আর পরিচালক ব্যর্থ বোঝাতে। গুলতেকিনের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েনের অংশটাও দুর্বল।

হুমায়ূনের জীবনের ছায়া অবলম্বনে সিনেমা বানাতে গিয়ে আবার সেই ছায়া থেকে বের হয়ে আসতে গিয়ে লেজে গোবরে অবস্থা হয়েছে এই সিনেমার। না ঘরের না ঘাটের। হুমায়ূন আহমেদের রসবোধের ছিটেফোটাও ছিল না জাভেদের মাঝে বরং একটা এস্কেপিস্ট চরিত্র হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছেন উনি। যেমন পত্রিকায় তাকে এবং নিতুকে নিয়ে খবর বের হবার পর তিনি নিতুকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করেন তার সাথে নিতুর কিসের ফ্রেন্ডশিপ। আবার সেই নিতুই যখন তাকে খাবার পাঠায় তিনি সেটা বেশ মজা করেই খান।

দেখানো হয় উনি বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু তার বর্নাঢ্য জীবন এখানে অনুপস্থিত। দুই একজন পথচারী তার কাছে অটোগ্রাফ চায় এই পর্যন্তই। লেখক কিংবা পরিচালক কোন দিক থেকেই এটা ঠিক যায় না। টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে দর্শক ফোনে নিতুকে যাচ্ছেতাই বলে এর প্রতিক্রিয়াতে জাভেদ জবাব দেন কিন্তু তারপর ? এরকম আরো অসংখ্য প্রশ্ন দর্শকের মনে জন্ম দেবে। এবং যারা হুমায়ূন আহমেদের জীবনের সিনেমা দেখতে যাবেন তারা হতাশ হবেন এবং একটা ভুল ধারণা নিয়ে বাড়ি ফিরবেন।

চার

আপনারা যারা হলে গিয়ে এই মুভিটি দেখবেন বলে ভাবছেন তাদের অনুরোধ করব খুব বড় কিছুর আশা নিয়ে যাবেন না। তবে অন্তত এর ক্যামেরার কাজ আর ফ্রেমিং দেখতে হলেও আপনাদের যাওয়া উচিত। দুই একটা অসামঞ্জস্য থাকলেও মুভির দৃশ্যায়ন ভালো। বেশ আলিশান ফ্লাট, সিরামিক ইটের বাড়ি চোখের জন্য আরামদায়ক একটা সিনেমা।

হুমায়ূন আহমেদ বিশাল একটা ক্যানভাস। সেই ক্যানভাসের শুধু বিতর্কিত অংশটা নিয়েই কেন ফারুকী সাহেব চলচ্চিত্র বানাতে আগ্রহী হলেন সেটা তিনি এবং প্রযোজকরা জানেন কিন্তু তিনি সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছেন না সফল সেটার রায় দর্শকরা দেবে। তবে হুমায়ূনকে নিয়ে আরো বড় পরিসরে চলচ্চিত্র নির্মাণ হোক এটাই কামনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৩
১৬টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×