somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ঔপন্যাসিক সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু
রিমন শাহরিয়ার, সাবরিনা সোলতানা বৃষ্টি,প্রিয়াংকা তালুকদার ও নাহিদ সরওয়ার এর ব্লগ।সাবধানে পা ফেলুন।

আগুন পোষ্ট বাংলার অহংকার -৪

১৭ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগুন পোষ্ট বাংলার অহংকার -৪

ব্লগার দের অনুরোধের প্রেক্ষিতে আমরা নতুন পোষ্টটি দিচ্ছি। এ পোষ্টরে দায়িত্ব ছিল প্রিয়াংকার, সে বাচ্চা নিয়ে ব্যাস্ত, তাই আমি রিমন শাহরিয়ার ই সংক্ষিপ্ত আকারে দিয়ে দিলাম।প্রিয়াংকা
খুব শীঘ্র, ছবি ও ভিডিও যুক্ত করে দেবে। ধন্যবাদ সবাইকে।-রিমন শাহরিয়ার



আগেরদিন ঢাকার নিকটে গাজীপুরে বোমাসহ কয়েকজন আতংকবাদী ধরা পড়াতে বই মেলায় নিরাপত্তা বেষ্টানী ছিল নিশ্ছিদ্র ও প্রশংসা যোগ্য। তাই প্রতি কদমে কদমে নিরাপত্তাবাহিনীর লোকদের হাতে সবাইকে তল্লাশী ও জেরার মুখোমুখি হতে হচ্ছিল।এতে অবশ্য বই মেনায় আগত লেখক-পাঠক ও প্রকাশকদের সকলে খুশি ও শংকাহীন। কিন্তু উপন্যাসিক সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু স্যারের হাতে ছিল মাত্র পনের মিনিট আর হেটে টি,এস,টি, হতে বই মেলার প্রবেশ দ্বারের রাস্তা পযর্ন্ত যাবার দীর্ঘ পথ জুড়ে ছিল প্রায় ২/৩ হাজার মানুষের দীর্ঘ ২ টি লাইন। সেই লাইনে করে বই মেলায় যাবার রাস্তায় ঢুকতে কম করে হলেও ঘন্টা দেড়েকতো লাগবেই। তা ছাড়া লাইনের মধ্যখানেও কারো ঢুকার কোনো সুযোগ নেই, এতো সবারই জানা কথা। ততক্ষনে চ্যানেল আই'য়ের প্রতিনিধি ফোনে বার কয়েক বললেন- "তাদের সবকিছু রেডি। ইতিমধ্যে অনেক দেরী হয়ে গেছে, তাই আর দেরী না করতে।" তখন স্যার অন্যদের মতো লাইনে না দাঁড়িয়ে দুঃসাহস করে সরাসরি প্রবেশ দ্বারের দিকে ছুটলেন ।ততক্ষনে ৫ মিনিট পেরিয়ে গেছে। লাইনের পাশ দিয়ে দ্রুত হেঁটেঁ যাবার সময় লাইনে দাড়াঁনো লোকজনের উদ্দেশ্য স্যার বললেন- "আমি একজন লেখক, ১০মিনিট পর চ্যানেল আই'তে আমার সাক্ষাৎকার আছে।কাইন্ডলি আমাকে একটু লাইনে ঢুকতে দিন" বলার সাথে সাথে লাইনে দাঁড়ানোদের বেশ কযেকজন বললেন- "এদিক দিয়ে ঢুকুন।" সময়ের স্বল্পতার কারণে স্যার লাইনে ঢুকে আবার লাইন থেকে বেরিয়ে প্রবেশ দ্বারের দিকে যেতে যেতে আবার লাইনে ঢুকেন- আবার বেরিয়ে গিয়ে আরো কিছুদুর যাবার পর লেখক পরিচয় দিয়ে আবার লাইনে ঢুকে আবার বেরিয়ে যান। এভাবে সরাসরি প্রবেশদ্বারে গিয়ে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকদের লেখক পরিচয় দিয়ে চ্যানেল আই'তে মিনিট তিনেক পরে সাক্ষাৎকারের কথা বলে একটি ডকুমেন্ট দেখানোতে লাইনের বাইরে থেকে কেবল স্যার কে ও তারঁ সহযোগীকে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন প্রবেশ দ্বার দিয়ে ঢুকতে দেন। এরপর বাংলা একাডেমীর গেইটের দিকে যাবার সময় স্যারের সহযোগী ভিড়ের লোকজনের উদ্দেশ্য "লেখককে যেতে দিন -লেখককে যেতে দিন।" বলার সাথে সাথে ভিড়ের সবাই জায়গা করে দিচ্ছিলেন ও তাকে অপলক দেখছিলেন। গেইটে দাড়াঁনো পুলিশের লোকজনও লেখক পরিচয় পেতেই বন্ধ গেইটের তালা খুলে কেবল তাকে ও তাঁর সহযোগীকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেন। (বাকিদের ঢুকতে হচ্ছিল অন্য গেইট দিয়ে।)এভাবে সবার সহযোগিতা পাওয়াতে সেদিন তিনি চ্যানেল আই'তে সাক্ষাৎকার দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। এজন্য সহযোগিতাকারীদের সবার প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ। তিনি কেবল চ্যানেল আই'তে নয়, (অন্যান্য দিন) বাংলাভিশন, একুশে টিভিচ্যানেল, বৈশাখী টিভি চ্যানেল ও একটি ওয়েব সাইটে সরাসরি সাক্ষাৎকার দেন।



ঢাকার আলোচিত ট্যাবলয়েড পত্রিকা "দিনের শেষে'র সাংবাদিক একে আজাদ সুন্নী সুন্নী ১৩ ই ফেব্রুয়ারী স্যারের বিশেষ সাক্ষাৎকার নেন( যা ভালোবাসা দিবেসে "দিনের শেষে" পত্রিকায় প্রকাশিত হয়) ও ভালোবাসা দিবেসে উক্ত পত্রিকার স্টলে বই পডুয়া লেখক-পাঠক-ভক্ত ও অটোগ্রাফ প্রার্থীদের কিছু সময় দেয়ার আমন্ত্রন জানান। তাই লেখক, ভালোবাসা দিবসে "দিনের শেষে" পত্রিকার স্টলে সাংবাদিক-লেখক-পাঠক-ভক্ত ও অটোগ্রাফ প্রার্থীদের সাথে ২ ঘন্টা ব্যস্ত সময় কাটান ও স্টল ত্যাগ করার মূহুর্তে স্টলের সামনে গিনেজ রের্কডধারী টেনিস চ্যাম্পিয়ান জোবেরা রহমান লিনু ও তারঁ বান্ধবীদের সাথে দেখা হলে কুশল বিনিময়ের পর তাকে স্যার জিজ্ঞেস করেন-" আমার উপন্যাস "ভালোবাসার রোদ বৃষ্টি"র নামটি সামান্য পরিবর্তন করে একই নাম আপনার নাটকের জন্য রেখেছেন কেন?"
- "আপনার উপন্যাস প্রকাশিত হয় কখন?
- "আমার উপন্যাস ২০০৮ এর মে মাসে প্রকাশিত হলেও গত ২০০৭ সালের জানুয়ারী থেকে বিভিন্ন পেপারে সেটির বিজ্ঞাপন দিয়ে আসছি এবং ২০০৮ এর মে মাসে প্রকাশিত হবার পর বিভিন্ন পেপারে বই পরিচিত ছাপানো হয়েছে। বোধয় নামটি পেপারে দেখে পছন্দ হওয়াতে ২০০৮ এর অক্টোবর-এ আপনি আপনার একটি নাটকের নাম রেখেছেন-"ভালোবাসার হলুদ বৃষ্টি", "রোদ" শব্দের জায়গায় শুধু "হলুদ" শব্দটিই বসিয়ে দিয়েছেন। বৃষ্টি কি কখনো হলুদ হতে পারে?" এমন প্রশ্নের জবাবে "বৃষ্টি কখনো হলুদ হতে পারেনা" লিনুর এক বান্ধবীর মন্তব্য।
লিনুর অন্য এক বান্ধবীর মন্তব্য "ভালোবাসার হলুদ বৃষ্টি" নামটির চেয়ে "ভালোবাসার রোদ বৃষ্টি "নামটি শ্রুতি মধুর ও তাৎপর্যপূর্ণ । শেষে লিনুই "এ আমার অনিচ্ছকৃত ভূল ,সরি।" বলে কৃত ভুলের মার্জনা কামনা করে মহৎ হৃদয়ের পরিচয় দেওয়াতে বয়সে বড় লিনুর আচরণে স্যার মুগ্ধ হন। শেষে দু'পক্ষ-ই "আবার দেখা হবার" আশ্বাস দিয়ে একে অপরের কাছ থেকে হাসি মুখে বিদায় নেন। বই মেলায় এভাবে আরো কথা হয়- কথাশিল্পী রাবেয়া খাতুন, আনিসুল হক ,জাফর ইকবাল, আসলাম সানী,কাজী হায়াৎ (চিত্র পরিচালক), ডাঃ শুভাগত চৌধুরীসহ নবীন-প্রবীন আরো অনেক কবি-লেখক-প্রকাশক ও প্রচ্ছদ শিল্পীদের সাথে। বহুমুখী প্রতিভার কারণে তিনি খুব সহজেই যে কারো প্রিয় হয়ে উঠেন ক্ষনিকের মধ্যে। এছাড়া ব্যাঙ্গালোর ইউনিভাসির্টির প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে তিনি সর্বত্র সর্বজন শ্রদ্ধেয়। মেলা চলাকালীন সময়ে টি এস সি, নজরুল মঞ্চ, বাংলা একাডেমী ও মেলার বিভিন্ন স্টলে দাঁপিয়ে বেড়িয়ে মেলার দিনগুলো অতিবাহিত করার পর অডিশানের মাধ্যমে প্রথমে মনন থিয়েটারে ও পরে লোকো নাট্য দলে নাট্যাভিনেতা নির্বাচিত হন ।এ দুই থিয়েটারের ওয়ার্কশপ চলাকালীন সময়ে অন্যান্য নাট্যশিল্পীদের মাতিয়ে রাখেন বিভিন্নভাবে সব সময়। কখনো গান শুনিয়ে, কখনো আড্ডা দিয়ে, কখনো বা ব্যাঙ্গালোরের বা বই মেলার গল্প শুনিয়ে, কখনো বা দুষ্টামী করে। মানুষ হিসেবে তিনি অনন্য, অসাধারণ, অত্যাধুনিক, নিরহংকারী, সহজ-সরল, সত্যবাদী, ন্যায়পরায়ন, বিনয়ী, কর্তব্যপরায়ন ও দেশপ্রেমিক । অপছন্দ করেন-মিথ্যুক, হিংসুক, নিন্দুক, অহংকারী, স্বার্থপর, চোর, প্রতারক ও বেঈমানকে।
এরই মাঝে "১৮ তম জাতীয় নবীন চিত্রশিল্পীদেঁর চিত্র প্রর্দশনী"তে অংশগ্রহণের জন্য "বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী" (রমনা,ঢাকা) কতকৃ আমন্ত্রিত হন । শুনে তিনি আবেগাপ্লুত, এ যেন আকাশের চাদঁ হাতে পাওয়া । আমন্ত্রণ পত্রটি প্রথমে আসে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার সরকারী বাসায়। স্যারের মাতা (তারঁ পিতার অজ্ঞাতে) স্যারের ঢাকার বাসার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেন। স্যার তখন ঢাকায় তেজগাঁও এর পূর্ব রাজার বাজার মর্জিনা নিবাসের ২A ফ্ল্যাটে থাকতেন (সংসদ ভবনের নিকটে)। কিন্তু একটা চিত্রকর্মও তখন তাঁর হাতের ধারে কাছে ছিল না। যা ছিল তার বেশির ভাগ ব্যাঙ্গালোরের বাসায় রেখে এসেছিলেন (কারণ, বাংলাদেশে এসেছিলেন মাত্র ১ মাসের জন্য), বাকি ৭/৮টি ছিল বাংলাদেশের কক্সবাজারের কুতুবাদিয়ার বাসায়। যা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠালে অক্ষত থাকার সম্ভবনা খুব কম। অফিস থেকে ৩/৪ দিন ছুটি পাওয়াও দূষ্কর, তাই নিজে গিয়েও চিত্রকর্ম গুলো আনার কথা ভাবতে পারছেন না ।এছাড়াও তাঁর অহংকারী পিতার নেতিবাচক মন্তব্যের তীরে বিদ্ধ হয়ে মানসিক ভাবে বিপর্যস্থ হবার ভয়ে কুতুবদিয়ায় যে চিত্রকর্ম গুলো করা ছিল তার একটিও ঢাকায় নিয়ে আসার সাহস পাচ্ছেন না। কুতুবদিয়ায় চিত্রকর্ম আনতে যাওয়া মানে শিল্পকলা একাডেমীর আমন্ত্রনের খবর তারঁ পিতাকে জানিয়ে দেওয়া যাতে তিনি সমস্ত শক্তি দিয়ে অহেতুক বিরোধীতা করে থামিয়ে দেন প্রদশর্নীতে ছেলের অংশগ্রহণকে। শেষ-মেষ উপায় না দেখে প্রতিদিন চাকরির কাজকর্ম তড়িঘড়ি শেষ করে নতুন করে চিত্রকর্ম তৈরীর কাজে লেগে যান। কিন্তু হাতে ছিলনা পর্যাপ্ত সময় । কারণ আমন্ত্রন পত্রটি পাঠানো হয়েছিল কুতুবদিয়ার বাসার ঠিকানায় । স্যারের চাকরিজীবী মা স্বামীর কাছ থেকে লুকিয়ে ছেলের ঢাকার বাসায় পাঠাতে এমনিতে দেরী হয়ে গেছে অনেক। এছাড়া মিস্টার চৌধুরীকে প্রতিদিন চাকরির পেছনে এবং লোক নাট্য দলের ওর্য়াকশপের পেছনে প্রচুর সময় দিতে হয়। রাতে নিয়মিত ঘন্টাখানেকর জন্য বসতে হয় সাংস্কৃতিক সংগঠন "ক্রান্তি'' র শিল্পীদের সাথে সমবেত সংগীত রিহার্সেলে। তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিযোগিতার জন্য চিত্রকর্ম তৈরী করা এত ব্যস্ত একজন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় বুঝতে পেরে তিনি চাকরি রিজাইন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন । কিন্তু কোম্পানীর পাচঁ জন ডিরেক্টরের প্রত্যেকে চাকরিতে তার যোগদানের পর থেকে কোম্পানীতে তারঁ কর্মকান্ড, সৌজন্যবোধ এবং ব্যাঙ্গালোরে ইউনিভার্সিটির (কম্পিউটার সায়েন্সে) গ্রাজুয়েশানের সার্টিফিকেটের কারণে তাকে (একই কোম্পানীর) ভারত (ব্রাঞ্চে ) - এ তাঁদের ব্যবসায়িক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য কান্ট্রী ডিরেক্টর পদে মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নেন । তারঁই উপরস্থ কর্মকর্তাদের মুখে সুসংবাদটি শুনে অত্যধিক খুশি হলেও পরক্ষণে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। কারণ তিন লাখ টাকা বেতনের "কান্ট্রী ডিরেক্টর" পদের চাকরি মানে নিশ্চয় দায়িত্বভারটাও অনেক বড়। এখন কর্মকর্তা পদের চাকরির পাশাপাশি লেখালেখি চালিয়ে যাবার একটুও সময় তিনি পাচ্ছেন না,পাচ্ছেন না আঁকা আকিঁ করার একটু সময়। অতবড় দায়িত্বের চাপে পড়ে নিশ্চয় তার সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ভেস্তে যাবে, তাঁর কাছে টাকা পয়সা সবকিছু নয়, সংস্কৃতিটাই হচ্ছে তাঁর প্রাণ, সেই প্রাণ ছাড়া বেচেঁ থাকা অর্থহীন। গরীবের ঘরে জন্মালে হয়ত সংস্কৃতির চেয়ে টাকা পয়সাকে বেশি মুল্যায়ন করতেন , কিন্তু ছেলেবেলা থেকে তিনি অভাব কাকে বলে,দেখেননি। তাই তিনি নিজ সিদ্ধান্তে অটল থেকে রিজাইন লেটার লিখে জমা দেন ।কিন্তু কর্তারা রিজাইন লেটার রিসিভ না করে রেখে দেন- কারণ দর্শানোর অনুরোধ করেন এবং তার বেতনের ২৫০০০ টাকা আটকে রাখেন।যেহেতু তারা রিজাইন লেটার গ্রান্ট করছেনা সেহেতু তিনি অসুস্থ্যতা দেখিয়ে ছুটি নিয়ে চিত্রকর্ম তৈরীর কাজে লেগে যান। রাতের ৩টা/৪টা অবধি কাজ করে কখনো ক্লান্ত হয়ে পড়লে ঘুমিয়ে পড়তেন। কোম্পানীর কর্তারা চিঠি দিয়ে শীঘ্র চাকরিতে যোগদানের অনুরোধ জানান। যোগদান না করলে তার বিরুদ্ধে মামলার ভয় দেখান। সপ্তাহখানেকের মধ্যে তিনটি চিত্রকর্মের প্রায় প্রত্যেকটির ৯০ শতাংশ কাজ শেষ করেন এবং সে অবস্থায় চিত্রকর্ম তিনটির ফটোগ্রাফ জমা দিতে গিয়ে জানতে পারেন- শিল্পকলা একাডেমী চিত্রকর্মের ফটোগ্রাফ জমা দেয়ার সময় বাড়িয়েছে আরো তিনদিন । সেই তিনদিনের মধ্যে বাকি ১০ শতাংশ কাজ শেষ করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীতে চিত্রকর্ম তিনটির ফটোগ্রাফ জমা দেন। ততদিনে চিত্রকর্ম তৈরীর পেছনে অত্যধিক পরিশ্রমের কারণে এবং আটকে রাখা বেতন ও কোম্পানীর দেয়া মামলার হুমকির দুঃশ্চিন্তার কারণে তিনি সত্যি সত্যি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। শিল্পকলা একাডেমী এক সপ্তাহের মধ্যে মূল চিত্রকর্মগুলো বাঁধাই করে জমা দিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তখন তিনি অত্যধিক অসুস্থ্তার কারণে ডাক্তারের পরামর্শে রেস্ট নিচ্ছেন ও ওষুধ সেবন করছেন । ২ দিন রেস্ট নেবার পর অসুস্থ্যতা স্বত্বেও তৃতীয় দিন কলাবাগানাস্থ গ্রীণরোডের চিত্রকর্ম বাঁধাইকারী দোকান গুলোর সাথে আলাপ করেন, কিন্তু চারদিনের মধ্যে করে দিতে হবে শুনে কেউ নিতে রাজি হয় নি । সেদিন তাঁর পিতার জরুরী ফোন এলো "তার নামে জমি রেজিষ্ট্রি নেয়া হচ্ছে, তাই কাল দুপুরের মধ্যে তাকে কুতুবদিয়া পৌছঁতে হবে। "শুনে যেন আকাশ থেকে পড়লেন। ঢাকায় থাকলে হয়ত কালকের মধ্যে তিনি বেশি টাকার লোভ দেখিয়ে কোনো বাধাইকারীকে রাজি করতে পারতেন। তাই কুতুবদিয়া না যেতে অনেক কাকুতিমিনতি করলেন, কিন্তু কোনো কাজ হলো না।তাই ১০ ঘন্টার দীর্ঘ যাত্রার জন্য ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর সাথে যোগাযোগ করেও রেন্টে কোনো কার/ মাইক্রো না পাওয়ায় রাতের ৯ টায় কলাবাগানস্থ গ্রীণ রোডের বাস কাউন্টারে গেলেন। তখন ছিল শীতকাল। সবাই কক্সবাজার পিকনিকে যাচ্ছে। তাই বাসের টিকেট পেতে একটু কষ্ট করতে হলো।00000 বাসে উঠে তিনি কাঁদলেন। সপ্তাহখানেক আগে যদি তারঁ পিতা তাকে কুতুবদিয়া যেতে বলতেন তবে রাত জেগে কাজ করে অসুস্থ্য হতে হতোনা, কুতুবদিয়ায় রেখে আসা চিত্রকর্মগুলো নিয়ে এসে এতদিনে বাঁধাই করে শিল্পকলা একাডেমীতে জমা দিতে পারতেন। তিনি বিশ্বাস করেন-বিপদ যখন আসে,লাঠিমের মত ঘুরতে ঘুরতে র্দুবল অংশের উপর দিয়েই আঘাত হানতে আসে । হলোও তাই।

বাকিটা কয়েক দিন পর দেয়ার চেষ্টা করা হবে। ধন্যবাদ।



সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০১২ রাত ১০:০২
২৯টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×