somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কওমী সনদের স্বীকৃতি: লাভ কি এবং ক্ষতি কী? (পর্ব: ০৩)

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কওমী সনদের স্বীকৃতি: লাভ কি এবং ক্ষতি কী? (পর্ব: ০৩)
-আবছার তৈয়বী
পড়ুন- ওহাবী কওমীদের রাষ্ট্রদ্রোহীতা, জাতিদ্রোহীতা ও নবীদ্রোহীতার উপাখ্যান:
ওহাবী-কওমীরা অনেক আগে থেকেই তাদের সনদের স্বীকৃতি দাবি করে আসছিলেন। ২০০৬ সালে ইসলামী ঐক্যজোটের ব্যানারে এখনকার হেফাজত নেতারাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সনদের স্বীকৃতি দাবি করেছিলেন। ওই দিন ঘোষণা দেয়া হয়, কওমী মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি ঘোষণা করছে সরকার। কওমী মাদ্রাসার সর্বোচ্চ ডিগ্রী দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের (ইসলামী শিক্ষা/আরবি সাহিত্য) সমমান দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাঁর কার্যালয়ে ওহাবী কওমী আলেমদের ডেকে এনে এ ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার ফাজিলকে ডিগ্রী এবং কামিলকে মাস্টার্সের সমমান করারও আশ্বাস দেন। তবে বেগম খালেদা জিয়ার ঘোষণা আর বাস্তবায়িত হয়নি। ওই ঘটনায় ওহাবী কওমী নেতারা চার দলীয় জোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনেরও ঘোষণা করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসলে সেই নেতারা আবার স্বীকৃতির দাবি তোলেন।তাদের দাবির প্রতি ইতিবাচক সাড়া দিয়ে সরকার কওমী মাদ্রাসা শিক্ষার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের আমীর আহমদ শফীকে চেয়ারম্যান করে ১৭ সদস্যের কমিশন গঠন করে। কমিশনের কো- চেয়ারম্যান হন শোলাকিয়া ঈদগাহ জামাতের খতিব এক কালের জঙ্গিনেতা এবং বর্তমান সরকারের আজ্ঞাবহ ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। সদস্য সচিব করা হয় গোপালগঞ্জের গওহরডাঙা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ রূহুল আমীনকে। এরপর থেকে দফায় দফায় সরকারের সাথে প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে বহু বৈঠক হয়। সর্বশেষ বৈঠক হয় ১১ এপ্রিল'১৭ গণভবনে। সেদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কওমী মাদ্রাসার সর্বোচ্চ ডিগ্রী দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের (ইসলামী শিক্ষা/আরবি সাহিত্য) সমমান দেয়ার কথা ঘোষণা করেন।

জানা যায়, সরকার ওহাবী-কওমীদের 'বেকাফ'সহ ৬টি বোর্ডের (৬টি বোর্ডে কারা আছেন, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় কী- তা নিয়ে আমরা পরে আলোচনা করবো) সমন্বয়ে গঠিত ‘কওমী সনদ বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ’ এর চেয়ারম্যান হেফাজত আমীর আহমদ শফির নেতৃত্বে পরিষদ ঘোষিত শর্তসমূহ মেনে সরকার সনদের মান দিতে সম্মত হয়েছে। কিন্তু সেই শর্তসমূহ কী? আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক সরকারের প্রতি ওহাবী-কওমীদের শর্তসমূহ: ১. কওমী মাদরাসার 'নেসাবে তালিম' সমুন্নত রাখতে হবে। (এই নেসাবে তালিম বা শিক্ষা পাঠক্রম নিয়ে আমরা পরে আলোচনা করবো।) ২. কওমী মাদরাসার মূলভিত্তি দেওবন্দের 'উসুলে হাস্তাগানা'র (আট মূলনীতি) আলোকে মান দিতে হবে, স্বীকৃতি নয়। ৩. সরকারি কোন ধরণের হস্তক্ষেপ চলবে না। ৪. কওমী মাদরাসার পরীক্ষাসমূহ ও নিয়ম-নীতিমালা কওমী আলেমগণই ঠিক করবেন। সরকারের কোন কর্তা ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ চলবে না। ৫. কওমী সনদ সমন্বয় পরিষদ বা কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বা কো-চেয়ারম্যানের পদে সবসময় কওমী আলেম মনোনীত ব্যক্তিই থাকবেন। সরকারি কর্মচারী বা কর্মকর্তা চেয়ারম্যান বা কো-চেয়ারম্যান পদে থাকতে পারবে না। ৬. সরকারের কোন রকম সাহায্য সহযোগিতা কওমী মাদ্রাসা গ্রহণ করবে না। সাহায্যের নামে কওমী মাদ্রাসার উপর হস্তক্ষেপ ও নজরদারি করা যাবে না। ৭. কওমী মাদরাসা নেসাবে তালিম ও পরিচালনার ক্ষেত্রে সার্বিক স্বাধীনতা কওমী আলেমদের হাতে থাকবে, শুধুমাত্র দাওরা হাদিসের সনদকে সমন্বয় কমিটির সত্যায়নে সরকার সনদের মান দিবে। তার মানে- যেই লাউ, সেই কদু। এই লাউ বা কদুকে সরকার সুমিষ্ট ফল হিসেবে জাতিকে খাওয়াতে চায়। আর আপত্তিটা সেখানেই। কারণ, 'ওহাবী-কওমীদের সবকটি শর্তই সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং জাতিদ্রোহিতার শামিল'। আসুন- আমরা সে সম্পর্কে আলোচনা করি।

বাংলাদেশে স্বীকৃত যতোগুলি শিক্ষাপ্রাতিষ্ঠান আছে, সবগুলোই সরকারি কর্তৃত্বেই চলে। সবগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুমোদন, শাসন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছে- শিক্ষা অধিদপ্তর এবং বোর্ড কর্তৃপক্ষসমূহ। দেখভাল করার জন্য প্রতিটি উপজেলায় আছে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং জেলায় আছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। এছাড়া জেলা প্রশাসন প্রতি জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সরকারি পর্যায়ে সার্বিকভাবে দেখভাল করে থাকে। প্রাথমিক শিক্ষার জন্য রয়েছে- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য রয়েছে আলাদা 'বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন'। সারাদেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় যথাক্রমে এসব বোর্ড, অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয় ও কমিশনের আওয়াতাধীন। সেখানে একমাত্র কওমী মাদ্রাসাতেই সরকারি কোন নিয়ন্ত্রণ, অনুশাসন ও তদারকি এমনকি কোন প্রতিনিধিও থাকতে পারবে না- তা ভাবা যায়? তার মানে ওহাবী-কওমীরা সরকারের প্রতি এই শর্তারোপ করে একথা জানিয়ে দিলেন না যে, তারা সরকারের চেয়েও বেশি শক্তিশালী। ওহাবী-কওমীরা কারো অধীনে নয়; বরং তাদের সাম্রাজ্যে তারাই স্বাধীন! বাংলাদেশের আইন-কানুন সেখানে চলতে পারবে না! কতবড় কথা! এই উদ্ধত্যপনা কি সরকারকে অস্বীকার করা নয়? সরকারকে অস্বীকার করা মানে কি রাষ্ট্রদোহীতা নয়? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি ভেবে থাকেন- এটা সরকারকে অস্বীকার করা নয়, তাহলে আমাদের বলার কিছুই নেই। কিন্তু এটা যে জাতিদ্রোহীতার শামিল তা অস্বীকার করবেন কী করে? হ্যাঁ, এবার সেটাই আলোচনা করবো।

বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ওহাবী-কওমী কোন মাদ্রাসাতেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না। তার মানে- কোন ওহাবী-কওমী মাদ্রাসার অধিভূক্ত জায়গাগুলি বাংলাদেশের অন্তর্ভূক্ত না। যদি বাংলাদেশের অন্তর্ভূক্ত হতো, তাহলে বাংলার আকাশ আলোকিত করে নিশ্চয়ই সেসব প্রতিষ্ঠানেও ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা উড়তো। এটা সুস্পষ্ট জাতিদ্রোহীতা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা তো বটেই। বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত জাতির জনক ও প্রশাসনিক নির্বাহী 'প্রধানমন্ত্রী'র ছবি টাঙানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু কোন ওহাবী-কওমী মাদ্রাসাতে আপনি জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেখতে পাবেন না। কারণ, তারা 'জাতির জনক' মানেই না। প্রধানমন্ত্রীকে মান্য করার যে কসরত দেখছেন- তাও তাদের অভিনয়। কার্যত তারা প্রধানমন্ত্রীকেও মানেন না। যেখানে বাংলাদেশকেই মানেন না, সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে মানার প্রশ্নই আসে না। বাংলাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক লেবেলের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে 'জাতীয় সঙ্গীত' গাওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু কোন ওহাবী-কওমীর মুখে আপনি কোনদিনই জাতীয় সঙ্গীত শুনতে পাবেন না। তা শুধু তাদের মাদ্রাসাতে নয়, কোথাও না। কোন ওহাবী-কওমী জীবনে একবারও জাতীয় সঙ্গীতের একটি শব্দও মুখে উচ্চারণ দূরে থাক- তারা একে জাতীয় মনে-প্রাণে ঘৃণা করেন এবং পারলে আজই জাতীয় সঙ্গীত বদলে ফেলেন। এটাও সুস্পষ্ট রাষ্ট্রদ্রোহীতা এবং জাতিদ্রোহীতাও।

প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করতে হয়- মাত্র দু'দিন আগে আমার এক ওহাবী-কওমী ফেবু বন্ধু প্রকাশ্যেই পোস্ট দিয়ে বসেন- 'বাংলাদেশের জাতীয় কবি থাকতে 'মালাউন কবি'র (বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) সঙ্গীত গাইবো কেন? তাকে টেস্ট করার জন্য আমি বললাম- বেশতো! জাতীয় কবির গানই গাইতে পারেন। তিনি বললেন কোন গান গাইবো- প্রস্তাব করেন। ভেবে দেখলাম- তাকে যদি দেশ নিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কোন সঙ্গীত গাইতে বলা হয়, তাহলে শিরকের ধোঁয়া তুলে উড়িয়ে দেবেন। তাই আমি বুদ্ধি করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নবী (দরুদ) প্রশংসার অমর কবিতার দু'টি লাইন তার কাছে তুলে ধরলাম। বললাম এটি গাইতে পারেন- "নবী মোর পরশমণি, নবী মোর সোনার খনি / নবী নাম জপে যেজন সে তো দো'জাহানের ধনী"। তিনি কি বললেন জানেন? তিনি বললেন- 'এটাকেও বদলাতে হবে'! বললাম- কেন? তিনি বললেন- নবীর নাম জপবে কীভাবে? নবীর (দরুদ) দুশমন এই ওহাবী-কওমীকে আমি কীভাবে বুঝাই যে, আল্লাহ নিজেই তাঁর প্রিয় হাবীব (দরুদ) কে 'যিকির' বা জপ করতে বলেছেন। আল্লাহ বলেছেন- 'ইন্নামা আনতা মুযাক্কির'। এই বেয়াক্কেল ওহাবী-কওমীকে বললাম- এতেও যদি আপনার আপত্তি থাকে, তাহলে জাতীয় কবির 'শ্যামা সঙ্গীত' গাইতে পারেন। সে বললো 'শ্যামা সঙ্গীত' কী? এই মূর্খ, গোঁয়ার, দেশদ্রোহী, জাতিদ্রোহী এবং নবীদ্রোহীর সাথে আর কথা বলাটা সমীচীন মনে করিনি। হায়! আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই সব গোঁয়ার-গোবিন্দ, জাতিদ্রোহী এবং নবীদ্রোহীদের বেআইনি পন্থায় নির্বাহী আদেশে দেশের 'সর্বোচ্চ শিক্ষা সনদ' তুলে দিতে যাচ্ছেন! বাংলাদেশের জনগণের জন্য এর চেয়ে দুর্ভাগ্য ও লজ্জাজনক বিষয় আর কী হতে পারে- আপনারাই বলুন? (চলবে- ইনশাআল্লাহ)

(বি.দ্র.: জনসচেতনতা এবং সরকারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের লক্ষ্যে লেখাটি বেশি বেশি শেয়ার করুন। কপি করে অবিকৃতভাবে নিজেদের টাইমলাইন থেকে একযোগে পোস্ট করুন। মনে রাখবেন- আপনার একটি পোস্টেই দেশ ও জাতির প্রভূত কল্যাণ হতে পারে। সকলকেই ধন্যবাদ।)

তারিখ: ১৫ এপ্রিল, ২০১৭ খৃ.
আবুধাবি, ইউ.এ.ই।

সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২৩
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×