রমনা পার্কের সামনের ফুটপাথ ধরে হেটে আসছিলাম। গন্তব্য টিএসসি। অসম্ভব গরম আবহাওয়া। আবদুল কাদের ভিষন ঘামছে, আমিও ঘামছি। আবদুল কাদের অবশ্য এমনিতেও ঘেমে নেয়ে একাকার হয়। কিন্তু আজ এমনিতেই একটু গরমটা বেশি, তার উপর কিছুক্ষন আগে তাকে আমি ভিষণ ঘোরপাক খাইয়ে এনেছি। সেকথা অন্যদিন বলা যাবে।
হন্ত দন্ত হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত আসলাম। আকরামুল হক টিএসসির দেয়ালে আমাদের জন্য বসে আছে, সন্ধ্যায় একসাথে মিলিত হয়ে মুখতারের টংয়ের চা না খেলে দিন পুর্ন হয় নাহ।
আমি আবদুল কাদেরকে বললাম - হাটবি না রিক্সা নেব??
আবদুল কাদের বলল- না হাটবো নাহ, রিক্সা- রিক্সা ।
বলেই দুজনে তুমুল বেগে রিক্সা ঠিক করার জন্য যেই সামনে তাকালাম তখনি ''বেসম্ভব সম্ভব'' এক তরুনী চেহারার সুন্দরী আমাদের চক্ষু সীমানায় আবির্ভুত হল। আমি কাদেরের ম্যুভ দেখেই বুঝে ফেললাম সে অলরেডি ক্র্যাশিত, আমিও যে মুহুর্তেই ক্র্যাশিত হয়ে গেছি কাদেরেরও সেটা বুঝতে বাকি রইলো নাহ।
কই যাব? কি করবো, সব ডেটাবেজ় উধাও। হাতের কাছেই একটা রিক্সা, দুজনেই সমস্বরে বলে উঠলাম-- এই মামা, শাহবাগ যাবা??
মামা আমাদের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকায়, বলে শাহবাগ যাইবেন মানে? আপনারা তো শাহবাগেই আছেন।।
(আমি আর আবদুল কাদের একে অপরের দিকে তাকাই, বুঝলাম, যা বলার তা বলে ফেলেছি)
নাহ তোমরা রিক্সাওয়ালারা যেখানেই জিজ্ঞেস করি নাহ ক্যান তোমরা কোথাও যাইতে চাও না। তাই একটু মশকরা করলাম।।
রিক্সাওয়ালা মামা কি বুঝল জানি নাহ, বলল চলেন মামা কোথায় যাবেন, আপনাদের নামিয়ে দিয়ে আসি।