বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, হাতি গর্ত তে পড়লে চামচিকাও লাথি মারে!
যারা তাদের জীবন নিয়ে চিন্তায় আছে, চামচিকার মতো আমরাও ফ্রিতে তাদের জ্ঞান দিতে জানি
সময়ের সাথে হেরে যাওয়া মানুষ গুলোকে আপনি হাজার "মোটিভিশেন স্পিচ" দিলেও তার হারকে কখনোই আপনি ভুলাতে পারবেন না! বরং আপনি সাফল্যের যে আশার বানী শুনাবেন এতে
হয়তোবা তার হতাশা আরোও বেড়ে যেতে! ইস! সবাই এক সময় সাক্সেস হচ্ছে! আর আমি পারি নাহ! কেন?
কিংবা কেউ ভাবে আমার সব শেষ! আমার দ্বারা আর কিছুই হবে নাহ!
হেরে যাওয়া মানুষগুলো যখন মৃত্যুর খুব কাছে এসে দাঁড়ায় অনাকাঙ্ক্ষিত কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছায়, তখন আপনার এই "মোটিভেশন স্পিচ" কোন কাজে আসবে নাহ!বিলিভ ইট! কোনো কাজে আসবে নাহ!
পারলে যদি পারেন তার ইচ্ছা পূরণ করায় দেন!
পারলে কিংবা এমন কিছু বুঝতে পারলে তাদের নিয়ে একটু ঘুরে আসুন মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরানো বার্ণ ইউনিটে! দেখান তাদের বেঁচে থাকার আকুতি! সে হয়তোবা মরার কথা নিজেই ভুলে যাবে!
একটা ঘটনা বলি,
পরিচিত এক ছেলে ছিলো। সকাল বিকেল এটা সেটা নিয়ে যখন বাসায় গন্ডগল করতো আর কথায় কথায় চলত মরার হুমকি! এতে বাসায় অশান্তি লেগেই থাকতো ! আর কিছু বার অযথা সুইসাইডের ব্যার্থ চেষ্টা দেখাতো! সর্বশেষ ছেলেটি গলায় দড়ি দেয়, এবং ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়! আর এটাই ছিলো শেষ চেষ্টা! মৃত্যুর দুয়ার থেকে বেঁচে এসে সে বুঝছে মৃত্যুর জ্বালা কি!! এর পর আর ঘুনাক্ষণেও ভুলেই একবার মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে নাই সুইসাইড করার কথা!
আসলে মৃত্যুর যন্ত্রণায় কাৎরানো মানুষ গুলোর মুখের দিকে তাকালেও বুঝা যায় জীবনের মূল্য কত!
তারা জানে নাহ, এ বিশ্বে দেখার অনেক কিছু বাকি!
যার যার ট্রাকে সে চলতে ভালোবাসে আপনি হাজারো চেষ্টা করলেও তার ট্র্যাক চেঞ্জ করে তাকে হ্যাপি করতে পারবেন নাহ!
তার ট্যাকেই তাকে জিততে হবে!
You can never change their dream for their happy.
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১৬