somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"যে পাকিস্তানের স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন তা সত্যি হোক !"

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"--ভারতে লক্ষ লক্ষ যোগ্য মুসলিম যুবক আছে। এক বিধর্মীকে বিবাহ করার কি প্রয়োজন ? "

"--আব্বাজান, ভারতে লক্ষ লক্ষ যোগ্য মুসলিম নারী ছিল ,আপনি তাদের কাউকে বিবাহ করেন নি কেন ?"
“--না , মানে, উনি ইসলামে কনভার্ট হয়েছিলেন!”

গত শতাব্দীর ত্রিশের দশকের মাঝামাঝি সময়। এক বাপ- বেটির তর্ক -বিতর্ক।

বাপ হলেন পরবর্তী কালে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা এবং কায়েদ -এ -আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এবং বেটি তাঁর একমাত্র সন্তান দিনা জিন্নাহ

পিছিয়ে যাওয়া যাক আরো কয়েক বছর। ১৯১৬-১৭ সাল। স্থান তৎকালীন বোম্বে ,অধুনা মুম্বাই।

উচ্চবিত্ত পরিবারের উচ্চশিক্ষিত যুবক জিন্নাহর প্রতিনিয়ত যাতায়াত ছিল তৎকালীন বম্বের অত্যন্ত ধনী এবং প্রভাবশালী ব্যবসায়ী এক পার্সী পরিবারে। স্যার দিন-শ পেটিট (Sir Dinshaw Petit ) ছিলেন জিন্নাহর সমবয়েসী ,ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সুহৃদ। জিন্নাহ হয়ে উঠেছিলেন সেই পরিবারের অত্যন্ত আপন একজন।
বম্বের বিখ্যাত আরেক পার্সী পরিবার টাটারা এবং পেটিটরা ছিল বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ এবং একে অন্যের আত্মীয়। ধনীর দুলালী রত্তনবাই পেটিট ওরফে রুত্তি ছিল স্যার দিন-শ পেটিটের একমাত্র সন্তান, ভারত বিখ্যাত শিল্পপতি জে আর ডি টাটার আদরের ভাগ্নী।

আক্ষরিক অর্থেই সোনার চামচ মুখে নিয়ে তার জন্ম। অত্যন্ত আদরে এবং বিলাস বৈভবে বড় হতে থাকা রুত্তির জন্মদিন পালিত হতো আরবসাগর তীরে বম্বের বিখ্যাত পাঁচতারা হোটেল তাজ প্যালেস এ। তাজ প্যালেস টাটাদের মালিকানাধীন।

দক্ষিণ বম্বের মালাবার হিলসএ অবস্থিত প্রাসাদোপম পেটিট হলে জিন্নাহ এবং স্যার পেটিট যখন ব্যস্ত থাকতেন উচ্চমার্গীয় বিভিন্ন আলোচনায় ,তাঁদের পায়ের কাছে খেলা করতো স্যার পেটিটের আদরের কন্যা রুত্তি। পিতৃসুলভ স্নেহে জিন্নাহ হয়তো কখনো কখনো কোলে নিতেন বন্ধুকন্যা ছোট্ট রুত্তিকে। জিন্নাহর প্রথমা স্ত্রী মারা গেছেন দীর্ঘদিন আগে। নিঃসন্তান জিন্নাহর বালিকা রুত্তির প্রতি ভালোবাসাকে পিতৃসুলভ স্নেহ ভালোবাসার বাইরে কিছু মনে করার কোন কারণই নেই।

লন্ডনের বিখ্যাত লিন্কনস ইনন ( Lincoln's Inn ) থেকে ব্যারিস্টারি পাশ করা জিন্নাহ ধর্ম -কর্মের ধার দিয়েও যেতেন না। কেউ কোনোদিন শোনেনি জিন্নাহ কোনোদিন নামাজ পড়েছেন। বিদেশী ওয়াইন , সিগার এবং হ্যাম -বার্গার খানেওয়ালা জিন্নাহ ছিলেন সেক্যুলার ,লিবারেল মন -মানষিকতার মানুষ।
ডাইভার্স ভারতের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরদের মধ্যে সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করতে বিশ্বাস করতেন ইন্টার -রিলিজিয়াস ম্যারেজের। বন্ধু পেটিটের সাথে এই নিয়ে তাঁর আলোচনা মাঝে মাঝে জমে উঠতো।
রুত্তি ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। বয়স তখন তার ১৫-১৬। অসাধারণ সুন্দরী হয়ে উঠেছে সে।
একরাত্রে , পেটিট হলএ চব্য-চোষ্য ডিনার করার পর বিদেশি সিগারের ধোঁয়া ছড়িয়ে ইন্টার -রিলিজিয়াস ম্যারেজের সুফল নিয়ে আলোচনা করতে করতে জিন্নাহ স্যার পেটিট কে জানালেন তিনি বিবাহ করতে চান তাঁর আদরের কন্যাকে।
মাথায় বজ্রাঘাত হলেও বোধহয় এতখানি চমকে উঠতেন না বম্বের শেরিফ স্যার দিন-শ পেটিট। একি শুনছেন ? হতভম্বের মতো মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন তিনি।কোনরকমে অস্ফুটে জিন্নাহ কে বাড়ী থেকে বেরিয়ে যেতে বললেন। মুখ দিয়ে আর কোন কথা বেরোলো না।

কন্যার সাথে কথা বলে বুঝলেন পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেছে। রুত্তি যদিও নাবালিকা ,মাত্রই ১৫-১৬ বছর বয়স , কিন্তু তার ব্রেন -ওয়াশ ভাল রকমই হয়েছে। মধ্য চল্লিশের জিন্নাহ তাঁর পিতৃ সুলভ স্নেহ -ভালোবাসা দিয়ে এক অপ্রাপ্তবয়স্কার মন-যৌবন "জিতে" নিতে সমর্থ হয়েছেন !

ধনীর দুলালী রুত্তি জীবনে কখনো পিতার মুখ থেকে "না" শোনে নি। আজও সে কোন কথা শুনতে রাজি নয়। কোনরকমে বছর খানেক রুত্তি কে আটকানো গেলেও পরের বছর জন্মদিনের দিনে তাজ প্যালেস হোটেলের বলরুমে কয়েকশত সম্ভ্রান্ত অতিথির সামনে রুত্তির সগর্ব ঘোষনা সে জিন্নাহ কেই বিবাহ করবে।

সাবালিকা হওয়ার কয়েকমাস আগেই রত্তনবাই ওরফে রুত্তি পেটিট ধর্মান্তরিত হল ইসলামে। দ্বিতীয় বার স্বামী হলেন মধ্য চল্লিশের জিন্নাহ। ছিন্ন হল রুত্তি পেটিট তথা মারিয়াম জিন্নাহর পরিবারের সাথে সমস্ত সম্পর্ক। বছরটা তখন ১৯১৮।

ইন্টার -রিলিজিয়াস ম্যারেজএ বিশ্বাসী জিন্নাহর বালিকা বধূকে বিবাহের আগে ধর্মান্তরিত কেন হতে হয়েছিল সে প্রশ্ন জিন্নাহকে কেউ করেছিল কিনা জানা যায় নি।

জিন্নাহর কন্যার জন্ম এবং তাদের বিয়ের সমস্যা :

পরের বছরই জন্ম হয় জিন্নাহ -রুত্তির একমাত্র সন্তান দিনা জিন্নাহর। জিন্নাহ -রুত্তির বিয়ে সুখের হয়নি। দিনার জন্মের কয়েক বছরের মধ্যে তাঁদের সেপারেশন হয়। মাত্র ২৮ বছর বয়সে , ক্যান্সার জনিত কারণে রুত্তির মৃত্যু হয়। এটাই অফিসিয়াল ভার্সন। নিন্দুকেরা অবশ্য বলে মানষিক অবসাদের কারণে রুত্তি আত্মহত্যা করেছিল।
মৃত্যুর আগে রুত্তি “লাভ-লেটার” লিখতো জিন্নাহকে : ".... try and remember me , beloved, as the flower you plucked and not the flower you tread upon."

তার মৃত্যুর অনেক বছর পরে জিন্নাহ কাউকে চিঠিতে লিখেছিলেন ".....I should not have married a child like her !"

দিনার জন্ম হয়েছিল ১৯১৯ সালের ১৫ ই আগস্ট। দিনা বিয়ে করেছিলেন এক পার্সী যুবক নেভিল ওয়াদিয়া কে ১৯৩৮ সালে , পিতার অমতে । জিন্নাহ প্রবল বিরোধীতা করেছিলেন একমাত্র কন্যার বিধর্মী বিয়েতে। পোস্টের শুরুতে এই নিয়ে পিতা -পুত্রীর বাক -বিতন্ডা আপনারা পড়েছেন।

দিনার জন্ম তারিখ টা আর একবার খেয়াল করুন।

ঠিক আঠাশ বছর পরে ১৯৪৭ এর আরেক আগস্টে জিন্নাহ চিরতরে বম্বে-ভারত ছেড়ে চলে যাবেন পাকিস্তানে। শোনা যায় জিন্নাহ জীবনে দু -বার মাত্র কেঁদেছিলেন -প্রথমবার রুত্তির মৃত্যুর পরে এবং দ্বিতীয় বার ১৯৪৭ এর আগস্টে ভারত ছেড়ে যাওয়ার পূর্ব মুহুর্তে।
জিন্নাহর সাথে পাকিস্তান পাড়ি দিয়েছিলো জিন্নাহের বোন ফতিমা। জিন্নাহরা মোট ৬ ভাইবোন ছিলেন। অন্য ভাই -বোনেরা ভারতে থেকে গিয়েছিলো।
জিন্নাহর একমাত্র কন্যা তাঁর শত অনুরোধ উপরোধেও নবগঠিত পাকিস্তানে যায় নি ,সে থেকে গিয়েছিলো ভারতে।
একমাত্র সন্তান , যে পিতার মতের প্রবল বিরোধীতা সত্ত্বেও বিধর্মে বিয়ে করেছিল, তাকে ভারতে রেখে চিরতরে পাকিস্তানে যাওয়ার সময় আরেক সন্তানহারা পিতা স্যার দিন-শ পেটিটের যন্ত্রনা মাখা মুখের অভিব্যক্তি জিন্নাহর মনে পড়েছিল কিনা তা জানা যায় নি।

এর পর সংক্ষেপে :

দিনা ওয়াদিয়া ভারতে থেকে যান , পরের দিকে তিনি ইংল্যান্ড এবং আমেরিকা প্রবাসী হন। তাঁর বিয়েও সুখের হয়নি , বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যে নেভিলের সাথে সেপারেশন হয় ,যদিও আইনগত ভাবে বিবাহ -বিচ্ছেদ হয় নি।

দিনার পুত্র নুসলি ওয়াদিয়া ভারতের বিখ্যাত শিল্পপতি। নুসলি এবং তাঁর সন্তানরা বিখ্যাত বাণিজ্য সংস্থা Bombay Dyeing , কমার্শিয়াল এয়ারলাইন্স GO Air , IPL ফ্রাঞ্চাইজি Kings IX Punjub ইত্যাদির মালিক এবং বিলিওনিয়ার।

দিনা মাত্র দু-বার পাকিস্তানে গিয়েছিলেন , প্রথমবার ১৯৪৮ সালে তাঁর পিতার মৃত্যুর পর এবং শেষবার ২০০৪ সালে।

অনেকে মনে করেন জওহরলাল নেহেরুর সাথে ক্ষমতার দ্বন্দে চল্লিশের দশকে জিন্নাহ যখন বুঝতে পারেন যে তিনি স্বাধীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না ,তখন পাকিস্তান তৈরীর পরিকল্পনা করেন। গান্ধী ,নেহেরু ইত্যাদি মহারথীরা দেশের জন্য স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে ,একাধিকবার জেলে গেছেন , বছরের পর বছর কারাবাস করেছেন। ব্যতিক্রম জিন্নাহ। তাঁকে কখনো জেলের ভাত খেতে হয়নি।
১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট , ভারতের স্বাধীনতার একদিন আগে ,নবগঠিত দেশ পাকিস্তান কে স্বাধীনতা দেওয়া হয়। জিন্নাহ হয়ে ওঠেন-- ল্যান্ড অফ পিওর --পাকিস্তানের সর্বে -সর্বা

কিন্তু জীবনের কি নিষ্ঠুর পরিহাস ! স্বাধীন পাকিস্তানে জিন্নাহ বেঁচে ছিলেন মাত্র ১ বছর ২৬ দিন। মৃত্যুকালে নিঃসঙ্গ জিন্নার পাশে ছিল শুধুমাত্র তাঁর বোন ফতিমা। পিতার অসুস্থতার খবর পেয়ে ভারত থেকে দিনা তাঁকে দেখতে যেতে চেয়েছিলো কিন্তু জানা যায় তিনি আপন কন্যাকে পাকিস্তানে আসার ভিসা দেননি। তাঁর মৃত্যুর পর দিনা অবশ্য তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন।

জিন্নাহর স্বপ্ন দেখেছিলেন এক উন্নত ,সেক্যুলার ,লিবারেল পাকিস্তানের। ১১ ই আগস্ট ১৯৪৭ , পাকিস্তানের কন্সটিটুয়েন্ট এসেম্বলির এক সভায় পাকিস্তান বাসীর উদ্দেশ্যে জিন্নাহর ভাষণ নিম্ন রূপ : "....আপনারা মুক্ত , এই স্বাধীন পাকিস্তানে আপনারা মুক্ত আপনাদের মন্দিরে ,মসজিদে অথবা যেকোন ধর্মস্থলে যাওয়ার ব্যাপারে ---আপনারা যে কোনো ধর্মের হতে পারেন ....পাকিস্তান রাষ্ট্রের এতে কোন মাথাব্যথা নেই .. ..রাষ্ট্রের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্কই নেই ......".
নিন্দুকেরা অবশ্য বলে , এটাই যদি জিন্নাহ মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন তাহলে টু -নেশন থিওরী , দেশভাগ , ---- ইত্যাদির দরকার কি ছিল ?
আসল কথা ছিল , জিন্নাহ অনুমানই করতে পারেন নি ১৯৪৭ এর দেশভাগ ইতিহাসে কি নিদারুন বীভৎসতার এবং হিংস্রতার সাক্ষী হয়ে থাকবে। ভারতের পূর্বপ্রান্তে পশ্চিম-বঙ্গ - পূর্বপাকিস্তানে যে নৃশংসতা ,হত্যাকান্ড হয়েছিলো তার অনেকগুণ বেশী হয়েছিল ভারতের পশ্চিমপ্রান্তে। লক্ষ লক্ষ হিন্দু ,শিখ এবং মুসলমান নারী ,পুরুষ ,শিশুর শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল দেশ খণ্ডিত হওয়ার সাথে সাথে।

বিখ্যাত ভারতীয় সাংবাদিক এবং লেখক খুশবন্ত সিং তার ট্রেন টু পাকিস্তান বইয়ে এই ভয়াবহ নারকীয়তার কিছুটা ঝলক তুলে ধরেছিলেন।

জিন্নাহ মনে করেছিলেন ভারত -পাকিস্তান আমেরিকা -ক্যানাডার মত দুটো দেশ হবে। জনগণের যাতায়াতের জন্য কোন ভিসা লাগবে না। বম্বেতে তাঁর তৈরী প্রাসাদোপম জিন্নাহ হাউসে তিনি মাঝে মাঝে এসে বিশ্রাম নেবেন। তিনি অনুমানই করতে পারেন নি ভারত -পাকিস্তান দুটো চিরস্থায়ী শত্রু দেশে পরিণত হবে। শোনা যায় মৃত্যুর আগে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছিলেন দেশভাগের এই বীভৎসতার অনুমান থাকলে তিনি পাকিস্তান সৃষ্টির প্রচেষ্টাই করতেন না।

দেশভাগের আগে পাকিস্তানকে নিয়ে জিন্নাহর এই উচ্চ স্বপ্নের কথা দিনা জানতেন , কিন্তু তিনি পিতার এই স্বপ্নে বিশ্বাস করেন নি।

জিন্নাহের মৃত্যুর পর ফতিমা রাজনীতিতে আসতে চেয়েছিলেন , কিন্তু তাঁর ওপর বিভিন্ন বাধানিষেধ আরোপ করা হয় , তাঁর দেশপ্রেম নিয়ে মোল্লারা এবং মিলিটারী সন্দেহ জাগায়। ১৯৬৫ সালের প্রেসিডেনশিয়াল ইলেকশনে আর্মি জেনারেল আইয়ূব খানের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন এবং কারচুপি হওয়া সেই নির্বাচনে তিনি হেরেছিলেন। ১৯৬৭ সালে ফতিমার মৃত্যুর কারণ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন আছে। নিন্দুকেরা বলে মিলিটারী ডিকটেটর আইয়ূব খান তাঁর মার্ডার করিয়েছিলো।

ওয়াহাবি ইসলামের খপ্পড়ে পড়ে আজ পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের মন্দিরে যাওয়া তো দূরের কথা ,ভিন্ন সেক্টের মুসলমানরাই তাদের মসজিদে যেতে ভয় পায়। পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে বেশী শিয়া -আহমেদিয়া মুসলমানের হত্যা হয় পাকিস্তানে ,তাদের মসজিদে বম্বিং করে। আহমেদিয়াদের আইনের সাহায্যে অমুসলিম করা হয়েছে।

বছরখানেক আগে ইউটিউবে দেখছিলাম পাকিস্তানী চ্যানেলের কোন এক টক্ শোয়ে এক মোল্লা জিন্নাহকে কাফের বলছিলো কারণ জিন্নাহ ছিল ইসমাইলি শিয়া।
পাকিস্তানের কায়েদ -এ -আজম ,বাবা -এ -কওম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ হয়তো কবরে শুয়ে মাঝে মাঝে চমকে ওঠেন তাঁর উত্তরসূরীদের কথা শুনে।

২০০৪ সালে দ্বিতীয় এবং শেষবার পাকিস্তানে যাওয়ার পর পিতার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে দিনা প্রার্থনা করেছিলেন : "যে পাকিস্তানের স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন তা সত্যি হোক !"

স্যার দিন -শ পেটিটের নাতনী , মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এবং রুত্তির একমাত্র সন্তান এবং নেসলি ওয়াদিয়ার মাতা দিনা ওয়াদিয়া ৯৮ বছর বয়সে গত ২ রা নভেম্বর ২০১৭ সালে নিউ -ইয়র্কএ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

রেফারেন্স :
১) Jinnah of Pakistan by Stanley Wolpert
২) Mohammed Ali Jinnah: The Great Enigma by Sheshrao Chavan
৩)Mr and Mrs Jinnah: The Marriage that Shook India by Sheela Reddy
৪)Shameful Flight: The Last Years of the British Empire in India by Stanley Wolpert .

১) বামদিক থেকে বোন ফাতিমা ,জিন্নাহ এবং কন্যা দিনা



২) দিনা ওয়াদিয়া


৩) রুত্তি


৪ এবং ৫ : দেশভাগের সময় কলকাতা এবং অমৃতসরে দাঙ্গা
৪)


৫)


৬) দিনা ওয়াদিয়ার পরিবার : বামদিক থেকে স্বামী নেভিল ,পুত্রবধু ,পুত্র নেসলি এবং নাতিরা


৭) বম্বেতে রুত্তির কবর :

সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×