রাত দিন চব্বিশ ঘণ্টা চুলোর মধ্যে আগুন থাকতো, বিল ছিল প্রত্যেক চুলো অনুযায়ী মাত্র ১৮০ টাকা--- ভাবতাম শায়েস্তা খাঁর জমানায় আছি--- আমার একটা স্বভাব ছিল যখনই পাক ঘরে ঢুকতাম চুলো বন্ধ করে দিতাম-- দেশের জ্বালানির অপচয় এবং আগুন লাগার শঙ্কা থেকে কিছুটা--- শঙ্কা একদিন সত্যি হল--- চুলোর উপরে শেলফের মত জায়গায় কাপড় শুকোতে দেয়া ছিল, যা প্রায় সবসময়ই দেয়া হত।।
-- হয়তো কাপড় পড়ে গিয়েছিল তাই আগুন ধরে গিয়েছিল--- দীঘির পাড় দিয়ে পরিচিত একজন যাচ্ছিলেন, ভেন্টিলেটরের ফাকে আগুন দেখে দৌড়ে এসে ঘরে ঢুকলেন, সবাই মিলে আগুন নিয়ন্ত্রন করলাম---ভাগ্যিস ওই ভদ্রলোক দেখেছিলেন----!! ঘটনাটা ৯০ দশকের...।।
এখন কাকে দুষ দিব সরকার কে না নিজেদের?? !
বাঙ্গালির এই আরেক মুদ্রা দোষ, খালি সরকারের পাছায় আগুন দেয়া...।।
এখন আবার কি একটা বাহির হইছে, সিলিন্ডার গ্যাস।। বাংলাদেশের মত একটা দেশ যেখানে মানুষের নুন্যতম দায়িত্ববোধ দেখা যায় না, সেখানে সিলিন্ডার গ্যাস কতোটুকু বিপদজনক তা তো দেখা যাচ্ছে অহরহ।। গাড়িতে বাড়িতে সর্ব ক্ষেত্রেই সিলিন্ডার গ্যাসের ছড়াছড়ি, নাই কুনো নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং যথাযথ আইনত ব্যবস্থাপনা ও পর্যবেক্ষণ --- ।। পুরনো সিলিন্ডারে বার বার গ্যাস ভরে চালান দেয়া হচ্ছে-- এর কুনো প্রতিকার নেই...।।
এল পি জি সিস্টেমে এই দেশে ও গাড়ি চলে, কই কুনো দিন কোথাও দেখিনি গাড়ির বিস্ফোরণ।
অ্যামাজন কোম্পানিতে কাজের সুবাদে দেখেছি দ্রাহ্য পদার্থ যেমন অক্সিদাইজার, এরোসল, করসিভ, ফ্লেমাবেল আইটেম এর জন্যে বিশেষ ধরনের আলাদা স্টোরেজ। আর বড় কথা হচ্ছে দ্রাহ্য পদার্থের ফ্যাক্টরি কুনো ভাবেই জনবহুল এলাকায় হয় না, এগুলোর জন্যে আলাদা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকা থাকে--- সেখানে বাংলাদেশে অলিতে গলিতে চিপা চাপায় রাসায়নিক ফ্যাক্টরি।। তাই চকবাজারের ঘটনার দায় সরকারের উপর ও বর্তায়।
ভাউ, খালি কাপড় চোপড় আর চুলের ফ্যাশনে পশ্চিমাদের মত হওয়া যায়না,তাদের মত দায়িত্ব বোধ এবং দেশপ্রেম ও থাকতে হয় ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৪৭