শেখ হাসিনার রাষ্ট্র
ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.)
হাফিজ উদ্দীন আহমেদ।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা সংসদ ও
সংসদের বাইরে প্রধান বিচারপতিকে
আক্রমণ করে বক্তব্য দিচ্ছেন। তারা দাবি
করছে- প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা
সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আঁতাত করে এ
ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতিকে আক্রমণ করে এ ধরনের
বক্তব্য দেয়া জাতির জন্য লজ্জাজনক বলেও
মন্তব্য করেন হাফিজ।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের
কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘রায়, সংবিধান,
নির্বাচন ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র’ শীর্ষক
আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভার আয়োজন করে অল
কমিউনিটি ফোরাম।
হাফিজ উদ্দীন বলেন, সরকার সবার সামনে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে
হেয় করার জন্য একের পর এক মামলা দিয়ে
যাচ্ছে।
‘মুক্তিযোদ্ধাদের অনুষ্ঠানে খালেদা
জিয়া যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে
রাষ্ট্রদ্রোহিতার কোনো লেশমাত্র নেই।
তিনি নিজেই একজন মুক্তিযোদ্ধা;
মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণার্থে তিনি
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় গঠন করেছেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার
দিকে আমরা তাকিয়ে রয়েছি। গণতন্ত্র
পুনরুদ্ধারের জন্য তিনি লড়াই করে যাচ্ছেন।
তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হাস্যকর।
এতে সারা বিশ্ব চমকিত হয়েছে।
হাফিজ বলেন, তাই এ সরকারকে বলতে চাই-
‘এদিন দিন নয় আরও দিন আছে।’
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া কি
ফেরারি? তার কি পরিচয় নেই? তিনি
তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং
মুক্তিযোদ্ধা। তার বাড়ির গেটে সমন না
টানিয়ে সম্মানজনক ব্যবস্থা করা যেত না?
হাফিজ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাবে
সেটা দিবালোকের মতো পরিষ্কার। আমরা
নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় যেতে চাই।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করে দেশের কল্যাণ
করতে চাই।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে
হাফিজ বলেন, ফুটবল খেলায় যদি রেফারির
লাল কার্ড না থাকে তাহলে ওই
রেফারিকে কেউ মানে না। বর্তমান
নির্বাচন কমিশন নিজেই ক্ষমতা চায় না। এ
নির্বাচন কমিশন দিয়ে কিছু হবে না। তাই
এ নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করছি।
সরকারকে হুঁশিয়ার করে বিএনপির এ নেতা
বলেন, সংবিধান নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি
না করে আপনারা পদত্যাগ করুন। সব
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা
করে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। আপনারাও বাঁচুন
জনগণকেও বাঁচান।