somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কর্পোরেট গেম!

০৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শেখ হাসিনার সংসদের ভাষণের পর একটা কৌতুক মনে পড়ে গেলো, সেই সঙ্গে একটি গল্পও।
Click This Link

আমার বরের কথাতো সবাই জানেন!
তো আমার ভাবি এবার রাজি হয়েছেন এমাদের সংসারের জন্য একটি ফ্রিজ কিনে দেবেন। আমিতো মহাখুশি যাক এই প্রথম কোনও জিনিস আমার দিক থেকে এলো এ সংসারে। এ বাসায় আমার প্রতিনিয়ত পরবাসী মনে হয়। সবকিছুতেই শুধু স্বামী আর স্বামী, কোথাও নেই আমি। তাই স্বামী আমার উপর খবরদারিও করের বেশ! এটা এভাবে রেখো না, ওটা ধরো না, এটা কেমন করে হলো, ক্যামনে নষ্ট হলো, তোর বাপরে কবি কিন্যা দিতে। পরের জিনিস নষ্ট করতে কষ্ট লাগে না! ফকিরনির বাচ্চা! পারোসতো নাই একটাকার একটা সূতাও আনতে, যা পাইছিস তাও নষ্ট করিস ক্যান?....
ইত্যাদি ইত্যাদি....

ভাবি আমার শ্বাশুড়ীকে শুনেয়েছে ওর জন্য একটা ফ্রিজ কিনে রেখেছি কিন্তু দিতে যাবার লোক পাচ্ছি না। আর ওওতো কারও সাথে সম্পর্ক রাখল না, যে কেউ গিয়ে দিয়ে আসবে....
এইকথা শুনে আমার স্বামী সম্পর্কটা জোড়া লাগালো। ভাবি আর ভাইয়া সুরসুর করে আমাদের বাসায় এলো। আমার স্বামীর ধারালো কথায় এবংভাবির পুরুষালী কণ্ঠে ঘর ফেটে যাচ্ছিল। তবু একটা সমাধান হলো। আপাতত সমাধান।

আমার স্বামী বলল আমি ভালোবাসা চাই, আদর চাই, জামাইর সম্মান চাই, অধিকার চাই। ভাবি কথা দিলেন তিনি সব পূরণ করবেন।( ভাইবেন না এটা হাসিনার দেয়া কথা।) আমার স্বামী এই প্রথমবারের মতো বেশ আয়োজন করে এলেন ভাইয়ের বাসায়, এেটেক তার শ্বশুরবাড়িে ঘোষণা করা হলো কারণ মা এখঅনেই থাকেন।
...
সম্পর্ক কিছূটা ভালো হলো। শ পাচেক টাকা খরচকরে আমরা বেড়িয়ে আসলাম। পেলাম না কিছুই আশ্বাস ছাড়া। বাসায় ফিরে আমার স্বামী বলে বাবুর জন্য একটা খেলাওকি ওরা এবার কিনে দিতে পারলো না? তোমার জন্য নাকি শাড়ি কিনেছে? ফ্রিজটাই বা কোথায়?
এ মাসেই দেবে বলেছে.....
মাসটা শেষ না হতেই আমার ভাবি আমার স্বামীর কাছ থেকে ৩০হাজার টাকা ঋণ চায়। আমার স্বামী দেয়ার চেষ্টা করে কিন্তু কিছু ঝামেলা থাকার কারণে পারে না।....
সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেলো।
সম্পর্ক থাকা সত্তেও যদি আমার স্বামী আমার ভাই ভাবিকে হেল্প না করে তাহলে এটাতো পাওয়ার জন্য সম্পর্ক! ফ্রিজ পাওয়ার জন্য।... অতএব ফ্রিজ দেয়া হবে না।
আমার স্বামী বলে ফ্রিজ পরিমাণ টাকা আমার কাছ থেকে নিয়ে আমাকে ফ্রিজ দিয়ে উদ্ধার করা? দারুণ সিস্টেম।
হাসিনা একজন সাবেক সেনাশহীদের পরিবারকে রাস্তায় নামিয়ে অন্য সেনাশহীদের পরিবারকে ঘরে তুলতে চায়। ভালোইতো!
তবু বলতে পারবে আমি দিতে চাইছি, অমুকের জন্য দিতে পারিনি।
এখন আমার স্বামী বলে মাঝখান থেকে আমার ৫০০০টাকা গেলো। আমার মা এসে বাসাবদলের দিন আমার স্বামীর কাছ থেকে নিয়ে গেছে।...
সম্পর্ক উন্নয়নে এমনই লাভ হলো।

গল্প আরেকটা বলি!
এরপর আমার ভাবি যে কৌশলটি খেলল সেটি আরও সুন্দর। ভাবির একটি জমি আছে সেটি বিক্রি করে স্বামীর অর্থাৎ চাকরিশূন্য আমার ভাইয়ের বিপদে তিনি হেল্প করবেন। এমনকি আমার স্বামীর চাহিদাও তিনি পূরণ করবেন। জমি বিক্রি করতে গিয়ে জানা গেলো সেটি সরকারি খাস জমি। এতোদিন ভোগদখলে ছিল কিন্তু বিক্রির অনুমতি নেই।অতএব সাহায্য আর করা গেলো না। এদিকে মামলার ঝালোয় ভাইয়ার জমানো টাকার পুঁজিটাও গেলো।

এবার গল্পটা বলি। এক লোক আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছে, হে আল্লাহ তুমি আমাকে একলক্ষ টাকা দান করো। আমি তোমার পথে ৫০হাজার টাকা দান করে দেবো।...আচ্ছা যদি তোমার বিশ্বাস না হয় তাহলে তাহলে ৫০হাজার টাকা তুমি রেখে বাকি ৫০হাজার টাকা তুমি আমাকে দান করো।.....
হাসিনা বনাম ভাবি,
পূরণ করবে দাবি
আখের ঠিক রাখা চাই
যে যা চাইবে পাবে তাই।।
১৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×