somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজ হিন্দুস্থান BSFএর উৎসবের দিনঃ তারপরেও দালালদের ভারত প্রেম চলবে!

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



২০০১ সালে বাংলাদেশের রৌমারীতে ফেয়ার যুদ্ধেই বিএসএফ হায়েনাদের শোচনীয় পরাজয় হয়েছিল। কারণ তারাই আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে চুপিসারে বিডিআর হতে আমাদের ভূখন্ড দখল করতে এসেছিল। পরিণামে হাসিনা তৎকালীন বিডিআর প্রধানকে সরিয়ে সেনাবাহিনীতে ফিরত পাঠায়। পরে সময় না থাকাতে এবং ২০০১-০৬ মেয়াদে জোট সরকার ক্ষমতায় থাকায় হিন্দুস্থান প্রতিশোধ নিতে পারেনি। আর জোট সরকারের মেয়াদে ২০০৫ সালে আগ্রাসী বিএসএফের হায়েনা জীবন কুমার নিহত হলে পরের দিন বাকশালী সাবের ও ফারুক চৌধুরী ঘেউ ঘেউ করে যে জো সরকার নাকি ভারতের সাথে সম্পর্ক খারাপ করছে। অথচ এদের ভারতীয় বাপেরা যে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে গ্রামবাসীদের মারধর ও এক কিশোরীকে আগে হত্যা করে তা নিয়ে কিছু বলল না। তাই ২০০৯ সালের পিলখানার গণ-হত্যার পটভূমি একদিনে হয়নি। এর মূলেই আওয়ামী-বাকশালীদের ভারত বন্দনা ও প্রভুভক্তিই বিডিআর বিদ্রোহের নাম করে ৭০ জন সেনা সদস্যকে খুন করে। এটা গভীর চক্রান্তের ফসল। তাই এই ঘটনাকে ভিত্তি করে ২০০১ সালে নিহত হায়েনা বিএসএফের সদস্যদের পরিবারগণ এই নিয়ে উৎসব করে;

Click This Link

কাপুরুষ বলেই সম্মুখ ও বিনা যুদ্ধে প্রতিপক্ষকে এভাবে হত্যা করে। বাংলাদেশ ছোট হলেও অসভ্য-বর্বর ভারতীয় বিএসএফকে সম্মুখ যুদ্ধে ভয় করে না। এই পিলখানা হত্যাকান্ডের পরেও সীমান্তে হত্যাকান্ড অব্যাহত রাখে বিএসএফ। ফেলানীর নিহত হওয়া, হাবিবকে অসভ্য-বর্বর কায়দায় নির্যাতন সহ বহু নৃশংস কান্ড ঘটাতে থাকে। এরই প্রতিবাদ স্বরুপ যখন আমাদের কিছু হ্যাকার ভাইয়েরা ভারতীয় বিভিন্ন ওয়েবসাইট হ্যাক করে তখন ক্যানেইডিয়ান বুদ্ধির ঢেকি বলে;

সীমান্তে ভারতের গুলি করা বিষয়টা আজকের না। গত দশ বছরের হিসাব ১০০৬ জন নিহত হয়েছে। সরকার আসছে সরকার যাচ্ছে। আগে কখনও বিষয়টা নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য না হলেও আওয়ামী-ভারত সমীকরনের নামে সুবিধা নেওয়ার জন্যে একদল তখনই সক্রিয় হয় - যখন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকে।

বলাই বাহুল্য - সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় হত্যাকান্ডের পরিমান কমেছে। কিন্তু দুঃখজনক ভারতে মন্ত্রী পর্যায়ের গুলি বন্ধের আশ্বাসের পরও তা বন্ধ হচ্ছে না।

গতকাল থেকে দেখলাম - সাইবার যুদ্ধ শুরু করেছে বাংলাদেশের হ্যাকাররা। অপেক্ষা করছিলাম দেখার জন্যে তাদের যুদ্ধের অস্ত্রগুলো কি রকমের ( জ্ঞান আর প্রোগ্রাম) - দেখলাম থ্রি নটা থ্রি রাইফেল নিয়ে নেমেছে হ্যাকারাগন। সাথে আবার পাকিস্থানীরা যোগ দিয়েছে।

ঢিল মারলে পাটকেলটি খেতে হয় - সুতরাং ভারতীয় হ্যাকারাও বসেনেই - তারাও হ্যাক করছে। বাংলাদেশের ক্ষতি পুরনের জন্যে ইউএনডিপি আর কানাডা সরকারের অনুদান নিশ্চয় সমস্যা হবে না।

মাছরাংগা নিউজে দেখলাম মারাত্বক গুরুত্ব দিচ্ছি নিউজে। হাস্যকর একটা প্রচেষ্টা।

একটা স্বাধীন দেশের মুখপাত্র হলো সেই দেশের সরকার - তার পরিচালনায় যে দলই থাকুক না কেন - সরকারই দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। সরকারকে এড়িয়ে বা বিব্রত করে কতগুলো হ্যাকার যখন বাংলাদেশের এজেন্ডা নিয়ে সামনে আগায় - তখন তাদেরকে বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী হিসাবে বিবেচনা করা হবে।

বাংলাদেশ যেহেতু অফিসালী ভারতে হোস্টাইল ন্যাশন না - দুই দেশের মধ্যে প্রচুর সমঝোতা চুক্তি আছে। সেই সুবাদে ভারত যদি বাংলাদেশকে হ্যাকারদের বিরুদ্ধে এ্যাকশনে যেতে অনুরোধ করে (এবং করবে) - বাংলাদেশ সরকারের নৈতিক দায়িত্ব হবে হ্যাকারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। সুতরাং যারা সাময়িক উত্তেজনায় এই কাজটা করেছেন - তারা একটু সাবধান হবে - এইটা আমার পরামর্শ।

আর পাকিদের সাথে যারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদ করাকে ফরজ মনে করেছে - তাদের জন্যে রইল করুণা।

আর শেষ কথা হলো - অনেকে দেখছি কম্পিউটার অপারেশন এবং টুকটাক প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শিখে নিজেদের বৈজ্ঞানিক ভাবা শুরু করছেনে - কথা কথায় বিজ্ঞান মনষ্ক হবার জন্যে জনগনকে উপদেশ বিতরন করেন - উনারা কিভাবে এই ছেলে খেলায় নিজেদের সম্পৃক্ত করলেন - ভেবে সত্যই অবাক হচ্ছি।

এইটা যদি বাংলাদেশের সার্বিক কম্পিউটার প্রযুক্তির জ্ঞান হয় - তাইলে হতাশ হওয়া ছাড়া আর কিই বা করার আছে।


এই বলদ কি দেখেনা যে বিএসএফ প্রধান বলে যে গুলি বন্ধ হবে না। ভারত শান্তিবাহিনী লেলিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্ন করা, পানি বঞ্চিত করা ইত্যাদি অপকর্ম করলেও কোন দোষ নয় কিন্তু কেউ প্রতিশোধ নিতে গেলেই নানা আপত্তি! এই বলদ বলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সীমান্ত দরকার নেই। দেখা যায় ভারত সরাসরি যতনা বাংলাদেশের ক্ষতি করতে পারে এই বলদ ক্যানেইডিয়ানের মত হিন্দুস্থানী তাবেদারদের মাধ্যমে তার চেয়ে বেশী ক্ষতি করে। ভারতের অন্যায় ও জুলুম রুখতে হলে এ দেশের ভারতীয় দালালদের সবার আগে প্রতিরোধ করতে হবে। নতুবা পিলখানার মত দেশে আরো ভিন্ন ভিন্ন ধরণের ক্ষতি হতেই থাকবে। প্রবাদ এমনি এমনি হয়নি "ঘরের শত্রু বিভীষণ!"।
৩২টি মন্তব্য ৩২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রজাতির শেষ জীবিত প্রাণ !

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫১



বিবিসির একটা খবর চোখে এল সেদিন । উত্তরাঞ্চলীয় সাদা গন্ডার প্রজাতির শেষ পুরুষ গন্ডারটি মারা গেছে । তার নাম ছিল সুদান । মৃত্যুর সময় তার বয়স ৪৫। বিবিসির সংবাদটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মধ্যে সে একজন ।।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯



আপনারা কতজন Umma Kulsum Popi চেনেন, আমি ঠিক জানি না। আমার পর্যবেক্ষণ মতে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একজন হলেন উনি। যদি বলি দেশের সেরা পাঁচজন কনটেন্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিস অস্বীকার করে রাসূলের (সা.) আনুগত্য সম্ভব

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পোষ্ট যদি ক্রমাগতভাবে ০, কিংবা ২/১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, বুঝবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



আপনার পোষ্ট যদি ক্রমাগতভাবে ০ কিংবা ১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, তখন খোঁজ নিলে দেখবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

কোন বিষয়ের উপর অনেক মানসম্পন্ন পোষ্ট লিখলেও সামুতে আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×