এটাই আমার প্রথম ব্লগ এই ব্লগে। আশা করি নতুন হিসেবে আমার ভুলভ্রান্তি গুলো ক্ষমার চোখে দেখবেন।
===বিয়েতে অসামঞ্জস্যপূর্ণ রক্তের গ্রুপ===
পাত্র: A = পাত্রী :O&B
পাত্র: B = পাত্রী O&A
পাত্র: AB = পাত্রী:O,A& B
পাত্র: Rh ve = পাত্রী:Rh-ve
====বিয়েতে সামঞ্জস্যপূর্ণ রক্তের গ্রুপ===
পাত্র: A = পাত্রী:A&AB
পাত্র: B = পাত্রী:B & AB
পাত্র: O = পাত্রী:O,A,B & AB
পাত্র: AB = পাত্রী:AB
পাত্র: Rh ve = পাত্রী:Rh ve
পাত্র: Rh-ve = পাত্রী:Rh ve & Rh-ve
===পজিটিভ এবং নেগেটিভঃ সমস্যা কোথায়?===
রক্তের গ্রুপের পজিটিভ বা নেগেটিভ বলতেবুঝায় লোহিত রক্তকণিকার গায়ে Rh এন্টিজেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি। পাত্রপাত্রী পারস্পরিক বিপরীত ধরনের (অসামঞ্জস্যপূর্ ণ) এন্টিজেনের হলে ভ্রূণ অথবা নবজাতকে এন্টিজেন- এন্টিবডির মধ্যকার প্রতিক্রিয়ায় erythroblastosi s fetalis নামক রোগ হয় যাতে ভ্রূণ অথবা নবজাতকে অস্বাভাবিক রক্তশূন্যতা ও জন্ডিস দেখা দেয়। এমনকিপরিস্থিতি আরওখারাপ হলে হৃৎপিণ্ডের ক্রিয়া বন্ধহয়ে মৃত শিশুর জন্ম হতে পারে।
*** এখানে পাত্রের রক্তের গ্রুপই মুখ্য ভূমিকা পালন করে। পাত্র পজিটিভ গ্রুপের হলে তাকে অবশ্যই পজিটিভ গ্রুপের কাউকে নির্বাচন করতে হবে ( নেগেটিভ ভুলেও নির্বাচন করতে যাবেন না)। আর পাত্র নেগেটিভ গ্রুপের হলে পাত্রী নির্বাচনে পজিটিভ বা নেগেটিভ তেমন কোন সমস্যা নেই।
erythroblastosi s fetalis-এ আক্রান্ত নবজাতকের বিনিময় পরিসঞ্চালনের (exchange transfusion) প্রয়োজন হতে পারে। এতে শরীরের সম্পূর্ণ রক্ত ধীরে ধীরে নির্দিষ্ট গ্রুপের রক্ত দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়; নিয়মিত বিভিন্ন রক্তকণিকার অনুপাত, শতকরা হার এবং পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করা হয়; বিলিরুবিনের পরিমাণ দেখা হয়- অতিরিক্ত বিলিরুবিন মস্তিস্কের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে থাকে এবং বুকের দুধ খাওয়াতে চেষ্টা করলে নবজাতকের তেমন কোন সাড়া পাওয়া যায়না।
***প্রথম গর্ভধারণে এই সমস্যা এত প্রকট আকারে দেখা না দিলেও পরবর্তী গর্ভধারণে কিন্তু সমস্যা ক্রমশ বাড়তেথাকবে।
***গর্ভাবস্থায় রক্ত পরিসঞ্চালনের মাধ্যমে এই সমস্যার উত্তরণ সম্ভব ( বিষয়টি জটিল এবং ঝুঁকিপূর্ণও বটে )।
*** গর্ভধারণের ২৮তম সপ্তাহে এবং সন্তান প্রসবের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে Rh0(D) immune globulin নিয়ে erythroblastosi s fetalis প্রতিরোধ সম্ভব।
*** জেনে রাখুন, সরাসরি কুম্ব টেস্টের মাধ্যমে এই রোগ নির্ণয় করা যায়।
===A, B, AB নাকি O===
AB গ্রুপের পাত্রী সব গ্রুপের পাত্রকেএবং O গ্রুপের পাত্র অন্য সব গ্রুপের পাত্রীকে নির্বাচন করতে পারেন। মনে রাখবেন, erythroblastosi s fetalis হয় নেগেটিভ বা পজেটিভের জন্য; A, B, AB কিংবা O-এর জন্য নয়। পাত্রপাত্রী নির্বাচনে A, B, AB কিংবা O-এর প্রতি অসতর্কতা থেকে নবজাতকে বিভিন্ন ধরনের এলার্জি, নিম্ন রক্তচাপ,কিডনি অকার্যকর এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
আমরা রক্তের গ্রুপ নির্ধারনের ক্ষেত্রে দুইটি জিনিস দেখে থাকি একটি এবিও এবং অপরটি আরএইচ ফ্যাক্টর (পজেটিভিটি নেগেটিভিটি নির্ধারনের জন্য)। এখন মূল বিষয়টির দিকে আসা যাক। একটি রক্তের আরএইচ পজিটিভ পুরুষের সঙ্গে আরএইচ নেগেটিভ মহিলার বিয়ে হলে মূলত সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। পজেটিভ পূরুষের সঙ্গে নেগেটিভ রক্তধারী কোন মহিলার মিলনে জন্ম নেয়া শিশু পজেটিভ রক্তধারী অথবা নেগেটিভ রক্তধারী হতে পারে। নেগেটিভ রক্তধারী শিশু সমস্যার মুখোমুখী না হলেও পজেটিভ রক্তধারী শিশুর ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়। কারণ মায়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত নেগেটিভ রক্ত শিশুর পজেটিভ গ্রুপের সঙ্গে মিশে যায় না বরং অধঃক্ষিপ্ত হয়। এতে করে মৃত শিশুর জন্ম হয় অথবা জন্মের সঙ্গে সঙ্গে মারাত্মক রক্তশূন্যতায় শিশু মারা যায়। এজন্য বিয়ের আগে থেকে পাত্র-পাত্রীর রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হতে হবে তাদের রক্তের গ্রুপ কোনটা। তবে নেগেটিভ রক্তধারী মহিলাদেরহতাশ করছি না। কারণ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ সমস্যা দূরীকরনে গর্ভধারণের সময় আরইচ ইমিইনো সিরাম ব্যবহার করা হয়।
===বিয়েতে অসামঞ্জস্যপূর্ণ রক্তের গ্রুপ===
পাত্র: A = পাত্রী :O&B
পাত্র: B = পাত্রী O&A
পাত্র: AB = পাত্রী:O,A& B
পাত্র: Rh ve = পাত্রী:Rh-ve
====বিয়েতে সামঞ্জস্যপূর্ণ রক্তের গ্রুপ===
পাত্র: A = পাত্রী:A&AB
পাত্র: B = পাত্রী:B & AB
পাত্র: O = পাত্রী:O,A,B & AB
পাত্র: AB = পাত্রী:AB
পাত্র: Rh ve = পাত্রী:Rh ve
পাত্র: Rh-ve = পাত্রী:Rh ve & Rh-ve
===পজিটিভ এবং নেগেটিভঃ সমস্যা কোথায়?===
রক্তের গ্রুপের পজিটিভ বা নেগেটিভ বলতেবুঝায় লোহিত রক্তকণিকার গায়ে Rh এন্টিজেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি। পাত্রপাত্রী পারস্পরিক বিপরীত ধরনের (অসামঞ্জস্যপূর্ ণ) এন্টিজেনের হলে ভ্রূণ অথবা নবজাতকে এন্টিজেন- এন্টিবডির মধ্যকার প্রতিক্রিয়ায় erythroblastosi s fetalis নামক রোগ হয় যাতে ভ্রূণ অথবা নবজাতকে অস্বাভাবিক রক্তশূন্যতা ও জন্ডিস দেখা দেয়। এমনকিপরিস্থিতি আরওখারাপ হলে হৃৎপিণ্ডের ক্রিয়া বন্ধহয়ে মৃত শিশুর জন্ম হতে পারে।
*** এখানে পাত্রের রক্তের গ্রুপই মুখ্য ভূমিকা পালন করে। পাত্র পজিটিভ গ্রুপের হলে তাকে অবশ্যই পজিটিভ গ্রুপের কাউকে নির্বাচন করতে হবে ( নেগেটিভ ভুলেও নির্বাচন করতে যাবেন না)। আর পাত্র নেগেটিভ গ্রুপের হলে পাত্রী নির্বাচনে পজিটিভ বা নেগেটিভ তেমন কোন সমস্যা নেই।
erythroblastosi s fetalis-এ আক্রান্ত নবজাতকের বিনিময় পরিসঞ্চালনের (exchange transfusion) প্রয়োজন হতে পারে। এতে শরীরের সম্পূর্ণ রক্ত ধীরে ধীরে নির্দিষ্ট গ্রুপের রক্ত দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়; নিয়মিত বিভিন্ন রক্তকণিকার অনুপাত, শতকরা হার এবং পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করা হয়; বিলিরুবিনের পরিমাণ দেখা হয়- অতিরিক্ত বিলিরুবিন মস্তিস্কের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে থাকে এবং বুকের দুধ খাওয়াতে চেষ্টা করলে নবজাতকের তেমন কোন সাড়া পাওয়া যায়না।
***প্রথম গর্ভধারণে এই সমস্যা এত প্রকট আকারে দেখা না দিলেও পরবর্তী গর্ভধারণে কিন্তু সমস্যা ক্রমশ বাড়তেথাকবে।
***গর্ভাবস্থায় রক্ত পরিসঞ্চালনের মাধ্যমে এই সমস্যার উত্তরণ সম্ভব ( বিষয়টি জটিল এবং ঝুঁকিপূর্ণও বটে )।
*** গর্ভধারণের ২৮তম সপ্তাহে এবং সন্তান প্রসবের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে Rh0(D) immune globulin নিয়ে erythroblastosi s fetalis প্রতিরোধ সম্ভব।
*** জেনে রাখুন, সরাসরি কুম্ব টেস্টের মাধ্যমে এই রোগ নির্ণয় করা যায়।
===A, B, AB নাকি O===
AB গ্রুপের পাত্রী সব গ্রুপের পাত্রকেএবং O গ্রুপের পাত্র অন্য সব গ্রুপের পাত্রীকে নির্বাচন করতে পারেন। মনে রাখবেন, erythroblastosi s fetalis হয় নেগেটিভ বা পজেটিভের জন্য; A, B, AB কিংবা O-এর জন্য নয়। পাত্রপাত্রী নির্বাচনে A, B, AB কিংবা O-এর প্রতি অসতর্কতা থেকে নবজাতকে বিভিন্ন ধরনের এলার্জি, নিম্ন রক্তচাপ,কিডনি অকার্যকর এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
আমরা রক্তের গ্রুপ নির্ধারনের ক্ষেত্রে দুইটি জিনিস দেখে থাকি একটি এবিও এবং অপরটি আরএইচ ফ্যাক্টর (পজেটিভিটি নেগেটিভিটি নির্ধারনের জন্য)। এখন মূল বিষয়টির দিকে আসা যাক। একটি রক্তের আরএইচ পজিটিভ পুরুষের সঙ্গে আরএইচ নেগেটিভ মহিলার বিয়ে হলে মূলত সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। পজেটিভ পূরুষের সঙ্গে নেগেটিভ রক্তধারী কোন মহিলার মিলনে জন্ম নেয়া শিশু পজেটিভ রক্তধারী অথবা নেগেটিভ রক্তধারী হতে পারে। নেগেটিভ রক্তধারী শিশু সমস্যার মুখোমুখী না হলেও পজেটিভ রক্তধারী শিশুর ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়। কারণ মায়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত নেগেটিভ রক্ত শিশুর পজেটিভ গ্রুপের সঙ্গে মিশে যায় না বরং অধঃক্ষিপ্ত হয়। এতে করে মৃত শিশুর জন্ম হয় অথবা জন্মের সঙ্গে সঙ্গে মারাত্মক রক্তশূন্যতায় শিশু মারা যায়। এজন্য বিয়ের আগে থেকে পাত্র-পাত্রীর রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হতে হবে তাদের রক্তের গ্রুপ কোনটা। তবে নেগেটিভ রক্তধারী মহিলাদেরহতাশ করছি না। কারণ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ সমস্যা দূরীকরনে গর্ভধারণের সময় আরইচ ইমিইনো সিরাম ব্যবহার করা হয়।
এই পোস্ট টি এর আগে টেক্সটাইল ব্লগারস এ প্রকাশিত।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ সবাইকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৫