“আর কিছু বলার আছে?”
“কেনো?”
চট করে জবাব দিলো না মেয়েটি। ঢেকুর গিলে কিছু একটা লুকাতে চাইলো। পারলো কিনা!
নিতু ধরা গলায় বললো-
“এমনি।”
রুদ্র চুপটি করে হাত বাড়িয়ে নিতুর হাত ধরতে চাইলো। সে হাত সরিয়ে নিল না।
শুধু চোখের গভীরে জমে থাকা জলটুকু খসিয়ে দেয়। শরীর কাঁপিয়ে কেঁদে উঠে মেয়েটি।
সে জানে, এই বেখেয়ালি ছেলেটাকে সে পাগলের মতো ভালবাসে। তাকে ছাড়া সে এক মুহূর্তও ভালো থাকবে না।
অনেকক্ষণ, ঠিক কতক্ষণ তারা কেউ জানে না। চুপ করে রইলো তারা।
তারপর সহসা রুদ্র নিতুর চোখ মুছে দিয়ে কোলের উপর মাথা রেখে বসলো। গলার স্বর খাদে নামিয়ে বললো,
“আচ্ছা, আর বলবো না।”
“কী?”
“এই যে আমি মরে যাচ্ছি। একা নিজেকে সামলাতে পারবে তো?”
“বলো তুমি পারবে?”
রুদ্র কিছু বললো না। শুধু মেয়েটির কোমড় শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। সে জানে সে জীবনের সীমায় দাঁড়িয়ে।
হুট করেই একদিন সে অতীত হয়ে যাবে।
আদ্র চোখ তুলে রুদ্র নিতুর দিকে তাকায়। কেন জানি তার মনে হয়, সে অতীত হবে না।
নীতু নামের এই পাগলী মেয়েটি তাকে অদৃশ্য কোন এক শক্তি দিয়ে বেঁধে রাখবে এই নশ্বর পৃথিবীতে।
উৎসর্গ: Monir Hosen Hridoy তোকে।
ভালবাসা আসুক ঝড় হয়ে, উড়িয়ে নিয়ে যাক জীবনের বিভীষিকা।
গল্পের নামকরণে এই দুরন্ত ছেলের হাত।❤