– ওই দেখো কত্ত লাড্ডু!
– কি! বাগানে লাড্ডু কই?
– ওই যে! ওই ডালে সবচেয়ে বেশি!
– উফফ! ওইগুলো লাড্ডু! আম কে কেউ লাড্ডু বলে! পাজি মেয়ে!
– গুলু গুলু সবকিছুই তো লাড্ডু!
– তুমি আর বড় হবা না!
– বড় কি করে হয়?
– আহ! আবার ফাজলামি করছো।
দিপা হাসি দেয় কথা বাড়ায় না আর। দুইজন হাটে.. হাটতেই থাকে অজানা উদ্দেশ্যে। মাঝে মাঝেই বিকেল দেখতে বের হয় আবির আর দিপা। বিকাল দেখা? ঠিক তা নাহ। ওই সূর্যাস্ত দেখা কিংবা গোধূলির লাল আকাশ!
-দেখো, দিপা আজ আকাশটা সেই দিনের আকাশের মতো! লাল-নীল আকাশ আর যেনো মেঘের অদ্ভুত শিল্প! এই আকাশ দেখতে দেখতে আমাদের হঠাৎ দেখা হয়েছিলো এক আঁকা-বাকা মেঠো পথে!
– সব মনে আছে তাই নাহ! জানো আমার কাছে এখনো সব কেমন স্বপ্ন স্বপ্ন লাগে!
– স্বপ্ন লাগুক আর যাই লাগুক। আমার কিন্তু দারুন লাগে দিপা! আর লাগে লতোমার আমার সন মিল গুলোও!
– মিল! কোনটা যেনো? ভুলে গেছি!
চুপ করে থাকে আবির! সত্যিই কি দিপা সব ভুলে যায়। নাকি মজা করছে। ইদানিং দিপা কেমন জানি করে। সিরিয়াস মজা নাকি বুঝা কষ্টের। ওর অভিমানও আজকাল বুঝা বড্ড মুশকিল। পাল্টে যাচ্ছে দিপা? চিন্তায় চুপচাপ দিপার হাত ধরে হাটতে থাকে আবির।
– এই আবির চলো আজকে হারিয়ে যাই!
আবির চুপ।
-ওই আবির চলো না।অনেকদিন হারিয়ে যাই নাই!
-কোথায় হারাতে চাও দিপা?
-হুহ! সব ভুলে যাও তুমি! পচা হয়ে গেছো একদম!
আবির চুপ। আকাশে তাকিয়ে থাকে। কি হয় দিপার? ৭ বছরের সম্পর্ক আজকাল কেমন অচেনা হয়ে যাচ্ছে। দিপার কথাবার্তা,চাওয়া পাওয়া, ইচ্ছা কেনো বুঝতে পারে না আবির! অপরাধবোধ আক্রমণ করে বসে নিজের মনের ভেতর!।
-ওইইই আবিরর! চলো হারিয়ে যাই!
দেখো রেল লাইন! মনে আছে, আগে প্রায় কলেজ শেষেই আমরা দু’জনের হাত ধরে হাটতাম। অনেক দূর! আর শেষ বলতে একদম গোধূলি শেষ লগ্ন!
আবিরের হুস ফিরে। ভালোবাসা বিলিয়ে দেওয়ার যেই সুপ্ত ইচ্ছাটা যেনো এক লাফ দিয়ে বের হয়ে আসে। হারিয়ে যাওয়া সব রোমান্টিকতা যেন হু হু করে উপচে পড়ে! আসতে করে মুচকি হেসে বলে আবির,
-চলো………….
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪