১৪ মে ২০১৫ খ্রিঃ, পহেলা বৈশাখ ১৪২২ বঙ্গাব্দ। রোজ মঙ্গলবার। এ্ই দিন সকাল ১১ টায় গ্রামীণ জনপদ কাপাসিয়ায় মাত্র তিনখানা বিজ্ঞাপন নিয়ে বিজ্ঞাপন চ্যানেলের (Biggapon Channel) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের দিন প্রশাসনের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। চ্যানেল উদ্বোধনের পর মানুষের মাঝে দেখা দেয় ব্যাপক সাড়া ও আগ্রহ। জনগণের আগ্রহ দেখে নতুন ধারণার এই বিজ্ঞাপন চ্যানেল নিয়ে অনেকের মত আমাদেরও কৌতুহল রয়েছে। এ কৌতুহল থেকে বিজ্ঞাপন চ্যানেলের সম্ভাবনা নিয়ে কিছু লেখার অবতারণা।
বিজ্ঞাপন চ্যানেল হচ্ছে নতুন প্রজন্মের চিন্তা-ধারা ভিত্তিক গ্লোবাল মাল্টি-অ্যাড পোর্টাল। যা একটি উচ্চতর ইন্টারেক্টিভ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সারাক্ষণ বিজ্ঞাপন নিয়ে কাজ করে। বিজ্ঞাপন চ্যানেলের সূচনা করে আন্তর্জাতিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড সেফগার্ড এন্ড মিডিয়া লিমিটেড। রাতদিন ২৪ ঘন্টা বিশ্বব্যাপি সব প্রকারের বিজ্ঞাপন সেবা প্রদানের জন্য এই চ্যানেলের আবির্ভাব। এটি বাংলাদেশে প্রথম বহুমাত্রিক বিজ্ঞাপন সেবার জন্ম দেয় এবং প্রথম দেশের সব বিজ্ঞাপনদাতাকে একটি সর্বজনীন প্ল্যাটফর্মের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়।
বিজ্ঞাপন চ্যানেল কাজ শুরু করার আগে এই ধরণের কোনো চ্যানেল বা পোর্টাল বাংলাদেশে কিংবা বিশ্বের কোথাও ছিল না বলে জানা যায়। সকলের সুবিধার কথা ভেবে জনগণের দোরগোড়ায় সেবাটি নিয়ে আসে ওয়ার্ল্ড সেফগার্ড এন্ড মিডিয়া লিমিটেড। ওয়ার্ল্ড সেফগার্ড এন্ড মিডিয়া লিমিটেড হচ্ছে বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মিডিয়া কোম্পানি। কোম্পানিটি তার সংঘস্মারকের ৩(৫) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে বিজ্ঞাপন চ্যানেল প্রতিষ্ঠা করে মিডিয়া ভূবনে চমক সৃষ্টি করে।
নতুন এই বিজ্ঞাপন চ্যানেল সম্পর্কে মানুষের ধারণা স্পষ্ট না থাকাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে মানুষের মাঝে নানা কৌতুহল, প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসা থাকতে পারে। আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে যাদের ধারণা কম, তাদের মাঝে সন্দেহ, সংশয় ও বিরূপ ধারণা থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। প্রযুক্তিজ্ঞান বিজ্ঞাপন চ্যানেলের নতুন ধারণা ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে বাড়িয়ে দিতে পারে। নতুন প্রজন্ম এ উদ্যোগকে সহজেই গ্রহণ করতে পারে। অর্থনৈতিক মুক্তি, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, মানুষের সেবার ব্রত নিয়ে বিজ্ঞাপন চ্যানেলের প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এ সংবাদ অত্যন্ত সুখের।
বাংলাদেশে বিজ্ঞাপন মাধ্যমগুলো এক ধরণের মন গড়া রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে বলে অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন প্রচার মোটা অঙ্কের টাকার ব্যাপার। কিছু ক্লাসিফাইড ব্যতীত অন্যান্য অনলাইনেও একই রকম চিত্র। বিজ্ঞাপন মাধ্যমগুলো সীমিত কিছু মানুষের সেবায় নিয়োজিত। এমন কোনো মাধ্যমও ছিল না যেখানে সব ধরণের বিজ্ঞাপন দেয়া যায়। সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল বিজ্ঞাপন মাধ্যম নামের এই শিল্পটি। গণমানুষের দৈনন্দিন জীবনের এই অসুবিধাগুলো দূরীকরণের জন্যই এসেছে বিজ্ঞাপন চ্যানেল ।
বিজ্ঞাপন চ্যানেলের লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিটি মানুষকে আশাতীত সেবা দিয়ে মিডিয়া লাইফকে আরও সহজ করে দেয়া। বিজ্ঞাপন চ্যানেলের নতুন ধারণা ধীরে ধীরে আরো বিকশিত হবে, দিন দিন এর পরিধিও বাড়বে। বিজ্ঞাপন চ্যানেল গ্রামীণ অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য দ্রুত সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই গ্রামে বসবাস করে। গ্রামীণ এই অর্থনীতিকে মজবুত করার জন্য আরো বেশি বেশি আঞ্চলিক বিজ্ঞাপনী ফার্ম প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবী। হয়তো একদিন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অঞ্চলকে কেন্দ্র করে পৃথক পৃথক বিজ্ঞাপনী ফার্ম প্রতিষ্ঠিত হবে। তবে মফস্বল এলাকা কাপাসিয়া থেকে সম্প্রচারিত এই বিজ্ঞাপন চ্যানেলটি পথিকৃত ও প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। বিজ্ঞাপন চ্যানেলের মাধ্যমে তরুণ সমাজের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
বিজ্ঞাপন ভিত্তিক সকল কাজই করছে নতুন ধারার এই বিজ্ঞাপন চ্যানেলটি । চ্যানেলটি তার অনলাইনে সব ধরণের বিজ্ঞাপন প্রকাশ ও প্রচার করছে। বিজ্ঞাপন বুথ বা এজেন্ট হিসেবে এটি বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর যে কোনো দেশের যে কোনো পত্রিকা, রেডিও, টিভি অথবা অন্য কোনো মিডিয়ায় যথাসময়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশের ব্যবস্থা করছে। নিউজ ম্যানেজম্যান্ট, অর্থাৎ তথ্য সংগ্রহ, নিউজ তৈরি এবং দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে তা প্রচারেও ব্যবস্থা করছে। এছাড়াও যে কোনো বিজ্ঞাপন নির্মাণ, যে কোনো মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ প্রচার, বিজ্ঞাপন, নিউজ ও মিডিয়া ভিত্তিক অন্যান্য কার্যক্রমও বাস্তবায়ন করছে বিজ্ঞাপন চ্যানেলটি।
জানা যায়, এটি বাংলাদেশের সর্ব প্রথম পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞাপন মাধ্যম। বিজ্ঞাপন চ্যানেলের পরিচালনায় রয়েছে বিশ্বব্যাপি কর্ম এলাকাময় প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড সেফগার্ড এন্ড মিডিয়া লিমিটেড। এটি পৃথিবীর প্রথম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মিডিয়া কোম্পানি হিসেবে সরকারীভাবে স্বীকৃত। এটি ২০১৪ সালে জুন মাসে নিবন্ধিত হয়। ওই কোম্পানির প্রথম উপহার হিসেবে বিজ্ঞাপন চ্যানেলের নবযাত্রা শুরু হয়। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে সত্য সুন্দর, বস্তুনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞাপন তৈরী ও প্রচারে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
নতুন এই চ্যানেলে মানুষ কেন বিজ্ঞাপন দেবে এ প্রশ্নের জবাবে বিজ্ঞাপন চ্যানেলের একজন কর্মকর্তা , মানুষ বিজ্ঞাপন চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেবেন এই কারণে যে, চ্যানেলটি দেশের উদীয়মান একটি ব্র্যান্ড। দেশ-বিদেশে এর প্রচুর দর্শক ও পাঠক রয়েছে। বর্তমানে দৈনিক পাঁচ লাখেরও বেশি গেস্ট অনলাইন এর সঙ্গে থাকে। দিন দিন এর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। চ্যানেলটি উদ্বোধনের পর এই কয়েক দিনে এলেক্সার রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইনের তালিকায় রয়েছে এই বিজ্ঞাপন চ্যানেল। আমাদের কাছে বিজ্ঞাপন দিলে আমরা এসকল বিজ্ঞাপন প্রকৃত ভোক্তাদের কাছে পৌঁছাই। ভালো মানের ও সেরা বিজ্ঞাপনের আমরাই একমাত্র মাধ্যম। ব্যাপক পাবলিসিটির ব্যবস্থা থাকায় আমাদের বিজ্ঞাপন প্রচার অন্যদের চেয়ে বেশি ফলদায়ক। এখানে বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্য পুরোপুরি অর্জিত হয় এবং বিজ্ঞাপন রেটও বেশি নয়। এখানে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। দেশে দিনদিন নতুন নতুন ব্যাংক-বীমা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। এসব কারণে পণ্যের প্রচার ও প্রসারের প্রয়োজনীয়তাও বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের প্রয়োজনেই মানুষ বিজ্ঞাপন চ্যানেলের কাছে ছুটে আসবে। প্রবীণদের এ ব্যাপারে বুঝতে একটু অসুবিধা হলেও আধুনিক ও নতুন প্রজন্মের ব্যক্তি ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তারা এই চ্যানেলকে নিজের প্রয়োজনেই ব্যবহার করবে বলে তিনি আশাবাদী।
কিভাবে এগিয়ে যাবে বিজ্ঞাপন চ্যানেল এ প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানান, ধাপে ধাপে এগিয়ে যাবে বিজ্ঞাপন ভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ মিডিয়া বিজ্ঞাপন চ্যানেলটি। শুরুতেই সারা দুনিয়া নিয়ে কাজ করবে না এটি। বিশ্বব্যাপি কাজ করার আগে ক্রমান্বয়ে কাপাসিয়া সংস্করণ, আঞ্চলিক সংস্করণ ও জাতীয় সংস্করণ নিয়ে কাজ করছে এই চ্যানেল। এই সংস্করণগুলো সম্পন্ন করার পর ওয়ার্ল্ড এডিশনের যাত্রার মাধ্যমে জগতজুড়ে বিজ্ঞাপন সেবা দেয়া হবে বলে তিনি জানান। বর্তমানে কাপাসিয়া উপজেলা নিয়ে কাজ করছে বিজ্ঞাপন চ্যানেল। পরে এটাকে বেসরকারি টেলিভিশনে রূপান্তরেরও পরিকল্পনা রয়েছে। তবে বর্তমানে এর অবস্থা দেখে খুব সন্তুষ্ট হওয়া যাচ্ছে না। আস্তে আস্তে এই দৃশ্যপট বদলে যাবে বলে তিনি আশাবাদী।
প্রচারেই প্রসার। ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী। একথাগুলি দিনদিন সত্যে পরিণত হচ্ছে। বর্তমান যুগ বিজ্ঞাপনের যুগ। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় বিজ্ঞাপনের তীব্র প্রতিযোগিতা ও ব্যাপকতা নিয়ে সমালোচনা আছে। কিন্তু বিজ্ঞাপন ব্যতিরেকে দৈনন্দিন জীবন, পণ্য বিপণন ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্ভব নয়। মানুষ যেন ক্রমেই বিজ্ঞাপন নির্ভর হয়ে পড়েছে। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মানুষকে ঠকানো হচ্ছে, প্রতারিত হচ্ছেন সহজ সরল সাধারণ মানুষ। বিজ্ঞাপন চ্যানেলকে অনৈতিক, ঠকবাজি, ধান্দাবাজি ব্যবসাকে পরিহার করতে হবে। যাবতীয় অশ্লীলতা পরিহার করে বিজ্ঞাপন তৈরী ও প্রচার করতে হবে। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে একবার যারা প্রতারিত হবে, তারা বিজ্ঞাপনের প্রচারে অবিশ্বাসী হয়ে উঠবে। এর প্রভাব পড়বে ভালো মানের পণ্যে ও বিজ্ঞাপন চ্যানেলে ।
সম্প্রচারিত নতুন এই বিজ্ঞাপন চ্যানেলটি এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তুলে ধরতে পারে এ জনপদের হাজারো বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে। দেশীয় সংস্কৃতি লালন ও বিকাশের অনন্য মাধ্যম হতে পারে এই চ্যানেলটি। ক্রীড়া ও শিক্ষার উন্নয়নেও অংশীদার হতে পারে তারা। বিজ্ঞাপন চ্যানেলের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সংঘটিত ঘটনা, সমাজের অসঙ্গতিকে জাতির সামনে তুলে ধরতে পারে। মানুষের অভাব, অভিযোগ, দুঃখ-কষ্ট, ব্যথা-বেদনার সাথী হতে পারে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ, নারীর প্রতি সহিংসতা, এসিড নিক্ষেপ, বৃক্ষ নিধন, পরিবেশের ভারসম্য নষ্ট, নদী দখলের বিরুদ্ধে মানুষকে করতে পারে সচেতন।
গ্রামে প্রচুর পরিমাণে উন্নত জাতের সু-স্বাদু আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, লিচু, কলা, পেঁপে, আনারস, আপেল কুল জন্মে। এসব মৌসুমী ফল গ্রামের ঐতিহ্য। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ফলের পরিচিতি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে হতে পারে বিশ্বব্যাপি। বিজ্ঞাপনের এই চ্যানেল বাংলাদেশের প্রকৃতিকে তুলে ধরতে পারে; তুলে ধরতে পারে পর্যটনের সম্ভাবনাকে এবং প্রত্মতত্ত্বের সমৃদ্ধ ইতিহাসকে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে রয়েছে হাট-বাজার ও ব্যবসা-বাণিজ্য কেন্দ্র। এসব বাণিজ্যিক কেন্দ্রের বিকাশ ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের মাধ্যমে নাগরিক সেবা নিশ্চিতের জন্য পণ্য ও নানান জিনিসপত্রের প্রচার ও প্রকাশে বিজ্ঞাপন চ্যানেল কাজ করতে পারে।
গ্রামে পোলট্রি ও ডেইরি শিল্পের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। এ শিল্পের প্রচার ও বাণিজ্যে সহায়তা করতে পারে নতুন ভাবনার এই বিজ্ঞাপন শিল্প। গ্রামের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরতে পারে। কৃষি ও শিল্পের বিকাশে এগিয়ে আসতে পারে বিজ্ঞাপন চ্যানেল। এছাড়া, চাকরির খবর প্রকাশ করে লাখ লাখ বেকারদের সহযোগিতা করতে পারে। ব্যাংক-বীমা, শিল্প, বাণিজ্য, কৃষি, অর্থনীতি, আবাসন, উন্নয়ন, সেবা ইত্যাদি খাতের বিজ্ঞাপন ও নিউজ প্রচার করে দেশকে এগিয়ে নেয়ার সহায়তা করতে পারে বিজ্ঞাপন চ্যানেল ।
দেশের আনাচে-কানাচে রয়েছে অনেক প্রতিভাবান শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। রয়েছে প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, রাজনীতিক, আলোকিত মানুষ। গ্রামে গ্রামে রয়েছে নকশী কাঁথা ও পিঠার কারিগর। হারিয়ে যাওয়া কুঠির শিল্পের নিপুণ কারিগর। এসব নীরব প্রতিভাকে জাতির সামনে সহজেই তুলে ধরতে পারে বিজ্ঞাপন চ্যানেল । সেসঙ্গে পারে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, বিনোদন, দেশ-বিদেশের সংবাদ প্রচার করতে।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহশিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান, বিচিত্রানুষ্ঠান, গান, কবিতা আবৃত্তি, বিতর্ক, অভিনয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে অনেক মেধাবী মুখ। বছরের বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত হয় হা-ডু-ডু, দাঁড়িয়াবান্দা, ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল খেলা। হাটতলা, বটতলায় অনুষ্ঠিত হয় বৈশাখী মেলা। আয়োজন হয় জারী, বাউল ও মারেফতি গানের। বিজ্ঞাপন চ্যানেল তার অনলাইন অপসনের মাধ্যমে লাইভ টেলিকাস্ট করে মানুষকে উৎসাহিত করতে পারে।
ঈদ-পুঁজায় দেশের ব্যবসায়ীরা সহজেই বিজ্ঞাপন চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের লেটেস্ট কালেকশনকে আগ্রহী ক্রেতাদের সামনে অডিও, ভিডিও ও ফুটেজের মাধ্যমে আগে ভাগেই তুলে ধরতে পারে। ফরমালিনমুক্ত মাছ, ফল থেকে শুরু করে কাঁচা বাজারের একশত ভাগ বিষমুক্ত সদ্য ক্ষেত থেকে তুলে আনা টাটকা-তরতাজা লাউ, সীম, বেগুন, শসা ও শাক-সবজীর সচিত্র প্রতিবেদন এ চ্যানেল প্রচার করে ক্রেতা-বিক্রেতাকে সহায়তা করতে পারে।
ওয়াজ মাহফিল, ওরছ, কীর্তন, জন্ম-মৃত্যু, বিয়ে, জন্মদিন, বৌভাত ও বনভোজনের অনুষ্ঠানও বিজ্ঞাপন চ্যানেলের আওতায় আসতে পারে। দর্শক ও পাঠক ভোগ করতে পারবে অনলাইনের সকল সুযোগ-সুবিধা।
চ্যানেল পারে সাদা মনের আলোকিত মানুষকে তুলে ধরতে। শ্রেষ্ঠ ব্যবসায়ী, ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে তুলে ধরতে পারে। সফল প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে প্রচার করে পিছিয়ে পড়া প্রতিষ্ঠানসমূহকে অনুপ্রাণিত করতে পারে। বিভিন্ন লেখক, কবি, সাহিত্যিকদের জীবনী ও লেখা প্রচার করতে পারে। তারা পারে আল্লাহ ও রাসুলের (সঃ) শ্রেষ্ঠ বাণী প্রচারের মাধ্যমে আলোকিত সমাজ গড়ে তুলতে।
মানুষের সুখ-দুঃখ প্রকাশের এক অনন্য মাধ্যম হিসেবে এটি কাজ করতে পারে। এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে অবশ্যই ব্যবসায়ী মানসিকতা পরিহার করে সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে জনগণ নিজের প্রয়োজনে এগিয়ে আসবে। বিজ্ঞাপন চ্যানেল দিনদিন সমৃদ্ধশালী হবে। বিজ্ঞাপন চ্যানেল একদিন দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্থান করে নিয়ে একটি বৃহত্তর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। বিজ্ঞাপন চ্যানেল নতুন চিন্তা-সম্ভাবনা ও অর্থনৈতিক মুক্তির দুয়ার খুলে দিবে একদিন।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩