লিখা তখনই অন্যের মনকে স্পর্শ করবে যখন আপনার কলম আপনার মনকে অনুসরণ করবে---- আপনি মনে লালন করছেন এক আর লিখছেন অন্যরকম শুধুমাত্র যশ খ্যতি বাড়াবার জন্যে, তখন তা লিখার মধ্যেই ফুটে উঠে। ফেসবুক ব্লগে অনেককেই হাল্কা পাতলা লিখালিখি করতে দেখি--- ব্যাক্তি জীবনের ঐ মানুষটির আচার আচরনের সাথে তার লিখার ভাব বাচ্যের আদৌ কোন মিল খুঁজে পাইনা...।যদিও তিনি বা তিনারা নিজেদের একটা স্বতন্ত্র অবস্থানে রেখে (নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে) অন্যের দুষ ত্রুটি, সমাজের, ধর্মের বিচ্যুতি, রাজনৈতিক ইত্যাদি বিষয়ের অবতারনা করেন। যদিওবা ব্যক্তি জীবনে উনি সবচেয়ে বড় ভণ্ড,প্রতিনিয়ত সমাজের পরিবারের সাথে প্রতারনা করে যাচ্ছেন !
আমরা প্রিতিনিয়ত নিজের সাথেই নিজে প্রতারনা করে যাচ্ছি---- ধর্মের সাথে প্রতারনা করে যাচ্ছি--- দেশের সাথেও।
উদাহরন দিচ্ছি, এই কয়দিন আগেও ফ্রান্সের পতাকা দিয়ে আমরা শোক প্রকাশ করেছি, আবার তুরস্কের ঘটনায় শোক প্রকাশ করিনি ! (যদিও আমি এর মধ্যে নেই) ।
হুমায়ুন আহমেদ এর লিখা মানুষ কেন এত ভালবেসেছিল? কারন উনি মনে যা আসতো তাই লিখতেন , মনের বিপরীতে কিছুই লিখতেন না বা ভণ্ডামির আশ্রয় নিতেন না।।
অতএব লিখুন যা আপনি বিশ্বাস করেন, বা করেন--- লিখবেন না যা আপনি করেন না বা করতে পারবেন না। এটাকে একটা নতুন নাম দেয়া যায় ''লিখ্যভণ্ড
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ২:২৬