somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন ব্লগার হতে চেয়েছিলাম :(

০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জীবনে কখনো শখ করে কোনো গল্পের বই পড়িনি। যখন শখ করেছিলাম তখন মায়ের ঝারি খেয়ে গল্পের বইয়ের সাথে সাথে শখ টা কেও গুটিয়ে রেখে দেই। না, এমন নয় যে আমার মা গল্পের বই পড়তে পছন্দ করতেন না, বরং আমি তার মেয়ে হয়ে যে গল্পের বই পড়িনা, এ শুনেই মানুষ অবাক হয়, কেননা আমার মা শুধু মাত্র বই পোকা ছিলেন না, তিনি ছিলেন বই 'মহা' পোকা। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে কেনো যেন মা মনে করতেন, আমরাও যদি এই বই পড়ার নেশায় মত্ত হই, তবে সেটা সামাল দেয়ার সাধ্য আমাদের থাকবেনা। অত্ঃপর আমরা স্কুল- কলেজের পড়া-শোনা ছেড়ে,ক্লাসের পাঠ্য-পুস্তকের উপর গল্পের বই্য়ের আসর জমিয়ে রাখবো এবং পরীক্ষায় করবো 'ফেইল'। তিনি এমনটা বলেছেন কারণ তিনিও একদা এমনই ছিলেন ;) জানিনা আমাদের কে নিয়ে মায়ের এই ধারণা আদৌ সত্য হত কিনা, কিন্তু বইয়ের নেশায় যেহেতু আমি সেকালে অভ্যস্ত হইনি, সেহেতু পরবর্তি জীবনেও আমি নিজ ইচ্ছায়ও কখনও নিজ হাতে একটি গল্পের বই তুলেও দেখিনি। (এই আফসোস টা আমার রয়েই যাবে)।
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে নিজের মধ্যে একটি সুপ্ত প্রতিভা অনুভব করি ( আদৌ তা প্রতিভার কাতারে পরে কিনা সন্দেহ :( ) আমার মনে হলো আমার মধ্যে 'হয়ত' লেখা-লিখি করার একটা ছোট-খাট প্রতিভা লুকিয়ে আছে। প্রায় সময়ই ছোট ছোট ছড়া, কবিতা, গানের লিরিক লেখতাম। যেহেতু সাহিত্য সম্পর্কিত জ্ঞানটা আমার কম ছিলো (এবং এখনো আছে), তাই নিন্দিত হওয়ার ভয়ে আমার লেখা গুলো কখনো কাওকে দেখাতাম না।
পরবর্তিতে একটা সময় আসে যখন 'হুমায়ুন আহমেদ' এর কিছু গল্প পড়া শুরু করি!!!
বাহহহ!!! কি সহজ এবং সাবলীল ভাষায় কত গভীর একটা গল্প রচনা করে ফেলেন তিনি। না পড়তে কষ্ট,না বুঝতে সমস্যা, না দাঁত ভাঙা শব্দকোষের আড়ালে লুকিয়ে থাকা সামান্য একটি ঘটনা। একদমি যেন আমার বোধগম্য হওয়ার জন্য গল্পগুলোতে এমন স্বাভাবিক ভাষার প্রয়োগ। সে থেকে আমি একটা ব্যাপার উপলব্ধ করলাম; লেখা-লিখির জন্য শুধু যে বিপুল পরিমাণ সাহিত্যিক শব্দ সম্পর্কেই জ্ঞান থাকতে হবে তা কিন্তু নয়, বরং একটি ঘটনা কে কীভাবে নিপুণতার সাথে পাঠকের কাছে ফুটিয়ে তোলা যায়, সেটাই হচ্ছে লেখকের আসল সার্থকতা। তাই মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম; 'আমিও লিখবো। মনের অব্যাক্ত যত কথা, জীবনে সম্পর্কে আমার যাই ধারণা, মোট কথা, মনে যা আসে তাই লিখবো'..... কিন্তু আমার এই লেখা কেও দেখবেনা এবং কেও জানবেনাও যে 'আমি' লিখি।
আমার সমস্ত শর্তাবলি কে মাথায় রেখে ভাবলাম, ব্লগে লেখার মাধ্যমে এই যাত্রা শুরু করা যাক। ব্লগে নিয়মিত ( :P ) লিখবো, অন্যান্য ব্লগার দের লেখাগুলো পড়বো,যেমন জ্ঞানচর্চা হবে, তেমন সাহিত্য চর্চাও হবে। কিন্তু হতাশার বিষয় হল, এ দুইটার একটা উদ্দেশ্যও সফল হলোনা। ব্যস্ত সময়ে ব্যস্ত থাকি, আর বাকি সময় বিশ্রাম নেয়ায়, আলসামি করায় মেতে থাকি। আর হঠাৎ করে যখন মনে পরে যে অনেকদিন হয় ব্লগে তো কিছু লেখা হয়না, তখন পুরা মাথা ঘাটা-ঘাটি করেও একটা বিষয়ও খুঁজে পাইনা লেখার মত। বাাসস! এমনেই সময়, দিন, মাস পার হয়ে যায়, আমার কল্পিত সাহিত্যচর্চাও জম্পেশ চলতে থাকে।
এমন অনেক গড়ি-মোইশি করার পর যখন কিছু একটা লেখার জন্য ব্লগে আসি, তখন সাহিত্য নিয়ে সবার স্পৃহা,, ব্লগে তাদের ঊৎকর্ষিত সময়, এসব দেখে আবারও হতাশ হয়ে পরি। নাহ!! এই লেখা-লিখির কাজ আমার মত দুর্বল, নিষ্কর্মার জন্য নয়।
তাই আজ, আমার ব্লগার বন্ধুরা, যারা নিয়মিতভাবেই তাদের অসাধারণ প্রতিভা আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলছেন, আমাদের আনন্দ, বিনোদন সহ দেশ-বিদেশের নানা খবর খুব সুন্দর ভাষায় প্রকাশ করছেন, তাদের জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ও প্রাণ ভরা অভিনন্দন। আমি আপনাদের মতই একজন ব্লগার হতে চাই।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২৮
১২টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×