ঢাকা থেকে রাত ৯:৫০ এর ট্রেনে সিলেট যাওয়ার প্লান করলাম।ভোর ৬ টার দিকে নামিয়ে দিলো সিলেট স্টেশনে।আমরা কিছু গ্রুপ সেলফি তুল্লাম এরপর নাস্তা করে রিক্সা নিয়ে চলে গেলাম সোবহানিঘাট পয়েন্টে।স্টেশন থেকে রিক্সাভাড়া নিলো ৩০ টাকা করে । এরপর লোকাল বাসে করে সবাই গল্প করতে করতে সোজা সারিঘাট।১ ঘন্টা ২০ মিনিটের মধ্যে আমরা পৌছে গেলাম সারিঘাট ।জনপ্রতি ভাড়া ৩৫ টাকা। সেখান থেকে লালাখালের অটোস্ট্যান্ড গেলাম। আমাদের নামিয়ে দিলো ওয়াইল্ডার্নেস রিসোর্টের সামনে।সেখান থেকে নৌকা ভাড়া করলাম ২-২:৩০মিনিট গোরাগোরির পর আমরা লালাখালের সারিঘাট নদীতে।আমাদের ব্যাচের ১১ জন গিয়ে ছিলাম সেখানে। লালাখালের নদী দেখে আমি মুগদ্ব ।
এ নদীর পানি ছিল নীল। মিসরের নীল নদ দেখা সবার ভাগ্যে না জুটলেও নীল নদের মতোই আমাদের লালা খাল দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। এটাকে আমি নাম দিয়েছি বাংলার নীল নদ। লালাখালের দুই পাড়ে তেমন কোনো বাড়িঘর নেই কিন্তু আছে হরেক রকমের গাছপালা ।নদীর জলে নৌকার ওপর বসে পাহাড় দেখার সৌর্ন্দযই আলাদা। দল বেঁধে এখানে এলে সুবিধা বেশি, কারণ নৌকা ভাড়াটা কমে যায়। ভ্রমণে আনন্দও উপভোগ করা যায় এবং সবাই মিলে হৈচৈ করে আনন্দ ভাগাভাগি করা যায়। ছোট ছোট পাহাড়ের ভেতর দিয়ে বেয়ে চলা সারি নদীর ঘন নীল স্বচ্ছ পানি, দুকূলে বিভিন্ন বয়সী নারীর প্রাত্যহিক কাজকর্ম করছে। অনেক মাঝিকে দেখলাম নদীতে ডুব দিয়ে দিয়ে বালি তুলে নৌকাতে রাখছে। ।আমরা নদীতে সাতার কাটলাম ,নদীর পানি ছিল প্রচন্ড রকমের ঠান্ডা । ঝরনার পানি নদী বেয়ে আসার কারনে পানি সব সময় শিতল থাকে কিন্তু বর্ষার সময় পানি কাদামাক্ত হয়ে যায় এবং পানির রং আর নীল থাকে না।আমরা সারা দিন নদীতে মজা করে সন্ধায় সিলেট শহরে ফিরে এলাম