মানুষের ভাষার বেশ কতগুলো শব্দ রপ্ত করে বিজ্ঞানীদের হতবাক করে দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি চিড়িয়াখানার এক হাতি। এই বিস্ময়কর জীবটি এশিয়ান এলিফ্যান্ট গোত্রের – আর তার নাম কোশিক।
তো কোশিক নামের এই হাতিটি চিড়িয়াখানার যে কর্মীরা তার দেখাশুনো করেন, তাদের দিব্বি নকল করতে পারে, ভেঙাতে পারে – আর সবচেয়ে বড় কথা, তারা যে ভাষায় কথা বলেন তার কয়েকটা শব্দও ভালই আওড়াতে পারে।
প্রশিক্ষকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কোশিক প্রায়ই বলে থাকে চোয়া, চোয়া – কোরীয় ভাষায় যার অর্থ ভাল। কোশিকের শব্দের ভাঁড়ারে রয়েছে কোরীয় ভাষার আরও অনেকগুলো শব্দই – যার অর্থ হ্যালো, বসে পড় ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু কীভাবে ওই হাতিটি আয়ত্ত করল মানুষের এই ভাষা ? এই রহস্য উদ্ধারে নেমেছিলেন অস্ট্রিয়ার ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েনার বিজ্ঞানীরা – আর কোশিককে নিয়ে বিস্তর কাঁটাছেড়া করার পর তারা রায় দিয়েছেন, এই হাতিটি যে শব্দগুলো উচ্চারণ করছে সম্ভবত সে তার অর্থ না-বুঝেই সেটা করছে।
কিন্তু তাই বলে তার কৃতিত্বকে খাটো করে দেখার কোনও কারণ নেই – কারণ বিজ্ঞানীরা একই সঙ্গে বলেছেন, মানুষের কথা বলার ভঙ্গী নকল করার যে ক্ষমতা কোশিকের আছে, সেটা একটা অসাধারণ ব্যাপার।
মানুষের কথ্য ভাষার উদ্ভব ঠিক কীভাবে হল, তা নিয়ে গবেষণার জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জোগাতে পারে কোরিয়ার এই বিস্ময়-হাতি – জানিয়েছেন তারা!
বিবিসি বাংলা
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:২৪