৬ ফেব্রুয়ারি, ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে লোক, কণ্ঠে শুধু একটা কথা- ফাঁসি চাই। দিন যত যায়, এই ধ্বনি প্রকম্পিত করতে থাকে শাহবাগের আশপাশ সহ দেশের বিভিন্ন স্থান। লাখ লাখ মানুষের দিন রাত অবস্থান থেকে শুরু হয় তথাকথিত গনজাগরণ। আসতে থাকে বিভিন্ন মহল থেকে খাবার সামগ্রী। দেখা যায়, নাট্যব্যক্তিত থেকে শুরু করে ক্রিকেট দলের প্লেয়ারদের। বামপন্থী নেতা থেকে সরকারদলীয় নেতা সবার আনাগোনায় সার্বক্ষণিক মুখরিত শাহবাগ। কবির সুমন, হায়দার হোসেন, জয়, পারভেজের সহ আরো শত শত গান, প্রতিবাদী স্লোগান যেন নতুন ভাবে একটা স্বপ্ন দেখতে শুরু করল সবাই।
দিন বাড়তে থাকে, বুঝতে শুরু করে জনগণ। রাজনীতি না বোঝা অসংখ্য মানুষ যারা সমর্থন দিয়েছিল এই শাহবাগকে তারা আস্থা ফিরিয়ে নিতে শুরু করল একে একে। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকিকে নব্য রাজাকার বলায় ক্ষুব্ধ হয় কাদেরিয়া বাহিনীর সদস্যবৃন্দ ও অনেক মুক্তিযোদ্ধা। ইসলামী ব্যাংকের এটিএম বুথ ভাংচুরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ব্যাংক সেক্টর। আজও শাহবাগে লোক জমায়েত হয়, হয় বিভিন্ন কর্মসূচী পালন। অথচ সাধারণ মানুষের উপস্থিতি নেই আগের মত।
রাজনীতিবীদদের কাছে জিজ্ঞাসা একটাই, আমাদের আবেগ, অনুভূতি নিয়ে নোংরা খেলার কি দরকার আপনাদের?
জাতির কাছেও আছে কিছু প্রশ্ন থেকে যায়,
আর কত কাল আমরা রাজনীতির পুতুল হয়ে থাকব?
আমরা কি পারব না সেই কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতাকে কখনও অর্জন করতে?
কতকাল দাসি হয়ে থাকবো অন্য দেশের? কবে পাবো সেই অর্থনৈতিক সচ্ছলতা?
কবে গড়ে উঠবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার “সোনার বাংলাদেশ?”
।।আজনাদ মুন।।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১৩