somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আওয়ামী-বাকশালী গংদের নির্লজ্জ মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ও শঠতার জবাব!

১৬ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১০:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২০০৭ সালে তথাকথিত গ্যাটকো মামলার আগেই মইন ইউ গং জোর প্রোপাগন্ডা চালায় যে খালেদা জিয়া নাকি কমলাপুর ইন ল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনাল গ্যাটকো নামক কোম্পানী কে ইজারা পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১০০০ কোটি টাকা ক্ষতি করেছেন। অথচ শেষমেশ দুদক রাষ্ট্রের ১৪ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে খালেদা জিয়া সহ জোটের বিভিন্ন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। অর্থাৎ ৯৮৬ কোটি টাকার বিশাল তারতম্য যাকে বলা যায় পর্বতের মূসিক প্রসব! এই মিথ্যা বানোয়াট ১০০০ কোটি টাকার ক্ষতির প্রোপাগান্ডা সম্ভব হয়েছে ১/১১ সমর্থক ভারতীয় লবি এবং বাংলাদেশের আওয়ামী-বাকশালী গং সমর্থিত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কল্যাণে। একটি মিথ্যা কে যে সত্য বলে প্রমাণ করতে পারে সেক্ষেত্রে অর্থলোভী কুলাঙ্গার মিডিয়ার জুড়ি মেলা ভার। আওয়ামী-বাকশালীদের বিভিন্ন নির্লজ্জ মিথ্যা ও শঠতামূলক প্রোপাগান্ডার জবাব দিয়েছেন একজন লেখক। সেটা নিম্নে তুলে ধরা হল।

***************************

আওয়ামী মিথ্যাচারের দাঁতভাঙ্গা জওয়াব


আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রধান অবলম্বন হলো মিথ্যাচার। এই মিথ্যাচার করতে গিয়ে দিনকে রাত এবং রাতকে দিন বলতেও তাদের বিবেকের এতটুকু দংশন হয় না। জোট সরকারের শাসনামলের শুরু থেকেই তারা মিথ্যার পাহাড় রচনা শুরু করে। তাদের এসব ডাহা মিথ্যা প্রচারণার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ছিল- (১) আওয়ামী শাসনামলে অর্থাৎ ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এই পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বানিয়েছিল। বিদেশ থেকে কোন খাদ্যশস্য আমদানি করতে হয়নি। (২) জোট সরকারের ৫ বছরে ১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়নি। বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে তারা অনেকগুলো খাম্বা বসিয়ে অর্থ লুটপাট করেছিল। (৩) জোট সরকার তাদের ৫ বছরের শাসনামলে বিদ্যুৎ খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। (৪) জোট সরকারের ৫ বছরের শাসনামলে প্রধানমন্ত্রীর জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন এবং সেই টাকা সুইজারল্যান্ড, মালয়েশিয়াসহ ৫টি বিদেশী ব্যাংকে জমা রেখেছেন। (৫) ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার জনসমাবেশে গ্রেনেড হামলা এবং ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে ৫ শতাধিক বোমা বিস্ফোরণের সাথে জড়িত ছিলেন জনাব তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর প্রমুখ। কথায় বলে, ‘গাঁজার নৌকা পাহাড় বইয়া যায়।’ তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাবারে বিষ মেশানোর দায়ে জেনারেল মতিন ও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের সাথে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মোদাচ্ছের আলী লুৎফুজ্জামান বাবরকেও জড়িত করেছেন। অথচ জনাব বাবর তখনও জেলে, এখনো জেলে। যাই হোক, আমাদের আজকের এই মন্তব্য প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য তারেক রহমান বা বাবরকে ডিফেন্ড করা নয়, বরং তথ্য ও পরিসংখ্যানসহ আওয়ামী লীগের প্রতিটি অভিযোগের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া।
খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও আমদানি প্রসঙ্গ
সেই ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আওয়ামী লীগ এ পর্যন্ত কয়েক হাজার বার বলেছে যে, তাদের আমলে অর্থাৎ শেখ হাসিনা যখন প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন (১৯৯৬-২০০১) তারা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন। এর ফলে তাদের আমলে নাকি বিদেশ থেকে খাদ্যশস্য আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এতবড় একটি ডাহা মিথ্যা কথা তারা বছরের পর বছর প্রচার করে গেছে। ভাবতে অবাক লাগে যে জোট সরকার, বিশেষ করে বিএনপি সরকার একবারও সেই অভিযোগের জবাব দেননি। ফলে জনগণের বৃহত্তর অংশ ধরেই নিয়েছিলেন যে আওয়ামী লীগের এই প্রচারণা সত্য। বিগত নির্বাচনে ৪ দলীয় জোটের পরাজয়ের পেছনে যে সব কারণ ছিল তার মধ্যে এটিও অন্যতম কারণ ছিল। কিন্তু তথ্য ও পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রীত্বের প্রথম মেয়াদে অর্থাৎ ঐ ৫ বছরে বাংলাদেশ খাদ্যে মোটেও স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়নি। শেখ হাসিনার ৫ বছরে, প্রতি বছরেই বিদেশ থেকে খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়েছে এবং তার আমলেরই একটি বছরে সর্বোচ্চ পরিমাণ খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়েছে। তার প্রথম আমলের খাদ্যশস্য আমদানির রেকর্ড তার আগে এবং পরে কেউ ভাঙ্গতে পারেনি। এসব কোনো কথার কথা নয়। এসব তথ্য দেয়া হয়েছে বর্তমান সরকারেরই একটি ডকুমেন্টে। ডকুমেন্টটির নাম ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০০৯।’ এই ডকুমেন্টটি প্রকাশ করেছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অনুবিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়। এই দলিলটি স্বাক্ষর করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবং অর্থ সচিব ড. মোহাম্মদ তারেক। এই দলিলে শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে খাদ্যশস্য আমদানির যে পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে সেটি নিুরূপঃ
বছর আমদানির পরিমাণ
১৯৯৬-১৯৯৭ ৯ লক্ষ ৬৭ হাজার (মেট্রিক টন)
১৯৯৭-১৯৯৮ ১৯ লক্ষ ৫১ হাজার (মেট্রিক টন)
১৯৯৮-১৯৯৯ ৫৪ লক্ষ ৯১ হাজার (মেট্রিক টন)
১৯৯৯-২০০০ ২১ লক্ষ ৪ হাজার (মেট্রিক টন)
২০০০-২০০১ ১৫ লক্ষ ৫৪ হাজার (মেট্রিক টন)
সাপ্তাহিক ‘সোনার বাংলার’ সম্মানিত পাঠক-পাঠিকা ভাইবোনেরা, আপনারা ইচ্ছা করলে এই তথ্যটি যাচাই করে নিতে পারেন। এই টেবিলটি ২০০৯-এর বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষার ২৫৯ পৃষ্ঠায় দেয়া হয়েছে। আলোচ্য অর্থনৈতিক সমীক্ষার ২৫৮ ও ২৫৯ পৃষ্ঠায় যে সব তথ্য দেয়া হয়েছে সেগুলো পড়লে চক্ষু চড়ক গাছ হয়। এই দুটি পৃষ্ঠায় ১৯৭২-৭৩ সাল থেকে ২০০৮-২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৮ বছরের খাদ্যশস্য আমদানির পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে। ঐ পরিসংখ্যান থেকে দেয়া যায় যে এই ৩৮ বছরে শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদের মধ্যে ১৯৯৮-৯৯ সালে যে পরিমাণ খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়েছে সেটি বিগত ৩৮ বছরের ইতিহাসে আমদানির ক্ষেত্রে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এই বছরে খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়েছে ৫৪ লাখ ৯১ হাজার মেট্রিক টন। অর্থাৎ প্রায় ৫৫ হাজার মেট্রিক টন। এটাকেই সাহিত্যের ভাষায় বলা হয়, ‘ডাঙ্গর গলা।’ এটিকেই বলা যায়, “চুরি তো চুরি, আবার সিনা জুরি।”
অর্থ ২০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট
খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এবং খাদশস্য আমদানি বন্ধের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ যে রকম ডাহা মিথ্যা কথা বলেছে, বিদ্যুৎ খাত নিয়েও আওয়ামী লীগ সেই রকম জাজ্জ্বল্যমান মিথ্যা কথা বলেছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মেয়াদে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন জোট সরকার নাকি ২০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। এতবড় মিথ্যাচার, অথচ বিগত নির্বাচনের আগ পর্যন্ত বিএনপি এ ব্যাপারে জনগণের কাছে প্রকৃত সত্য ও তথ্য তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হলো এই যে, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদও আওয়ামী লীগের সুরে সুর মিলিয়ে ২০ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের এই মিথ্যা অপবাদ একাধিক সভা সমাবেশে উচ্চারণ করেছেন। ভিডিও ফুটেজে জেনারেল মইনের স্বকণ্ঠে উচ্চারিত মিথ্যা বক্তব্য ইদানিং দেখানো হচ্ছে। জেনারেল মইনের এই মিথ্যাবাদিতার বিরুদ্ধে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জনাব ইকবাল হাসান টুকু আদালতে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন। ইতিমধ্যে জনাব মইন উ আহমেদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তবে আদালত তাকে ১৬ আগস্টের মধ্যে সশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শাতে বলেছে। জনাব মইন উ ডিওএইচএসএতে যে ৬ তলা বাড়ী করেছেন, মানহানির দায়ে সেই বাড়িটিও কেন ক্রোক করা হবে না সেই কারণ দর্শানোর জন্য মইন উ কে ৩ সপ্তাহের জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে। ২০ হাজার কোটি টাকার তথাকথিত লুটপাট সম্পর্কে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া জাতীয় সংসদে প্রদত্ত ভাষণে বলেছেন, জোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে মোট বাজেট বরাদ্দ হয় ১৩ হাজার কোটি টাকা। যেখানে বাজেট হলো ১৩ হাজার কোটি টাকা, সেখানে ২০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা যায় কি করে? এই ১৩ হাজার কোটি টাকার মধ্যে অফিসার ও কর্মচারীদের বেতন বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা। তাহলে হাতে থাকলো মাত্র ৪ হাজার কোটি টাকা। হাতে যেখানে ৪ হাজার কোটি টাকা, সেখানে ২০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা সম্ভব কিভাবে? এ ব্যাপারে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী মামলা দায়ের করেছেন। আশা করা যাচ্ছে সত্য আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে।
বিদ্যুৎ খাত নিয়ে আওয়ামী লীগের আরেকটি লাগাতার অভিযোগ এই যে, জোট সরকারের ৫ বছরে নাকি ১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎও উৎপন্ন হয়নি। এটিও যে কত ডাহা মিথ্যা সেটিও আওয়ামী লীগ সরকারের দেয়া পরিসংখ্যান থেকেই বেরিয়ে আসবে। নীচে একটি টেবিল দেয়া হলো-
বছর সর্বোচ্চ উৎপাদন
২০০০-২০০১ ৩ হাজার ৩৩ মেগাওয়াট
২০০১-২০০২ ৩ হাজার ২১৮ মেগাওয়াট
২০০২-২০০৩ ৩ হাজার ৪৫৮ মেগাওয়াট
২০০৩-২০০৪ ৩ হাজার ৬২২ মেগাওয়াট
২০০৪-২০০৫ ৩ হাজার ৭৫১ মেঘাওয়াট
২০০৫-২০০৬ ৩ হাজার ৮১২ মেগাওয়াট
উপরে এই টেবিলটিও নেয়া হয়েছে আলোচ্য অর্থনৈতিক জরিপ ২০০৯ থেকে। যথারীতি এটিতে স্বাক্ষর করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এই পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে, আওয়ামী লীগ বিদ্যুৎ উৎপাদন যেখানে রেখে গিয়েছিল, বিএনপি ক্ষমতা গ্রহণের ১ বছরের মধ্যে সেই উৎপাদন বাড়ায় ১৮৫ মেগাওয়াট। জোট সরকার তার ৫ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ায় ৭৭৯ মেগাওয়াট। অর্থাৎ প্রতি বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পায় গড়ে ১৫৫ মেগাওয়াট। এ কথা সত্য যে, ৫ বছরে ৭৭৯ মেগাওয়াটের চেয়ে আরো কিছু বেশী পরিমাণে বিদ্যুৎ হয়তো উৎপাদন করা যেত। কিন্তু তাই বলে এই ৭৭৯ মেগাওয়াট উৎপাদনকে সম্পূর্ণ ব্ল্যাক আউট করে যখন বলা হয় যে উৎপাদন ১ মেগাওয়াটও বাড়েনি তখন সেটি শুধুমাত্র সত্যের অপলাপই হয় না, সেটি হয় রীতিমত ডাহা মিথ্যা কথা।
তারেক রহমানের বিদেশী টাকা
আওয়ামী লীগ বিগত ৫ বছর ধরে লাগাতার অভিযোগ করে যাচ্ছে যে তারেক রহমান নাকি জোট সরকারের আমলে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন এবং বিদেশে ৫টি রাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রেখেছেন। মইন উ আহমেদের ২ বছরের রাজত্ব পার হয়েছে। আওয়ামী লীগ রাজত্বেরও ৬ মাস পার হয়েছে। এই আড়াই বছর ধরে সার্চ লাইট দিয়ে তারেক রহমানের হাজার হাজার কোটি টাকা তারা তালাশ করেছেন। অবশেষে পেয়েছেন একটি চাঁদাবাজির মামলা, যার মূল্য মাত্র ১ কোটি টাকা। কোথায় হাজার হাজার কোটি টাকা, আর কোথায় ১ কোটি টাকা? ঐ চাঁদাবাজির মামলাও এখন টিকছে না। এই একই কথা প্রযোজ্য ১৭ ও ২১ আগস্ট বোমাবাজির ঘটনাতেও। তারেক এবং বাবরের বিরুদ্ধে তারা একটি মামলাও এখন পর্যন্ত খাড়া করতে পারেনি। সেদিন মতিয়া চৌধুরী বলেছেন যে, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ নাকি গুলশানে জোর করে একটি বাড়ী দখল করেছেন এবং সেখানেই বসবাস করছেন। মওদুদ বলেছেন, এটি তার আপন ভাইয়ের বাড়ী। সেই ভাই লন্ডনের স্থায়ী বাসিন্দা। মতিয়া চৌধুরী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেও রুচিহীন কুৎসিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি নাকি বিএনপি নেতা হাফিজউদ্দিনের গ্রন্থের ২১০ পৃষ্ঠায় বিধৃত রয়েছে। কিন্তু হাফিজউদ্দিন সাহেব বলেছেন যে, তার বইয়ে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যাই হলো ১১৫। সেখানে তিনি ২১৫ পৃষ্ঠার ঘটনা বর্ণনা করবেন কিভাবে?
এরপর বেগম মতিয়া চৌধুরী খামোশ মেরে গেছেন। প্রিয় পাঠক, এটিই হলো আওয়ামী লীগ। আর এটিই হলো আওয়ামী অভিযোগের নমুনা। এসব মিথ্যাচার দিয়ে তারা দেশবাসীকে বোকা বানাচ্ছে। তবে আফসোস, প্রচুর অকাট্য যুক্তি থাকা সত্ত্বেও বিএনপি সময় মত আওয়ামী অভিযোগের জবাব দিচ্ছে না। ফলে জনমনে বেড়ে যাচ্ছে বিভ্রান্তি।

লেখকঃ মোবায়েদুর রহমান।

Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১০:১৬
১৪টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আইনের ফাঁকফোকর-০৩

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২

যেকোনো চাকরির নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। সেটা পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ে হতে পারে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×