সীমান্তে ছিলাম আমি প্রহরী
কাটিয়েছি অনকে নির্ঘুম রাত।
উপভোগ করেছি কতো জোৎস্না;
দেখেছি চন্দ্র ও সূর্যের গ্রহণ।
কিন্তু সীমান্ত পেরিয়ে আমি
যেতে পারিনি, যেতে পারিনি।
আমি দেশপ্রেমের সংজ্ঞা সম্পর্কে অবগত।
তাই বিশেষ দিনগুলি এলেই গর্জে উঠি,
সোচ্চার ধ্বণি দিয়ে গলা ফাটিয়ে
শহীদ মিনার কিনে নেই;
আর একাত্তরের সেই জঘন্য সংকলন।
আমি সবই করতে পারি।
পারি রাজনৈতিক দলের সাথে গিয়ে
শহীদ মিনারের বেদিতে ফুল দিতে।
পারি দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করতে।
আর পারি স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মত্যাগীদের
স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিতে।
এর বেশি আমি আর কিই-বা করতে পারি?
আমি জনতার কাছে অনলবর্ষী বক্তা হতে পারি।
মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে আমি
জনগণের ভোটে নির্বাচিত নেতা হতে পারি।
জনতার চোখে ধূলো দিয়ে রাষ্ট্রীয় সকল সম্পদ লুটে
নিজের অবস্থানকে শক্ত করে নিতে পারি।
আমি নিজ স্বার্থে আমার সিদ্ধান্ত
জনগণের কাঁধে চাপিয়ে দিতে পারি।
জাতির ক্রান্তিলগ্নে আমি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হতে পারি;
আমি আমার পূর্বপুরুষের নাম
ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ করতে পারি।
জনগণের এয়ারপোর্ট, স্টেডিয়াম ও সেতুগুলি
নিজ পরিবারের সদস্যদের নামে
নামকরণ করতে পারি।
আমি আমার দেশের সার্বভৌমত্ব
তথাকথিত বন্ধু রাষ্ট্রের কাছে বিকিয়ে দিতে পারি।
জনগণকে পরাধীনতার শেকলে
আবদ্ধ করতে পারি।
আর অসীম সীমাবদ্ধতার মাঝেও
নিজেকে অধিষ্ঠিত করতে পারি।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০০৯ রাত ১:২১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



