একটু খানি বিষাদ _
মারফির রুলস বলে একটা কথা আছে । একটা সময় আসে যখন কোন কিছুই ঠিক মত কাজ করেনা । থারমদিনামিক্স এর রুলস ও তো জানো , এনট্রপি বাড়তে বাড়তে তাপীয় বেবস্থা ভেঙে পরবে । একটা সিস্টেম ভেঙে পড়া কখনই খুব একটা আনন্দের না । এই ভাঙ্গা সিস্টেমে তখন মারফির ল কাজ করে । কিছুই ভাল না । কলম্বাস যখন আমেরিকা আবিষ্কার করেছিল , তখন নিশ্চয়ই আনন্দে চিৎকার করেছিল । আমিও কলম্বাসের মত একটা চিৎকার দেয়ার অপেক্ষায় আছি । রাজকুমারী, তুমি ভালো থাকো ।
আজ এই দিনে _
হে , সৃষ্টি কর্তা । আমি তোমার এক অতি নগণ্য সৃষ্টি । প্রার্থনা কিভাবে করতে হয় , টা জানিনা । দেয়ার মত , বলার মত আমার কোন কিছু নাই । তুমি অসংখ্য বিচিত্রের সৃষ্টির স্রস্থা । তোমাকে মাথা নামিয়ে কৃতজ্ঞতা জানাই , এই দিন টায় এক নগন্নের কথা ভেবে , এক মানবিকে সৃষ্টি করেছিলে । তুমি আজ বলে দাও , তাকে । বলে দাও , এই জন্ম যেন সহস্র বছরের হয় , এই জন্ম যেন পৃথিবীর সব সুখকে ছুঁয়ে যায় । তাকে বলে দাও , এই দিনে শুভেচ্ছা জানানোর ভাষা আমার জানা নাই । চুপ-চাপ পঞ্চ ইন্দ্রিয় রুদ্ধ করে বসে আছি আর ভাবছি কি বলব , কি জানাব তারে । এই প্রানের আকুতি তুমি তারে জানিয়ে দাও ।বলে দাও , তারে ।
কেমন আছি বলতো ?
ধ্রুব তারারা তো দুরের মানবী । সূর্য থেকে বহু দূরে । তীব্র মহাকর্ষীয় বলয়ের মধ্যে হয়ত ঢুকতেই পারবেনা , লতা ঝরে পরবে প্রবল উত্তাপে ।
কখনো কখনো যে এরকম ভাবিনা , তা নয় । ভাবি যখন আমি আর বৃক্ষ থাকিনা , যখন রাত হয় উত্তাপ কমে , তখন হয়ত মনের কোন এক কোণে উকি দেয় 'কোন মহাজাগতিক পোকা ''। বিদফেনের সুরের মূর্ছনায় তখন হয়ত হারাতে ইচ্ছে করে , ইচ্ছে করে বার্নিশ করা টেবিলটার বুকে টোকা মারি , যদি ভাঙ্গে ! যদি উত্তাপ কমে !! কোন পোকা হয়ত নেই , যে সুরের তালে তালে আমার ' টোকার ' মত করেই ডানা ঝাপ্তাবে ।
কেমন আছি বলত ?
ইতি - তোমাকে _
কেমন আছিস ? হাতের বেথা কমেছে নিশ্চয়ই ! ১ তারিখে আমার জন্মদিন । তোর হয়ত মনে নাই , তাই মনে করিয়ে দিলাম । আচ্ছা জন্মদিনের গিফট দিবিনা ? কি দিবি ? আমি বরং তোর কাছে চাই ? বিশাল চাওয়া - পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে যাবি । তুই প্রেমে পরেছিস ! বিশ্বাস কর , আমি খুব খুশি । দেখবি পৃথিবী এখন কতো সুন্দর লাগে । যা করবি তাই ভালো লাগবে ! ' রঙ্গিন দুনিয়া ' । ছেলেটা নিশ্চয়ই খুব ভালো । অপেক্ষা কর তোর জন্য আরও অনেক ভালোবাসা আছে । দেখবি ও তোকে এত্ত-এত্ত-এত্ত ভালবাসবে । তুই ও ওকে খুব খুব ভালবাসিস । সারাক্ষণ রাগ আর অভিমান করে থাকবিনা ।প্রেম আনন্দের জন্য কষ্ট পাওয়ার জন্য না । আমি জানি , এখন থেকে তোর আর কোন কেটোই থাকবেনা ! যখন হাতে হাত ধরে হাঁটবি , উফ ! কি অসাধারণ যে লাগবে তোদের । আচ্ছা ও কি তোর চে অনেক লম্বা ? নো সমস্যা । শোন , তুই অই ছেলেকে ভালবাসিস , কাজেই ওকেই বিয়ে করিস । আঙ্কেল - অ্যান্টি হয়ত প্রথমে মানতে নাও চাইতেও পারে । তবে তাতে কোন সমস্যা নাই । তুই বুঝিয়ে বলবি ওকে কেন তোর প্রয়োজন ! দেখবি ওনারা ঠিক মেনে নেবে । আর তুই যেমন চমৎকার একটা মেয়ে সবসময় তেমন টা থাকিস ! আমি সবসময় চেয়েছি তুই একদিন অসাধারণ মানবী হবি । সত্যিকারের খাটি মানুষ হবি । অনেক বেশি মানবিক হবি । আমি জানি প্রকৃতি তোকে এই ভাবেই বড় করবে ! তোর যখন একটা হামটি - ডামটি বাবু হবে , আমি চোখ বন্ধ করে ভাবি , কি অদ্ভুত ভাবেই না বাবু টা হাত পা ছুড়ে ওয়া ওয়া করছে । আমার জন্মদিনের গিফট হিসাবে কি চাই জানিস ? চাই এই বাবুটাকে তুই সত্যিকারের মানব করে বড় করবি ! যে হবে প্রকৃতির শিশু , মানবিক হৃদয়ের মানুষ । ওকে অবশ্যই ইশকুল নামক আবর্জনায় ফাস্ট হওয়ার নাম করে জীবনের সত্যিকার সৌন্দর্য গুলু থেকে বঞ্চিত করবিনা । ওকে অবশ্যই জানাবি , অর্থ পৃথিবীর ৩য় স্তরের প্রয়োজনীয় জিনিস । এর পেছনে ছুটে জীবনের অসাধারণ সৌন্দর্য যেন নষ্ট না করে । এইসব পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষই করছে । এরা কি সুখই ? না । এরা সবাই সুখই হওয়ার ভান করে ।আবার এদের অনেকেই জানেনা যে এরা অসুখী । কারন সুখের সাথে এদের পরিচয় নাই । এই ভান করা থেকে সবসময় দূরে থাকবি ! আমি জান ই তোর মধ্যে এরকম কিছু নাই । কারন , খাটি মানুষ হওয়ার ক্ষেত্রে এটা প্রয়োজন - ভান না করা ! এতো ভালো ভালো কথা কেন বলি ? কারন এটাই আমার স্টাইল ! অই দিন নিমা ফোন করে বলল ও নাকি রান্না বান্না শিখে গেছে - আমার বকা খেয়ে ! আমার পরিচিত সব কয়টাকে আমি রান্না- বান্না নিয়ে মজা করি । তোঁকেও করেছি । কিছুটা নিশ্চয়ই শিখেছিস । শোন যেহেতু তোরা দুই জন কাজেই মাঝে মাঝে ওকে রান্না করে খাইয়ে দিবি !দেখবি বেচারার মাথা খারাপ হয়ে যাবে ! তোর জন্য শুভকামনা রইল । আমার নিজের বিষয়ে তুই অনেক কিছুই জানিস । তবে আরও কিছু জিনিস তোকে বলা হয় নাই । যদিও সেগুলু বলার মত কিছু না । ভালো থাকবি সবসময় , সুখে থাকবি আর ভালবাসবি সবাইকে !!!