২০২০ সালের মধ্য মালেশিয়া উন্নত বিশ্বের সমমানে পরিনত হবে এবং রিঙ্গিট খুব শক্তিশালী মুদ্রায় রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে। ধারনা করা হচ্ছে ইউএসডি এবং ডলারকে ছাডিয়ে যাবে। বর্তমানে প্রচুর পরিমানে ইনফ্রাস্ট্রাকচার (এমআরটি, ডাটাসেন্টার, কর্পোরেট হেডকোয়াটার, ইউকে, কোরিয়ান, জাপানীস বিভিন্ন দেশের কর্পোরেট ব্রান্ড অফিস, হাউজিং, শপিং কম্পপ্লেক্স ) ডেভেলপমেন্টের কাজ চলছে।
মালেশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশীদের জন্য উম্মুক্ত হলেও অধরাই রয়েই গেছে সাধারন আমজনতার কাছে। জিটুজি পদ্বতিতেপ্লানটেশন সেক্টরে এই পর্যন্ত প্রায় ২০০ জন শ্রমিক মালেশিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। এই শ্রমিক পাঠাতে বাংলাদেশ দীর্ঘসূত্রিতার পরিচয় দেয়। মালেশিয়া তাদের চাহিদামাফিক শ্রমিক বাংলাদেশ থেকে পাচ্ছে না।
কমপক্ষে যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাস এবং ইংরেজীতে কিছুটা হলেও কথা বলতে বা বুঝতে সমর্থ তাদের জন্য খুব ভালো একটা সুযোগ হল (Pre-Sea)প্রি-সি ট্রেনিং কোর্স ও বেসিক সেফটি ট্রেনিং কোর্স। কোর্সটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং গ্রহনযোগ্য। Standards of Training, Certification and Watchkeeping (STCW 1995)
ট্রেনিং এর সময়কাল মাত্র ছয়দিন। ট্রেনিং শেষে মৌখিক এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে । পরীক্ষায় উত্তীর্নরা পাবে সার্টিফিকেট এবং দশ মাস শিক্ষানবিস হিসাবে কাজ করার সুযোগ পাবে শীপইয়ার্ড, বন্দর, বানিজ্যিক জাহাজ, তেল ও গ্যাস কোম্পানী অথবা ম্যারিনার্স ইন্ডাস্ট্রিতে।প্রাথমিক অবস্থায় বেতন (১৫০০-২০০০ রিঙ্গিট)।
বর্তমানে সামুদ্রিক ইন্ড্রাস্ট্রি গুলোতে ব্যাপকভাবে দক্ষ লোকবলের ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে সিঙ্গাপুর, হংকং এবং মধ্যপ্রাচ্যে।
আমার ব্যাক্তিগত পরামর্শ হল অবৈধভাবে ট্রলারে জীবন বাজি রেখে বা টুরিষ্ট ভিসার মাধ্যমে বা অন্যকোন অবৈধ উপায়ে মালেশিয়ায় গমন না করাই ভালো। এতে খরচ অনুযায়ী আয়ের পরিমান অনেক কম। সমপরিমান খরচে বৈধভাবে মালেশিয়ায় গমনের বেশ কিছু পন্থা রয়েছে, সে গুলোর মাধ্যমে চেষ্টা করুন সফল হবেন। যারা দেশে বেকার বসে আছেন ভালো কোন কাজকর্মের সুয়োগ কম তারা এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেন, আপনার ভাগ্য বদলে যেতে পারে আপনার একটি সঠিক সিদ্বান্তে।
অবশ্য যে হারে বাংলাদেশের আদম অবৈধভাবে মালেশিয়ায় পাচার হচ্ছে তাতে করে অনেকেই ভেবে থাকবেন হয়তো এটাও হয়তো সে ধরনের, ভাবাটাই স্বাভাবিক। তবে আপনি আশ্বস্ত করতে পারি, এই তথ্যটি সঠিক। বর্তমানে মালেশিয়ায় প্রায় ১০ লক্ষ অদক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকের ঘাটতি রয়েছে বিভিন্ন সেক্টরে। এই সংক্রান্ত তথ্যর জন্য ই-মেইলে যোগাযোগ করতে পারেন। ই-মেইল আইডি: [email protected]