শয়তান মানুষের চির শত্রু, যে ঘরে সে প্রবেশ করে ঐ ঘরের পরিবেশকে বিনষ্ট করে দেয়, পরিবারের সদস্যদের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টি করে।
এই শত্রু থেকে ঘরকে সংরক্ষণের কতিপয় আমলঃ
১. ঘরে প্রবেশ করার সময় নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করাঃ
(বিসমিল্লাহি ওলাজনা ওয়া বিসমিল্লাহি খারাজনা, ওয়া আলাল্লাহি রাব্বিনা তাওয়াক্কালনা)। (আবুদাউদ)
২. ঘরে প্রবেশ করে সেখানে অবস্থানরত লোকদেরকে সালাম দেয়া।
আল্লাহর বাণীঃ
অর্থঃ“ তবে যখন তোমরা গৃহে প্রবেশ করবে তখন তোমরা তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম করবে অভিবাদন স্বরূপ যা আল্লাহর নিকট হতে কল্যাণময় ও পবিত্র”। (সূরা নূর-৬১)
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
অর্থঃ“ তুমি যখন তোমার ঘরে প্রবেশ করবে তখন সালাম দিবে তা তোমার জন্য এবং তোমার পরিবারের জন্য বরকত হবে”। (তিরমিযী)
৩. পানাহারের সময় দোয়া পাঠ করাঃ
রাসূলুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
অর্থঃ“ যখন কোন ব্যক্তি তার ঘরে প্রবেশ করার সময় এবং খাবার খাওয়ার সময় দোয়া পাঠ করে তখন শয়তান বলেঃ আজ এখানে তোমাদের রাত্রিযাপন এবং নৈশ ভোজের কোন সুযোগ নেই”। (মুসলিম)
৪. ঘরে সূরা বাকারা তেলওয়াত করা।
রাসূলুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
অর্থঃ“সবকিছুরই একটি চুড়া থাকে আর কোরআনের চুড়াহল সূরা বাকারা, শয়তান যখন সূরা বাকারার তেলওয়াত শুনে তখন সে ঐ ঘর থেকে বের হয়ে যায় যেখনে তা তেলওয়াত করা হয়”। (হাকেম)
৫. গান-বাজনা এবং গান-বাজনার সরন্জাম থেকে ঘরকে পরিচ্ছন্ন রাখা। কেননা আল্লাহ্র যিকির যেমন শয়তানকে দূরে রাখে তেমনিভাবে গান এবং বাদ্য যন্ত্রের আওয়াজ রহমতের ফেরেশ্তাগণকে দূরে রাখে। আর ঘর থেকে যখন ফেরেশ্তাগণ বের হয়ে যায় তখন ওখনে শয়তান তার রাজত্ব কায়েম করে।
আল্লাহর বাণীঃ
অর্থঃ“ তোর আহ্বানে তাদের মধ্যে যাকে পারিস তাকে সত্যচুত কর” । (সূরা বানী ইসরাঈল- ৬৪)
মুজাহিদ এই আয়াতের তাফসীরে বলেছেনঃ গান-বাজনা হল শয়তানের আওয়াজ।
৬. ছবি এবং বিভিন্ন জীব জন্তুর মূর্তি থেকে ঘরকে পরিচ্ছন্ন রাখা।
রাসূলুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
অর্থঃ“ যে ঘরে মূর্তি বা ছবি থাকে সেখানে ফেরেশ্তা প্রবেশ করে না”। (মুসলিম)
৭. ঘরকে কুকুর থেকে পরিচ্ছন্ন রাখা।
রাসূলুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
অর্থঃ“ যে ঘরে ছবি এবং কুকুর থাকে সেঘরে ফেরেশ্তা প্রবেশ করে না”। (বোখারী)
--- [সংগৃহীত]
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২