জল পাথরের মফস্বলের স্মৃতির প্যারাগ্রাফ
রাত্রি হাওয়া ধুয়ে গেছে জল তুফানের ঝাপ।
ঘুম ভেঙ্গেছে ঝাপটা জলে ; মাতাল হাওয়ার জোর!
এমনি কবে ঘুম ভাঙ্গাবে আকাঙ্ক্ষিত ভোর!
পলকা হাওয়ায় অলকা বাঁধন স্মৃতির ঝাঁপির বাধন ছিড়ে,
স্মরণকালের সুখের ব্যথা চুম দিয়ে যায় গহন নীড়ে।
একসময়ের ভীড়ের মেলায় তুমুল খোঁজা নীড়ের সেজন,
চালুন গলে ফসকে গ্যাছে আপন মানুষ, আস্ত জীবন।
যেমন আমার ফসকে গেলো হাতের থেকে অমিল রেখা,
মিলবে ভেবে যত্নে তারে হাতের সাথে মিলিয়ে দেখা।
চালুন গলেই ফসকে গেলাম আমিও এক আস্ত মানুষ,
তোমার আপন জীবন বাঁকের আস্থাভাজন একটা ফানুস।
এইখানে এই মন ভেজানো স্মৃতির মফস্বলে
ভালোবাসা অচল সিকি; যুগল চোখের জলে।
জারুল গাছের সবুজ পাতা লোভ দেখিয়ে বলে
আয়রে পাগল আমার মতো ভিজবি নাকি জলে?
ভিজতে এসে বর্ষাজলে আমার পাশে তুমি নাই!
ফেলে আসা বৃষ্টিমেঘের গল্পকথার কোথায় ঠাঁই?
মেদুর মেঘের বৃষ্টিবিলাস উধাও হাওয়ার দিন
ভালোবাসার গল্পগুলো!! বললে তুমি- 'ঋণ'!
বৃষ্টি এলেই পাঁজর জোড়ে ভার বেড়ে যায় অন্যভার
চড়াসুদে সত্যভেবেই ভালোবাসা নিলাম ধার।
কড়াসুদেই শোধ নিলে তাই আসল সহ শুল্কে,
নিষেধ করি ভিজাস নে আর শুকিয়ে যাওয়া জলকে।
সাধ্য কি মোর! বুঝবে অবুঝ, লক্ষীছাড়া মেঘে?
ঋণে বোঝাই বৃষ্টি জলে জীবন গেছে ঠেকে।
পিছল পথে পিছিয়ে গেছি মিথ্যে জলের চোখে
থমকে গেছে সেসব দিন থমকে গেছে শোকে।
লোভ দেখিয়ে ঢালছো কতো লোক দেখানো মন্ত্রণা
তোমার মেঘে ঢাকা চাঁদের জানলে না কি যন্ত্রণা!
শুকনো নদে আনলে জোয়ার জলের ফোটা গুনে
ঘুণে কাটা প্রেম দিলে তাও ফাসিয়ে গেলে ঋণে।
ঋণের খাতায় ঘৃণার পাতায় হচ্ছে তবু ঠাঁই
স্বপ্নখুনের খুনী আমি আমার ফাঁসি চাই।
অজুহাতে চাঁদের মতোই ফেঁসে গেলাম কলঙ্কে,
তোমার সাথেই ভিজতে আসা ভালোবাসার স্থানাঙ্কে।