রাসূলুল্লাহ (সা: ) বলেছেন:
" হে আল্লাহ! আমি দু'ধরনের দূর্বলদের অধিকার রক্ষার জন্য মানুষের সাথে যুদ্ধ করবো। (তারা হলো): এতিম এবং নারী। [আহমাদ,ইব্ন মাজাহ,ইমাম নাবাওয়ী এটিকে সাহীহ সাব্যস্ত করেছেন।]
...আলহামদুলিল্লাহ এই হাদীসটুকু দ্বারাই নারীদের প্রতি ইসলামের পয়েন্টস অব ভিউ ক্লিয়ার হয়ে যায়।ইসলাম একটি মধ্যযুগীয় ধর্ম হলেও নারীবাদীরা যে আন্দোলনের প্রাক্কাল, বেগম রোকেয়ার আমল থেকে গুনতে শিখেছেন,অপ্রিয় হলেও সত্য সেটা তখন থেকে নয়, বরং ১৪০০ বছর আগে ,সেই মধ্যযুগে এর গোড়াপত্তন ঘটিয়েছিলেন সাইয়্যেদুল মুরসালীন হযরত মুহম্মদ (সাঃ) !
অচেনা অজানা এক ইয়াহূদী কন্যা , সাফিয়াকে বিয়ে করে , উম্মুল মু'মিনীন এর মত সম্মানিত আসনে অধিষ্টিত করেছিলেন প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সাঃ)।তাও আমরা ইসলাম কে বর্বর বলি।
যুদ্ধের ময়দানে যেতে উদ্যত হওয়া বরেন্য সাহাবীকে থামিয়ে দিয়ে রাসূল (সাঃ) বলেছিলেন, "তোমার ঘরে তোমার মা রয়েছে।তাকে সাহায্য কর।এটাই তোমার জিহাদ" আমরা তারপরেও নারীদের ব্যাপারে ইসলামের মাইণ্ডসেট নিয়ে প্রশ্ন তুলি।
আরেকটা হাদীসে এসেছে, যে ব্যক্তির তিনটি মেয়ে সন্তান রয়েছে, এবং তিনি তাদের উত্তম ভরনপোষন এবং পর্যাপ্ত দীনি শিক্ষা নিশ্চিত করে উত্তম স্থানে তাদের বিবাহ নিশ্চিত করবেন, তার জন্য রয়েছে জান্নাত।
তারপরেও ইসলাম নিয়ে আমাদের এত এত সমস্যা,এত এত সংশয়,এত এত সন্দেহ!
আসলে নারীবাদের অন্তর্জালে ইসলামফোবিয়া নামক একটা বিষফোড়াকে তীলে তীলে বড় করে তুলছি আমরা। একান্তই ধর্ম বিদ্বেষ থেকে তোলা এসব প্রশ্ন, সংশয়, সন্দেহ !
গত কয়েকদিন আগে ইউটিউবে একটা ভিডিও দেখেছিলাম, ওয়েষ্টার্ন একটা মেয়েকে হিজাব পড়া অবস্থায় এবং পরে তাদের নিজস্ব ড্রেসকোডের মধ্যে রাস্তায় চলতে দেয়া হয়। এবং দুইটা ফেইস ই, পাশে থাকা অন্য এক ভদ্রলোক গোপনে ভিডিও করতে থাকে। ইসলামিক,এবং ওয়েষ্টার্ন দুটি ফেইসেই মহিলাটিকে নিউ ইয়র্কের রাস্তায় চার ঘন্টার মত হাটানো হয় এবং সেটা ক্যামেরাবন্দী করা হয়।
অবাক লাগা ব্যাপার হচ্ছে এইখানে যে, হিজাব ছাড়া ওয়েষ্টার্ণ ড্রেসকোডে মহিলাটিকে এমন সব আপত্তিকর কথাবার্তার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় যেটা, তার ব্যাক্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ তো করেই, এবং একজন সজ্জন মুসলিম নারী এর স্বীকার হলে সম্ভবত, নিজের বেচে থাকা নয়ে সংশয়ে পড়ে যেতেন।
অন্যদিকে সেই নিউইয়র্কের রাস্তায়ই,হিজাব পরিহিত অবস্থায় তিনি দিব্যি চলাফেরা করেন, তাকে উদ্দেশ্যকরে কেউ টু শব্দটি পর্যন্ত করে নি !
পার্থক্য টা এখানেই!
যে নারী সম্মান ডিসার্ভ করেন, তার জন্যে সম্ভবত উপরের কয়েকটি ঘটনাই ঘটনাই যথেষ্ট বলে মনে করি।
আর তার পরেও যিনি ইসলামকে ব্যাকডেটেড বলে এড়িয়ে যেতে চান,
নারীর মর্যাদার ব্যাপারে ইসলামের থট কে ইলজিক্যাল প্রমাণ করতে চান,
তাদের জন্যে করুনা ছাড়া অন্য কিছু প্রত্যাশা করা বোকামী ।
আপনারা ভাল থাকুন ।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৫২