ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে না গেলে বসন্তউৎসব বোঝার উপায় নেই।তখন মনে হয় যেন আগুন লেগেছে,আকাশে,বাতাসে,উড়ে যাওয়া শাড়ির আঁচলে.......
তবে এবারের বসন্ত উৎসব ঠিক ঐভাবে জমেনি বৃষ্টির কারণে।কলাভবন,টি এস সি কোথাওই গানের আসর তেমন জমেনি।মনে হচ্ছিল যেন বড় বেশি ভিড়,ঝামেলা।তারপরতো ক্লাস,পড়ালেখার ফাঁকে ভুলেই গিয়েছিলাম এখন বসন্ত।কিছুদিন আগে বাসায় ফিরছি।কলাবাগানের কাছাকাছি কোথাও সিগনালে বাস আটকা পড়েছে।ভীষণ বিরক্ত লাগছিল।হঠাৎই সচকিত হলাম।সোজা হয়ে বসে কান খাড়া করলাম।কোকিল ডাকছে!
প্রায় একমাস পরে কোকিলের ডাক শুনলাম।
গতকাল মলচত্বরে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম।হঠাৎই কোথা থেকে একটা দমকা বাতাস এসে হাজির।মলচত্বরে কার্পেটের মত বিছিয়ে থাকা ঝরা পাতা উড়ে যেতে লাগল সেই বাতাসে..........যেমনভাবে সমুদ্রের ঢেউ আকুল হয়ে তীরে আছড়ে পড়ে।আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি এক অপার্থিব স্বপ্ন স্বপ্ন আলোয় আকাশ ভরে গেছে।একটু এগুতেই শুনলাম সেন্ট্রাল লাইব্রেরীর কাছে কোথাও কোকিল ডাকছে।ডাকছে ডাকছে ডাকছে.....।কী করুণ সুর,কী অসহায় আকুল আহবান........
মন উদাস হয়ে গেল।আবার এসেছে পাতা ঝরার দিন,স্বপ্ন দেখার দিন,মন কেমন করা দিন।আবার এসেছে বসন্ত।