শেখ হাসিনার সংসদের ভাষণের পর একটা কৌতুক মনে পড়ে গেলো, সেই সঙ্গে একটি গল্পও।
Click This Link
আমার বরের কথাতো সবাই জানেন!
তো আমার ভাবি এবার রাজি হয়েছেন এমাদের সংসারের জন্য একটি ফ্রিজ কিনে দেবেন। আমিতো মহাখুশি যাক এই প্রথম কোনও জিনিস আমার দিক থেকে এলো এ সংসারে। এ বাসায় আমার প্রতিনিয়ত পরবাসী মনে হয়। সবকিছুতেই শুধু স্বামী আর স্বামী, কোথাও নেই আমি। তাই স্বামী আমার উপর খবরদারিও করের বেশ! এটা এভাবে রেখো না, ওটা ধরো না, এটা কেমন করে হলো, ক্যামনে নষ্ট হলো, তোর বাপরে কবি কিন্যা দিতে। পরের জিনিস নষ্ট করতে কষ্ট লাগে না! ফকিরনির বাচ্চা! পারোসতো নাই একটাকার একটা সূতাও আনতে, যা পাইছিস তাও নষ্ট করিস ক্যান?....
ইত্যাদি ইত্যাদি....
ভাবি আমার শ্বাশুড়ীকে শুনেয়েছে ওর জন্য একটা ফ্রিজ কিনে রেখেছি কিন্তু দিতে যাবার লোক পাচ্ছি না। আর ওওতো কারও সাথে সম্পর্ক রাখল না, যে কেউ গিয়ে দিয়ে আসবে....
এইকথা শুনে আমার স্বামী সম্পর্কটা জোড়া লাগালো। ভাবি আর ভাইয়া সুরসুর করে আমাদের বাসায় এলো। আমার স্বামীর ধারালো কথায় এবংভাবির পুরুষালী কণ্ঠে ঘর ফেটে যাচ্ছিল। তবু একটা সমাধান হলো। আপাতত সমাধান।
আমার স্বামী বলল আমি ভালোবাসা চাই, আদর চাই, জামাইর সম্মান চাই, অধিকার চাই। ভাবি কথা দিলেন তিনি সব পূরণ করবেন।( ভাইবেন না এটা হাসিনার দেয়া কথা।) আমার স্বামী এই প্রথমবারের মতো বেশ আয়োজন করে এলেন ভাইয়ের বাসায়, এেটেক তার শ্বশুরবাড়িে ঘোষণা করা হলো কারণ মা এখঅনেই থাকেন।
...
সম্পর্ক কিছূটা ভালো হলো। শ পাচেক টাকা খরচকরে আমরা বেড়িয়ে আসলাম। পেলাম না কিছুই আশ্বাস ছাড়া। বাসায় ফিরে আমার স্বামী বলে বাবুর জন্য একটা খেলাওকি ওরা এবার কিনে দিতে পারলো না? তোমার জন্য নাকি শাড়ি কিনেছে? ফ্রিজটাই বা কোথায়?
এ মাসেই দেবে বলেছে.....
মাসটা শেষ না হতেই আমার ভাবি আমার স্বামীর কাছ থেকে ৩০হাজার টাকা ঋণ চায়। আমার স্বামী দেয়ার চেষ্টা করে কিন্তু কিছু ঝামেলা থাকার কারণে পারে না।....
সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেলো।
সম্পর্ক থাকা সত্তেও যদি আমার স্বামী আমার ভাই ভাবিকে হেল্প না করে তাহলে এটাতো পাওয়ার জন্য সম্পর্ক! ফ্রিজ পাওয়ার জন্য।... অতএব ফ্রিজ দেয়া হবে না।
আমার স্বামী বলে ফ্রিজ পরিমাণ টাকা আমার কাছ থেকে নিয়ে আমাকে ফ্রিজ দিয়ে উদ্ধার করা? দারুণ সিস্টেম।
হাসিনা একজন সাবেক সেনাশহীদের পরিবারকে রাস্তায় নামিয়ে অন্য সেনাশহীদের পরিবারকে ঘরে তুলতে চায়। ভালোইতো!
তবু বলতে পারবে আমি দিতে চাইছি, অমুকের জন্য দিতে পারিনি।
এখন আমার স্বামী বলে মাঝখান থেকে আমার ৫০০০টাকা গেলো। আমার মা এসে বাসাবদলের দিন আমার স্বামীর কাছ থেকে নিয়ে গেছে।...
সম্পর্ক উন্নয়নে এমনই লাভ হলো।
গল্প আরেকটা বলি!
এরপর আমার ভাবি যে কৌশলটি খেলল সেটি আরও সুন্দর। ভাবির একটি জমি আছে সেটি বিক্রি করে স্বামীর অর্থাৎ চাকরিশূন্য আমার ভাইয়ের বিপদে তিনি হেল্প করবেন। এমনকি আমার স্বামীর চাহিদাও তিনি পূরণ করবেন। জমি বিক্রি করতে গিয়ে জানা গেলো সেটি সরকারি খাস জমি। এতোদিন ভোগদখলে ছিল কিন্তু বিক্রির অনুমতি নেই।অতএব সাহায্য আর করা গেলো না। এদিকে মামলার ঝালোয় ভাইয়ার জমানো টাকার পুঁজিটাও গেলো।
এবার গল্পটা বলি। এক লোক আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছে, হে আল্লাহ তুমি আমাকে একলক্ষ টাকা দান করো। আমি তোমার পথে ৫০হাজার টাকা দান করে দেবো।...আচ্ছা যদি তোমার বিশ্বাস না হয় তাহলে তাহলে ৫০হাজার টাকা তুমি রেখে বাকি ৫০হাজার টাকা তুমি আমাকে দান করো।.....
হাসিনা বনাম ভাবি,
পূরণ করবে দাবি
আখের ঠিক রাখা চাই
যে যা চাইবে পাবে তাই।।