নির্বাচনী ব্যবস্থা হলো সাংবিধানিক নিয়ম অনুসরণ করে জনগণের মতামত জানাবার ব্যবস্থা। ভোট একটি দেশের জনগনের অন্যতম গণতান্ত্রিক অধিকার। এর মাধ্যমে জনগণ কোনো ব্যক্তি ও রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় আসার জন্য নির্বাচিত করে।
আমাদের দেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে পুরোদমে মাঠে নেমেছে বৃহৎ দুই রাজনৈতিক জোট। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রয়েছে মহাজোট ও বিএনপির নেতৃত্বে রয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট।
এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দলীয় সরকারের অধীনে। ইতিপূর্বে দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে।নির্বাচনে দায়িত্বপালন করবেন এমন ব্যক্তিদের তালিকা কমিশন থেকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর এবং ওই সব ব্যক্তিদের বাড়িতে গিয়ে পুলিশের খোঁজখবর নেয়া নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি আরও আলোচনায় এসেছে।এ নির্বাচনটা যেভাবেই হোক না কেন এটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে বলা যেতে পারে। কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক হবে কি না সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে আমাদের মতো সাধারন মানুষের মাঝে।১০ বছর ধরে একটা সরকার ক্ষমতায় আছে। তাদের প্রভাব সব জায়গায়তেই রয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশন এবং আওমেলীগ কেউই জনগনের কাছে বিশ্বস্ত না। তাদের আস্থা অর্জন করার ব্যাপারে তাদের অনেক ঘাটতি আছে। নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিচ্ছে, কিন্ত পুলিশ সেটা শুনছে না। সব রাজনৈতিক দল এখন জোটবদ্ধভাবে কিংবা একক দলীয় ব্যানারে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে এখন নানা সমীকরণ।
এযাবতকালে বাংলাদেশের কোনো সরকার চায়নি নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী হোক৷ এবার ও এর ব্যতিক্রম হবে বলেও আমার মনে হচ্ছে না। প্রাথীরা বিভিন্ন ধরনের সংবিধান পরিপন্থি কাজ করে যাচ্ছে । এরা সরকার দলের হওয়ার কারনে নিবাচন কমিশন এদের বিরুদ্বে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) খুললে একটি দলের বিজ্ঞাপন প্রচারণা দেখা যায়, এমনকি নির্বাচন কমিশন, পুলিশও নিরপেক্ষ ভূমিকায় নেই। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে প্রশাসনের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, এসপি এমন ৯২ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে তাদের বদলি ও প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক পরিচিতি, কর্মকাণ্ডের তথ্যও দেয়া হয় নির্বাচন কমিশনে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২২