(কাব্যগ্রন্থ-ক্ষত- বিক্ষত হৃদয়)
থেকে নেয়া
তোমাকেই খুজি
------- সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু
মঞ্চে যারা আমার সাথে জুটিবদ্ধ
হয়ে নৃত্য করে সুনাম কুড়ায়,
কবিতার আসরে যারা মুগ্ধ হয়ে
আমার কবিতা আবৃত্তি দেখে বাহবা দেয়,
গানের আসরে যারা আমার
অটোগ্রাফ পেয়ে মিষ্টি হাসে,
আমি সেসব অপ্সরীদের
প্রত্যেকের দিকে অপলক তাকাই
আর তাদের ভিড়ে তোমাকে খুজি।
তুমি আমার মনের আয়নায় আঁকা নারী
-আমার প্রিয় মুখ
-আমার স্বপ্ন,
পথ-ঘাট-প্রান্তরে তোমাকে এতো খুজি
-তবু পাই না।
অথচ তোমাকে খুঁজে পাবার ও
তোমাকে একবার অপলক দেখার
কতোনা স্বপ্ন আমার দু’চোখে।
আর সেই তুমি
শত অচেনার মাঝে লুকিয়ে থেকে
খেল্ছ লুকোচুরি।
বলো- আর কতোকাল চলবে এ খেলা!
আর কতোকাল স্বপ্নহীন রাত জেগে
তোমায় ভেবে রাত হবে ভোর!
বলো-
কবে তুমি ধরা দেবে ?
কবে তুমি আমার হবে ?
আর কবে তুমি আসবে আমার এ ঘরে ?
কবে ?
কবে ?
কবে ?
{পাক্ষিক বিনোদন পত্রিকায় র্মাচ,২০১০-এ প্রকাশিত}
(০০৮৮০১৮১৩৮৩০১০৩)
বৃষ্টি
সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু
(কাব্যগ্রন্থ- ক্ষত বিক্ষত হৃদয় থেকে নেয়া)
তুমি আমি চলো আজি একসাথে
বৃষ্টিতে ভিজব চলো এই রাতে
গগনে বসেছে তাঁরাদের মেলা
মেঘেরা তাতে করছে খেলা
নেমেছে বৃষ্টি ভিজছে ধরা
হৃদয় খুশিতে আত্মহারা
ভিজছে পৃথিবী-ভিজছে আকাশ
ভিজছে গাছেরা-ভিজছে বাতাস
তুমি-আমি হাতে হাত ধরে
চলো নাঁচব দুজনে ভিজব এ ঝড়ে
ভেজা পৃথিবীতে হারাব দুজন
লাজ হারিয়ে করব আলিঙ্গন
বুনব স্বপ্ন প্রতিটা রাতের
শুনাব গল্প চাঁদ-তাঁরাদের
হৃদয়ে তোমার হৃদয় মিশাব
ভালোবাসা দিয়ে জীবন সাজাব।
--------------০-------------------------
হৃদয়ের প্রথম পাতা
সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদ–ল ক–ত–ব চৌধ–রী মজনু
(কাব্যগ্রন্থ- ক্ষত বিক্ষত হৃদয় থেকে নেয়া)
তোমাকে প্রথম দেখায় দেখেছিলাম নয়ন ভরে ,
হৃদয়ের প্রথম পাতায় রেখেছিলাম যতন করে।
তোমার ঠোঁটে তৃষা-চোখেতে নেশা,
আর আমার চোখে ভালোবাসা।
আমি থলে কাঁধের বাবলা কাট চুলের কবি,
চুলের সমুদ্রে বাতাসে ঢেউয়ের ছবি।
গগন প্রাঙ্গনে মেঘের খেলা,
রাত-দুপুরে তোমাকেই ভবি।
আমার চোখ আছে-চোখে স্বপ্ন আছে,
কল্পনা আছে-কল্পনায় রং আছে।
তাই মনের কথা ছবি হয়ে কাগজে ভাসে,
স্বপ্ন গুলো মেঘ হয়ে আকাশে হাসে।
কখনো বৃষ্টি হয়ে তোমায় ছুয়ে যায়,
বলে যায়-এই মন শুধু তোমাকেই চায়।
-----------------------------০-----------------------------
অপ্সরী
সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু
(ভালোবাসার রোদ বৃষ্টি উপন্যাস হতে নেয়া)
ওগো ভিনদেশী রূপসী সুরাঙ্গনা,
আঁকছ হৃদে সুরের আল্পনা।
আকাশের জ্যোৎস্না মেখেছ গায়ে,
নেমেছ ধরায় ধ্রুবতাঁরা হয়ে।
চঞ্চল হাওয়ায় উড়ায়ে কেশ রাশি,
পরী বেশে কাসে এসে হৃদে বাঁজালে বাঁশি।
নীরবে মিষ্ট হেসে-কুসুম পেলব ঠোঁটে,
ভাসালে আমায় অচেনা মায়ার স্রোতে।
আহা অঙ্গে কী রূপ!ঠোঁটে সে কী অপরূপ হাসি!
স্বপ্নচারী আমি মরে মরে বেচে উঠি-ভাসি।
তুমি সুহাসিনী- আমার সোহাগে সোহাগীনী,
হয়ে এসেছ আজ সুরের-নুরের অপ্সরী।
--------০-------------------০---------------------০--------------
বধূবরণ
------- সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু
(ভালোবাসার রোদ বৃষ্টি উপন্যাস হতে নেয়া)
লাল দো’পাট্টায় ঢাকা আঁখে,
তাঁরার মিছিল জ্বলবে হেসে।
বধূর ঠোঁটে ফুটবে হাসি ,
গানের সুরে তালে তালে।
স্বপ্নেরা আজ উঠবে জেগে,
বধূর চোখে বৃষ্টি হয়ে।
ছুয়ে যাবে বধূর হৃদয়,
মনের মাঝে গান শুনিয়ে।
বর-বধূ মিলন হবে,
গগনে-পবনে সুর ছড়াবে।
বধূর শ্রীমুখ জে্যাঁৎস্না ঝেড়ে,
ঝংকার তুলছে বর-এর ঘরে।
র্পূণ হলো বরের স্বপন,
বাহু ডোরে তোমায় পেয়ে।
কালজয়ী রোমান্টিক উপন্যাস ভালোবাসার রোদ-বৃষ্টি ফ্রিতে পড়তে ক্লিক করুন
তিনি বাংলার অহংকার
তিনি বাংলার অহংকার-1
তিনি বাংলার অহংকার -2
তিনি বাংলার অহংকার-3