গতকাল দরজার চৌকাঠে বাড়ি খেয়ে কপাল ফুলে আছে হোসেনের।আজ তা ফুলে ঢোল। বরফ ছিল না ফ্রিজে। গতকাল ই তাই বাক্সে বরফ হবার জন্য পানি রেখে দিয়েছিল। আজ জমাট বেধে একদম শক্ত হয়ে গেছে। বরফ বের করে টেবিলের উপর রেখে চুলায় চা এর পানি বসাতে গেল।
পরিবারের সদস্য চার জনের হলেও হোসেনদের খাবারের টেবিল ছয়জনের। হোসেনের বাবা খুব শখ করে বানিয়েছিলেন। বেশ বড়, সেগুণ কাঠের এই টেবিলে শেষ কবে এক সাথে বসে খাওয়া হয়েছিল, বয়স ত্রিশের কাছাকাছি হোসেনের মনে পরে না। যেন এক সাথে থেকেও কেউ এক সাথে নেই। চায়ের পানি বসিয়ে টেবিলের সামনে এসে দেখে বরফ গলতে শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। কক্ষতাপমাত্রার সান্নিধ্য আসামাত্র ই একটু ও দেরি করেনি গলতে। বরফের ধর্ম ই এমন।
হোসেন দাঁড়িয়ে থাকে, দেখে, বরফ গলতে গলতে এক সময় পানি হয়ে যায়। ভাবে সম্পর্কের কি কোন ধর্ম আছে? সম্পর্কের ধর্ম কি কেবল ই ভেঙ্গে যাওয়া?
শুধু সম্পর্কগুলই এভাবে গলে যায় না, দিন যায়, সম্পর্কগুলো শীতল থেকে কেবল হীম শীতল ই হয়।। বরফ থেকে হয়ে যায় আরো বরফ।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫