আমার সেইসব বন্ধু যাদের কাছে ধার করার পরে কোনদিন তা ফেরত দেবার কথা মনে হয়নি। সেইসব বন্ধু যারা ধার করার পর কোনদিন তা ফেরত দেবার প্রয়োজন মনে করেনি। আমার সেইসব প্রিয় বন্ধু আর তাদের সাথে কাটিয়ে আসা সময় গুলোর কথা মনে করে এই কবিতাটি লেখা। আজও সেই প্রিয় মুখগুলো আমাকে হাসায়, কাঁদায় আর দিয়ে যায় আনাবিল আনন্দ।
কবিতাটা কথ্য ভাষায় লেখা। আসলে ওই সময় আমরা যেভাবে নিজেদের মাঝে কথা বলতাম, রাগ প্রকাশ করতাম, ঝাড়ি দিতাম, ঠিক সেভাবেই লেখার চেষ্টা করেছি মাত্র।
এই লেখাটি একান্তই ব্যাক্তিগত আজাইরা প্যাঁচাল। যার কোন শুরু নেই। শেষ ও নাই।
========================
তোরে নিয়ে ভাবছি যত
ফুঁসছি ততো রাগে,
দোস্ত আমার ধারের টাকা
ফেরত দিবি কবে?
সেই যে নিলি আর দিলিনা
পাচ্ছিনাতো ফোনে,
ইচ্ছে করে কানের গোঁড়ায়
থাবড়া মারি জোরে।
হতচ্ছাড়া পাইলে তোরে
ঊষ্ঠা দিয়াম টাকে,
চোখের উপর পরলে ঠুলি
ঢিসুম দিমু নাকে।
আমার ব্যাথা বুঝলি নাতো
ভাইসা গেলাম শোকে,
বাসায় আমায় বউ পোলাপান
চাচ্চু কইয়া ডাকে।
এসব কথা যায়না ভোলা
যায়না রাখা মনে,
তাই বলে কি ধারের জ্বালায়
ভাইগা যাবি বনে?
=========================
সবশেষে আমার একটা বন্ধুর কথা খুব মনে পড়ছে, যে কোনদিন ধারের টাকা ফেরত চাইত না। টাকার দরকার হলে, চোখ মুখ কালা করে রুমে এসে বলত " দোস্ত কিছু টাকা ধার দিবি?"
শুধু তার জন্যে এই দুলাইন.....
"বন্ধু আমার ফাঁইসা গ্যাছে,
খাইছে কঠিন ছ্যাঁকা,
মুখ করেছে কালো সে তার,
ন্যাজ করেছে ব্যাকা।"
ভালো থেকো বন্ধুরা আমার।
(যদি কেউ পোস্টটা পড়ে থাকেন, তাঁকে ধন্যবাদ।)
আত