ঢং ঢং ঢং ...
ঘণ্টা বেজে উঠল।হুররে,, টিফিন, চল চল বেরহ বেরহ টিফিন টিফিন।বাচ্চারা কান ধরানো হৈ-হুল্লোড়ে পুরো স্কুল মাথায় তুলে নিল।স্যারদের ক্লাস ত্যাগ করার সমসময়ে দৌড়ে বেরিয়ে এলো মাঠে ছুটোছুটি আরম্ব করল এদিক ওদিক যে যার মত।বাচ্চাদের কোলাহলে পুরো স্কুল প্রাঙ্গন মুখরিত।ছোট বাচ্চারা একটু সুযোগ পেলেই খেলায় মেতে উঠে।তাই টিফিন পিরিয়ডে খাওয়ার চেয়ে খেলাই তাদের প্রিয়।কয়েকজনকে আইসক্রিম, চকলেট,ঝালমুড়ির দোকানে ভিড় করতে দেখা গেল।মেয়েদের দুই তিনটি দল মেতেছে বৌ-ছি,দড়িলাফ,জলে-ডাঙা, আর সাতচারা খেলায়।ছেলেরাও খেলছে মোরগ-লড়াই,শর্টক্রিজ ক্রিকেট, চাটকি নিক্ষেপ সহ বিভিন্ন খেলা।অনেকে আবার বেস্ত কাগজের নৌকা,পাখি,বিমান,আর ফুল বানানোর প্রতিযোগিতায়।
পলতু অন্য সবার মত বেস্ত। তার বেস্ততার বিষয় ভিন্ন। সে মাঠজোরে খুজে খুজে বের করতেছে তার এলাকার ছেলেদের।কি একটা নতুন খেলা শিখেছে সে।তাই নিয়ে কথা বলবে সবার সাথে। এক এক করে সবাইকে জড় করা হল।
শোন সবে।আমি নানিবাড়ি থেকে একটা নতুন খেলা শিখে আইছি।
কি খেলা রে পোল্টো?খুলে বল দেখিনি?
হে হে খুলে বল খুলে বল সবাই চেঁচিয়ে উঠল।
আরে বলছি বলছি চেঁচাচ্ছিস কেন।শোন,আজ স্কুল ছুটির পর বাসা থেকে বিকেলে সবাই ঐ জঙ্গলদারের মাঠে চলে আসবি।তখন তোদের বোজাব আর সবাই মিলে একসাথে খেলব কেমন। সবাই আসবি কিন্তু।
আসব বৈ কিরে অবশ্যই আসব।
ঠিক আছে ঠিক আছে যা এখন সবাই খেলগে।আর সময় মত চইলা আসবি।সবাইকে বিদায় দিয়ে পলতু অন্নদিকে চলে গেল।
পলতু পঞ্চম শ্রেণীর শেষ বেঞ্চের ছাত্র। লেখাপড়ায় তেমন মন নেই খেলাধুলা আর দুষ্টমিতে মশগুল থাকে সারাদিন। দিনের মধ্যে স্কুল বাদে যে সময় থাকে গ্রামের এদার থেকে ওদার চড়িয়ে বেড়ায়।মায়ের শত বকুনি আর বাবার চোখ রাঙ্গানি ডানপিটে দুষ্টর হাড্ডি পলতু কে এতটুকু দমাতে পারে না।
বিকেলে কথানুযায়ী সবাই জঙ্গলদ্বারের মাঠে উপস্থিত। পলতু সবাইকে নতুন খেলার নাম আর নিয়ম সম্পর্কে বলতেছে।
আজ আমরা যে খেলাটি খেলবো তার নাম চুর পুলিশ। আর নিয়মটা হল-
আমি ওখানে গিয়ে মাটিতে আমাদের ছয়জনের জন্য ছয়টি রেখা আঁকবো।প্রত্যেকটি রেখার মাথায় এক থেকে ছয় পর্যন্ত উলটপালট করে সংখ্যা লিখব। কাগজ দিয়ে সংখ্যাগুলো ডেকে রাখব।তোদের ডাকলে সবাই আসবি। প্রত্যেকে একটি করে রেখা ধরবি।কাগজ উঠানোর পর যার কপালে এক পরবে সে হবে প্রথম পুলিশ।পুলিশ চোখ বন্ধ রাখবে বাকিরা ঐ জঙ্গলে যার যার মত লুকাব।সংকেত দিলে সে চোখ খুলে আমাদের খুজে বের করবে। এক এক করে সবাইকে বের করতে হবে।সবিশেষ যাকে বের করবে সে হবে পরের বারের পুলিশ।কি কি বললাম বুজলি সবাই?
এটা কোন কথা বল্লিরে পলতু ? তুই বুজাবি আর আমরা বুজবনা?হা হা হা হেসে উঠল সবাই।
অনতিবিলম্বে পলতু নিজের কাজে চলে গেল। একটু পরে ডাক পরল। সবাই দৌড়ে এসে রেখা ধরতে হুমড়ি খেয়ে পরল।
হে হে হে হু হু হু হা হা হা জনি পুলিশ হয়েছে। যা যা ঐদিকে ফিরে চোখ বন্ধ কর। চুরি করে দেখার চেষ্টা করবি না বলে রাখলুম। তাহলে মাইর খাইবি বুজলি ।
হুম যা যা আমি তোদের মত না বুজলি?তোরা লুকা গিয়ে।
জনি চোখ বন্ধ করতে না করতেই সবাই ছুটাছুটি আরম্ব করল। ঝোপঝারে যে যেখানে পারছে লুকাচ্ছে।
আমরা সবাই নিজেকেএকটু বেশি চতুর প্রমান করতে চাই অন্নদের সামনে। পলতু ও এমনি কারনে লুকাতে জঙ্গলের অনেকটা ভিতরে চলে আসছে। অবশ্য পলতুর ভয়ের কিছু নাই। এই জঙ্গলে আম্মুর সাথে রান্নার জন্য লাকড়ি কুঁড়াতে এর আগে অনেকবার এসেছে সে। জঙ্গলের অনেক গাছপালাই তার পরিচিত।
একটা ভাল ঝোপ দেখে পলতু তার ভিতর ডুকে গেল। ওদিকে কেও একজন টুউউউক এরকম শব্দ করে জনিকে খোজার আমন্ত্রন জানিএ দিল। পলতু চুপটি করে বসে পরল ঝোপের আড়ালে।
বেশকিছুক্ষণ যাবত নিশ্চুপ বসে আছে পলতু। নির্জন জায়গায় হালকা হালকা শব্দ গুলো বিকট রূপ দারণ করে মনে এক অজানা আতঙ্কের জানান দেয়। তক্ষনি ভয়ের ভাবনাগুলো মনে আসতে থাকে। এই ভাবনাগুলোকে জায়গা করে দিলেই অতিপ্রাকৃত ঘটনা ঘটে থাকে।
শুকনো পাতার বাতাসে নাড়াচাড়ার মরমর শব্দ,পাখিদের নানান ধাচের ডাকাডাকি তার মনকে সংকোচিত করলেও ভয়ের ভাবনা মাথায় নেই। সে আপন মনে এদিক ওদিক তাকিয়ে সবকিছু অবলোকন করছে।
অকস্মাত তার কানে একটি খচ খচ শব্দ জায়গা করে নিল। শব্দটি কোত্থেকে আসছে লক্ষ্য করল পলতু । তার থেকে দুই তিন হাত দূরে মাটিতে কিছু একটা ছটফট করছে। আকর্ষিত চিত্তে নিকটে গেল পলতু।
একি? এযে একটি পাখি আহত অবস্থায় পড়ে আছে। এতো একটি ঘুঘু পাখির ছানা। কিন্তু এখানে এলো কি করে আর কি হয়েছে পাখিটার ।
তরিগরি করে পাখির ছানাটাকে দুই হাতে তুলে নিল পলতু। লক্ষ্য করল পায়ের কাছে একটি খত তাই পা নাড়াতে পারতেছে না। দেখেই বুঝা যাচ্ছে খুব ক্ষুধার্ত। দম যাচ্ছে যাচ্ছে অবস্থা।শরীর অনেকটা দুর্বল যার কারনে ডানা ঝাপটাতেও পারছে না। পাখিটার চিকিৎসার দরকার খাবারেরও প্রয়োজন আছে।
পাখিটাকে বুকের সাথে আগলে তরিগরি করে জঙ্গল ত্যাগ করল পলতু। দ্রুত ছুটে এলো বাসায়।
দূর্বা ঘাসের রস খত যায়গায় ভাল কাজ করে। মাঠ থেকে কিছু দূর্বা ঘাস নিয়ে তা থেতলে কাপরের টুকরো দিএ খত জায়গায় বেধে দিল। ঠোট দুটো হা করিয়ে ফুঁটা ফুঁটা পানিও খাওয়াল পাখিটাকে। যখন কিছুটা সবল দেখাচ্ছে ঘরের ভিতর রেখে পলতু চলে গেল খাবার আনতে। পাখির ছানারা ছুট ছুট খাবার না হলে খেতে পারে না।
মাঠে আবার গেল সে। কিছু নিলুজি ঘাস নিল তার থেকে নিলুজির চাউল সংগ্রহ করল। আম্মুর রাখা কাওনের চাউল থেকে নিল কিছু। কুলে তুলে খাওয়াল আদর করে। পাখিটিও ক্ষুধা মেটাতে চুপটি করে খেতে লাগল।
এখন পাখিটা অনেকটা সুস্থ।
পাখিটাকে কি করা যায়? জঙ্গলে নিএ রেখে আসব নাকি আমার কাছেই রেখে দিব। পাখির মা হয়ত না পেয়ে হন্নে হয়ে খুজছে না জানি কত কান্না জুড়ে দিএছে। কিন্তু এই অবস্থায় রেখে আসা ঠিক হবে না বরং আমিই পালন করি।
পাখি পালনের জন্য ত খাচার দরকার। ওইটা আবার পাব কোথায়। এইতো পেয়েছি। পাখিটাকে কোলে নিয়ে পলতু দওরে চলে গেল দাদুর কাছে।
দাদু দাদু ওদাদু??
কিরে পলতু কি হইছে?
দাদু আমার একটি জিনিস লাগবে।
কি লাগবে আর তর হাতে ওইটা কি?
এইটা ঘুঘু পাখির ছানা। খুব অসুস্থ। আমি এটাকে পুষবো। তাই খাঁচার দরকার। একটা খাচা বানিয়ে দাও।
এখনই?
হুম জলদি দাও দাদু। নয়ত রাখব কোথায়।
ঠিক আছে ঠিক আছে পাখিটা আমাকে দিএ ঘর থেকে দা নিয়ে ঐ বাঁশঝাড় থেকে কিছু কঞ্চি নিএ আয়। তারাতারি করিস সন্ধ্যা হলে আবার আমি চোখে দেখব না।
পলতু ঝরের বেগে কঞ্চি কেটে আনল।
এই নাও দাদু।
দাদু যখন খাচা বানাতে বেস্ত পলতু তখন পাখি নিএ বেস্ত। প্রায় আধ ঘণ্টা পর খাচা বানানো শেষ হল।
এই নে তর খাচা।
ধন্যবাদ দাদু। খাচা নিয়ে দউরে বাসায় চলে এল পলতু।
ঘরে এসে পাখিটাকে খাচায় পুড়ল। সেই সাথে খেলনা পাত্রে কিছু পানি ও খাবার দিল। এসব করতে করতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল।
রাতে আম্মুর শত বকুনির পরেও পড়ায় মন বসেনি তার। পাখির সাথে খেলা করতে করতে ঘুমিএ গেল সে। পরদিন স্কুলেও গেলনা পেটবেথার অজুহাতে।
সারাদিন পাখির সাথে খেলা করল। এখন অনেকটা সুস্থ। দূর্বা থেরাপিতে পায়ের বেথাও কমে গেছে। খাচাটিকে পলতু তার ঘরের জানালার দ্বারে রেখেছে। একটু পর পর খাবার আর পানি দেয় ।
এভাবেই কেটে গেল কয়েকদিন। পাখি সম্পূর্ণ সুস্থ এখন। তার মন এখন আর খাচায় থাকতে চায় না। মায়াবী চিত্তে দূর আকাশে আপন মনে তাকিএ থাকে। আকাশ সমান স্বাধিনতা পাওয়া পাখির জীবন বন্দি খাচায় ভাল না কাটবার ই কথা। ডানা ঝাপতে বের হতে চায় খাচার ভিতর থেকে। পলতুকে দেখলে বার বার ডানা ঝাপতে পাখি কিছু একটা বলতে চায়। বোবা মনের কথা বুঝার সাধ্য হয়ে ওঠে না। রাগে অভিমানে অনেক সময় পলতুর দেওয়া খাবার ফেলে দেয় পাখি।
বনের পাখি ঘরে পোষ মানে না। একটা সময় পলতু পাখির মনের বেথা তার ডানা ঝাপটানোর কথা বুঝতে পারল । এত আদর যত্ন করে বড় করা পাখিটাকে তার ছাড়তে মন চাইছে না। আবার পাখির এমন ছটফটানিও তার মনকে পীড়া দিচ্ছে।
একদিন পলতু সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল পাখিটিকে মুক্ত করার। খাঁচা থেকে বের করা হল। পাখিটির পায়ের কাছে একটু লাল রঙ লাগিয়ে দিল পলতু যদি কখনো দেখা পায় যেন চিনতে পারে।
বুকের কাছে আগলে ধরে ঘর থেকে বের হল পলতু। তার মুখে বিসন্নতার রেখা স্পষ্টতর। আদরের পুষা পাখিটাকে ছারতে হবে ভাবতেই চোখে জল এসে গেল তার। পাখির দিকে ছলছল দৃষ্টিতে বারবার তাকাল সে।
যদি কখনো খুলা আকাশে গুরে ফিরে ক্লান্ত হয়ে যাও, যদি প্রকৃতি করে রুষ্ট আচরণ নিজের নিরাপত্তাহিনতায় যদি ভুগে থাক কখনো একবার শুদু একবার মনে কর এই পলতুর কথা।ফিরে এসো এই পলতুর কাছে। আমি তোমাকে ফিরিয়ে দিব না। আসায় থাকব তোমায় আবার পাবার। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। আমার এত আদর যত্ন তুমাকে খুশি করতে পারেনি। তাই তোমাকে তোমার প্রিয় আকাশ আর বন জঙ্গলের উদ্দেশে ছেড়ে দিচ্ছি। যেখানেই যাও ভাল থাকো । আর যদি পার নিঃসঙ্গতা কাটাতে সঙ্গী খুজে নিও। আমার কষ্ট ক্রমশ বেড়েই চলছে। তোমার সুখের জন্য তোমাকে ছেড়ে দিচ্ছি। যাও ওড়ে যাও তোমার আপন ঠিকানায় । .....................
পলতুর চোখে বিন্দু বিন্দু জলের ছড়াছড়ি। কখনো গাল বেয়ে তা গড়িয়ে পরছে সবুজ ঘাসের উপর। অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। পাখি উড়ে যাচ্ছে দূর আকাশে। বড় স্বার্থপর পাখি একবার ও ফিরে তাকাল না।
বহুদিন পরের কথা। পলতু এখন প্রাইমারী স্কুল ছেড়ে উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। আজ আর মন কাদে না পাখিটির জন্য। নতুন স্কুল নতুন বন্ধু পেয়ে তাতেই মজে আছে।
আজ খুব গাঁড় ঘুম হল তার। ঘুম ভাংল পরিচিত একটি আওয়াজে। আওয়াজটি জানালার ওপাশ থেকে আসছে। আকর্ষিত হয়ে জানালা খুলল সে। অবাক কাণ্ড দুটো ঘুঘু পাখি জানালার পাশের গাছের ডালে বসে ডেকে যাচ্ছে ঘুঘু ঘুঘু ঘুঘু । একটু খেয়াল করে দেখল একটি পাখির পায়ের কাছে লাল দাগ। তার বুজতে বাকি রইল না যে এটা তার সেই পাখি।কিন্তু তার সাথে ওটা কে নিশ্চয় সঙ্গি । বাহ সঙ্গীও জুটিয়ে ফেলেছে।
পলতু ঘর থেকে বের হয়ে গাছের নিচে গেল। পাখি দুটি ফুড়ুৎ করে অন্য গাছের ডালে চলে গেল। হয়ত ধরতে পারলে আবার বন্ধি করবে সেই ভয়ে এমনটা করল। পলতু আবার পিছন ফিরে আসতে চাইল। কিন্তু তখনি আরও জোরে ডাকতে সুরু করল পখি দুটু। পলতু বুজতে পারছে না পাখি কি বুজাতে চাইতেছে। আবার সামনে এগুলো। পাখি দুটু আবার উড়ে অন্য গাছে গেল।
পলতু সামনে এগুলে পাখি উড়ে অন্য ডালে যায়। এভাবে পলতু অনেক দূর চলে আসল। বনের দ্বারে একটি কাঁঠাল গাছের নিচে যখন আসল পাখি দুটু সামনে না এগিয়ে তাকে কি যেন বলতে চাইছে। বার বার একটি ডালের দিকে তাকাচ্ছে আর ঘুঘু সুরে ডাকছে। পলতু এবার ওই ডালের দিকে লক্ষ্য করল।
দুই দয়ালের সংযোগ স্থলে কয়েকটি খরকুটা দিয়ে সাজানো একটি বাসা। বাসাটি যে ঘুঘু পাখির তা দেখেই বুজা জাচ্ছে। কিন্তু এখানে কি আছে আর কেনইবা আমাকে এখানে নিএ এল পাখি বুজার চেষ্টা করল পলতু।
বাসা থেকে কিচিরমিচির আওয়াজ আসছে।নিশ্চয়ই পাখির ছানার আওয়াজ। পলতু দেখার জন্য গাছে উঠে পরল।
দুটু ঘুঘু পাখির ছানা। খুব সুন্দর দেখতে। পলতু কে দেখে একটুও বিচলিত হল না। চুপ করে বসে রইল। নিশ্চয়ই মায়ের কাছে পলতুর কথা সুনেছে তারা। সুনেছে তার কাছে তাদের মায়ের বেড়ে উঠার কাহিনি। পলতু পাখির এমন আশ্চর্য কাণ্ড দেখে অবাক হল। আনন্দ ও পেল অনেক। ছানা দুটুকে একটু আদর করে গাছ থেকে নেমে এল পলতু। তাকাল পাখি দুটুর দিকে। পাখি দুটুর চোখে মুখেও হাসির রেখা খেয়াল করল পলতু। তারা মাথে নত করে সম্মান জানাল পলতু কে।
খুশি মনে পলতু বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিল।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৪১