somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চলচ্চিত্রের টিকে থাকা

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১.
বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটক বলেছিলেন, ‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। কেন বলেছিলেন এই কথা? এই প্রসঙ্গে একটু পরেই আসছি। দৃশ্যত আমরা প্রতিদিন আমাদের সামনে যা চলতে ফিরতে দেখছি তারই আলোচনা বা সমালোচনা করছি, তারই সুনাম বা বদনাম করছি। এই আলোচনা, সমালোচনা, সুনাম, বদনাম করার শতভাগ অধিকার আমাদের আছে। এইটা সংবিধান সম্মত। কিন্তু কেন আমরা এর নিরীক্ষের ঘটনাটা দেখছি না? কেন আমাদের পিছনের বিষয়টা সম্পর্কে জানার আগ্রহ কম? এইটা কতজন ভেবে দেখেছেন? আমার ধারণা সল্প সংখ্যক। আর সল্প বলেই আমাদের ভাবনাটা আসে না। ভাবনাটা ভাবনা হয়ে উঠার আগেই আমাদের মুখে চলে আসে। আর মুখে আসলেই তা আলোচনা, সমালোচনা, সুনাম, বদনাম ক্যাটাগরিতে পড়ে যাচ্ছে।
আরো সহজ করে বলি। বাঙালি জাতি হিসেবে সচেতন, প্রতিবাদী, পরিশ্রমী, আবেগপ্রবণ, অতিথি পরায়ণ। এই কথাগুলো আমার নয়। এই কথাগুলো আমাদের দেশে যেসব বিদেশী অতিথি আসা যাওয়া করেন তাদের মন্তব্য। আমাদের দেশের বিভিন্ন কাজে শিল্পী, সাহিত্যিক, নাট্যকার, কূটনৈতিক, খেলোয়াড়, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন কলাকুশলীরা আসেন। তারাই এই মন্তব্যগুলো বলেছেন। তারা আমাদের সহজভাবে না দেখে নিরীক্ষে বিশ্লেষণ করে এই মন্তব্যগুলো করেছেন।

২.
এইবার প্রাসঙ্গিক আলোচনায় আসি। আমারা যে আসলেই প্রতিবাদী তার নমুনা দেয়। ২০১৭ সালে যতগুলো বাংলাদেশি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে আমরা খুব উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে যতটা সম্ভব দেখার চেষ্টা করেছি। সেইসব চলচ্চিত্রের ভালো খারাপ বিশ্লেষণ করে চুলচেরা মন্তব্যও করেছি। কারণ কি? কারণ হল দর্শক হিসেবে আমরা খুবই সচেতন, প্রতিবাদী এবং আমরা নিজের টাকা খরচ করে চলচ্চিত্রটি দেখেছি। আমদের ভালো লাগলে আমরা ভালো বলেছি আর খারাপ লাগলে খারাপ বলেছি। যেহেতু আমরা টাকা খরচ করেছি তাই এর ভালোমন্দ বলার অধিকার আমাদের আছে। এইভাবে ভাবে আমাদের কিছু সচেতন সমাজ, তা তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওয়ালে গেলেই বোঝা যায়। এইটা যে আমাদের কতটা ভালোগুণ তা বলে বোঝানো যাবে না। কিন্তু এই ভালোগুণটা যদি আমরা প্রতিটা ক্ষেত্রে ব্যবহার করতাম তবে আমাদের দেশটা বোধহয় আরো সুন্দর হত।
আমরা প্রতিদিন যে গণপরিবহনে চড়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাতায়াত করি। সেই গণপরিবহন গত কয়েকবছর ধরে আমাদেরকে জিম্মি করে বাড়তি টাকা আদায় করে যাচ্ছে, তার কি আমরা জোরালো প্রতিবাদ করেছি? যে হোটেল বা রেস্টুরেন্টে বসে আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যয় করে খাবারদাবার খাচ্ছি, সেই হোটেল বা রেস্টুরেন্ট নির্ধারিত মূল্য নেয়ার পরও বিভিন্ন চার্জের নামের আমাদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায় করে নিচ্ছে তার কি কোনো প্রতিবাদ করেছি? যে সুপারশপ থেকে আমরা প্রতিদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনছি সেই সুপারশপ ভ্যাটের নাম করে আমাদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে তার কি প্রতিবাদ করেছি? আলোকসজ্জ্বায় ভরপুর বিপণিবিতানের যে দোকান থেকে কাপড় কেনার পর ভ্যাটের নামে যে বাড়তি টাকা নেয়া হয় তার কি কোনো প্রতিবাদ করেছি? যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমাদের কোমলমতি শিশুদের পড়াচ্ছি, সেই প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর এতো এতো টাকা নিচ্ছে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে আমরা অভিভাবক হিসেবে কি প্রতিবাদ করেছি? যে নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, ডাল, পেঁয়াজ, তেল, সবজি আমরা খাচ্ছি তার দাম হুহু করে বেড়ে গিয়ে কখনো আকাশচুম্বী হচ্ছে তার কি প্রতিবাদ আমরা করেছি? করিনি। এর সাথেও কিন্তু বিশাল অঙ্কের অর্থ জড়িয়ে আছে।
ও আচ্ছা, এইসব নিয়ে কথা বলতে তো আমাদের আত্মসম্মানে লাগে, এইসব নিয়ে কথা বললে তো আমাদের সম্মানহানী হবে। তাই আমরা নিশ্চুপে দিনের পর দিন সহ্য করে যাচ্ছি প্রতিবাদ না করেই। এইরকম শত শত তালিকা করা যাবে যেখানে আমাদের প্রতিবাদ করে ফাটিয়ে দেয়া উচিত ছিল কারণ ওইটা আমাদের অধিকার কিন্তু আমরা কোনো জোরালো প্রতিবাদ করিনি। দুই একজন সরব হলেও আমরা কেউই তাদের পাশে দাঁড়ায়নি ফলে সেই দুই একজন নীরবে হারিয়ে গিয়েছে।


৩.
বিনোদনের জন্য আমরা যা করি বা যা দেখি তার মধ্যে চলচ্চিত্র অন্তর্ভুক্ত। বিনোদন বা জ্ঞানের জন্য আমরা চলচ্চিত্র দেখি এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলচ্চিত্র পাঠও করা হয়। যাতে করে চলচ্চিত্র মাধ্যমে ভালোমানের চলচ্চিত্র নির্মাতা তৈরি হয় এবং চলচ্চিত্র সম্পর্কে তার ভাব, জ্ঞান, ধারণা, বোধ তৈরি হয়। চলচ্চিত্রের ইতিহাস দেখলে জানা যায় একটি চলচ্চিত্রের প্রদর্শনের পর এর দুটি শ্রেণি তৈরি হয়। একটি দর্শক শ্রেণি, একটি সমালোচক শ্রেণি।
দর্শক চলচ্চিত্রটি দেখে বিনোদিত হয় অথবা বিনোদিত না হলে ভালোমন্দ মন্তব্য করেন। আর সমালোচক শ্রেণি চলচ্চিত্রটির শিল্পমান নিরীক্ষণ, আদ্যোপান্ত বিচার বিশ্লেষণ করে এর গঠনমূলক একটি সমালোচনা তৈরি করেন যা বিভিন্ন বড় বড় পত্রপত্রিকা বা টেলিভিশনমাধ্যমগুলো প্রচার করেন। তাতে করে চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে সবাই সম্যক ধারণা পায়। এর মাধ্যমে সেই চলচ্চিত্র পরিচালকসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকলে যেমন জানতে পারেন তেমন চলচ্চিত্রমাধ্যমে জড়িতরাও এই সমালোচনা দেখে নিজেদের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন। প্রসঙ্গতই বলে রাখা দরকার, চলচ্চিত্রের সমালোচক সবাই নয়।
দীর্ঘ বছর ধরে যারা চলচ্চিত্রমাধ্যমের সাথে সরাসরি জড়িত, যাদের চলচ্চিত্র নির্মাণের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আছে, যারা বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা সেমিনারে চলচ্চিত্র নিয়ে আলোচনা করেন, যাদের চলচ্চিত্র নিয়ে গবেষণাপত্র আছে এবং যাদের চলচ্চিত্রের উপর প্রকাশিত বই আছে তারাই মূলত চলচ্চিত্রের মূলধারার সমালোচক। বাংলাদেশে মূলধারার চলচ্চিত্র সমালোচকদের মধ্যে মুহম্মদ খসরু, তারেক মাসুদ, মতিন রহমান, ফাহমিদুল হক, বিধান রিবেরু সহ আরো অনেকেই আছেন। যারা চলচ্চিত্রমাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে বিচরণ করছেন এবং যাদের অভিজ্ঞতার ঝুঁলি অনেক ভারী। গড়পড়তা ভাবে আমরা যাদের চলচ্চিত্র নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা করতে দেখি এরা কেউই চলচ্চিত্রের সমালোচক নয়। এরা মূলত আবেগ, অনুভূতি, ভালোলাগা, মন্দলাগার মন্তব্যকারী বা বিভ্রান্তকারী। এরা বরং নিজেদের সল্প ধারণা থেকে চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে এমন সব মন্তব্য করেন যার কারণে চলচ্চিত্রটির সল্পকিছু আয় রোজগার করার কথা থাকলে তাও বন্ধ হয়ে যায়। এইটা কোনোভাবেই উচিত নয়। চলচ্চিত্রশিল্পকে ধ্বংস করার সবার এইধরনের মন্তব্যই যথেস্ট।
একটি দুই-আড়াই ঘন্টার চলচ্চিত্র দেখার পর একজন সাধারণ দর্শক তার মন্তব্য প্রদান করতে পারেন, মন্তব্য প্রদানকারীদের কখনোই চলচ্চিত্র সমালোচক বলা যায় না বা বলা উচিত নয়। এই ধারাটি ভুল। আমাদের দেশে এই চর্চাটি প্রয়োজনের তুলনায় বেশিই হয়। সারা বিশ্বে একটি চলচ্চিত্র মুক্তির পর চলচ্চিত্র সমালোচকদের আলাদা ভাবে বলে চলচ্চিত্রটির সমালোচনা করাতে হয়। যাতে এর শিল্পমান, ত্রুটি-বিচ্যুতি জানা যায় এবং সাধারণ দর্শক থেকে শুরু করে চলচ্চিত্রমাধ্যমের সকলেই ওই চলচ্চিত্র সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা পায়। শুধু আমাদের দেশেই এর ব্যতিক্রম হয়।
যেসব দেশে চলচ্চিত্র মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে, যেসব দেশের চলচ্চিত্র আমরা মুখে মুখে আওড়াই, যেসব দেশের চলচ্চিত্র আমাদের বিনোদিত করে সেসব দেশে এই ধরণের প্র্যাকটিস চালু আছে। আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প ধুঁকে ধুঁকে মরছে দেখে আমাদের দেশে এই ধরণের প্র্যাকটিস চালু নেই।
কোনো চলচ্চিত্রই সমালোচনার উর্ধ্বে নয়। তার জন্য বিজ্ঞ সমালোচকরা কথা বলবেন, চলচ্চিত্র মাধ্যমের অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা আলোচনা করবেন। আমি কিংবা আপনি চলচ্চিত্র নিয়ে কথা বলার উপযুক্ত ব্যক্তি নই। এইটা সাধারণ ভদ্রতা বা পরিমিতি বোধ। কোথায়, কোন বিষয়ে আমাদের কথা বলা উচিত এবং কোন বিষয়ে আমাদের কথা উচিত নয়। এই জ্ঞানটা যিনি যত ভালো জানেন এবং বোঝেন তিনি তত ভালো সমাজে ভদ্রতা নিয়ে বেঁচে থাকেন।


৪.
আমাদের চলচ্চিত্র পরিপূর্ণ চলচ্চিত্র হয়ে উঠছে কিনা তা ভিন্ন প্রসঙ্গ এবং এরজন্য কথা বলার লোক আলাদা। একটি সংকট সময়ের মধ্যে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পটি যাচ্ছে। অনেক প্রতিকুলতা, ত্রুটি-বিচ্যুতি, অসামঞ্জস্যতা, অনেক কিছু মাথায় রেখে এদেশের চলচ্চিত্র পরিচালকদের কাজ করতে হয় এবং তারা করেও যাচ্ছেন।
শিল্প, সাহিত্য, সঙ্গীত, চলচ্চিত্র এইসব মাধ্যমের চর্চা যত বেশি হবে ততই একটি দেশের বিবেক, বুদ্ধি, মূল্যবোধের জায়গাটা উন্নত হবে। এই জায়গাটা উন্নত করতে প্রয়োজন আমাদের সবারই সহযোগিতা, সহমর্মিতা। সব চলচ্চিত্র পরিচালক যে ভরপুর বিনোদননির্ভর বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র বানাবেন তা কিন্তু নয়। আবার সবাই যে বোধের জায়গা বিচার করে বিকল্পধারার চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন তাও নয়। বাণিজ্যিক এবং বিকল্প এই দুইধারার চলচ্চিত্রই সারা পৃথিবীতে চলছে, আমাদের দেশেও তাই।
বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটক এই কারণেই বলেছিলেন, ‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো’। তিনি দৃশ্যত যা দেখা যাচ্ছে তার নিরীক্ষের কথা ভাবতে বলেছেন। আমরা যদি নিজেদের আবেগপ্রসূত মন্তব্য করে চলমান চলচ্চিত্র এবং চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভ্রান্ত করে দেয় তবে নতুন প্রজন্ম ভালো চলচ্চিত্র পরিচালক পাবেনা, নতুন ধ্যান, ধারণা, জ্ঞান, প্রযুক্তি নিয়ে কেউই আর চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে আসবে না।
আমাদের দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে আমাদের সবারই নিজেদের অবস্থান থেকে সহযোগিতা ও সহমর্মিতাপূর্ণ আচরণ করতে হবে। না হয় আমাদের চলচ্চিত্রশিল্পও একসময় বিদেশীদের আগ্রাসনে হারিয়ে যাবে, আমাদের নিজস্বতা থাকবে না। তখন আফসোস করা ছাড়া কিছুই করার থাকবে না। সিদ্ধান্ত আমাদের নিজেদেরই নিতে হবে। আমরা কোন পথে ধাবিত হব।

লেখাটির ঈষৎ সংক্ষেপিত রূপ প্রথম নভেম্বর ২০১৭ তে আইস টুডে'এর এই লিংকে প্রকাশিত হয়েছে। এইখানে বিশদ দেয়া হল।
http://icetoday.net/2017/11/চলচ্চিত্রের-টিকে-থাকা/


বিনয় দত্ত
সাহিত্যিক, নাট্যকার ও গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫০
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×