মানিব্যাগ টা আজকাল ধরতেই ইচ্ছে করেনা। একে তো রংচটা, আর কিছু ছোট্ট চিরকুট, অযথা হাতের লিখা কাগজ মিলে বেশ পেটকা রুপ ধারন করায় পকেটে নিতেও ইচ্ছে হয় না।
চা খাবার প্রবল নেশা ধরেছে, মানিব্যাগ এ তেমন অর্থকরী নেই, তাও খুলে দেখল হোসেন, ৫০ টাকা। বাহ। মন টা অস্থির, রাস্তা একদম ফাকা। বৃদ্ধা কে খুঁজে পেল না। দাঁড়িয়ে আছে।
হঠাৎ ই মনা ড্রাইভার এসে হাজির।
মনা ড্রাইভার রিকশা চালায়, বাম হাত নেই, তারপর ও নিজে খেটে খাবে। আত্নসম্মান। মনা মামা বল্লেও শুনবে না, মনা নামে ডাকলেও শুনবে না। তাকে মনা ড্রাইভার বলেই ডাকতে হবে।
কই যাইবেন?
হোসেন উত্তর দেয়, নিরন্তর নিয়ে যাবে?
উঠেন, যুত কইরা বসেন, আইজ শীত বেশি।
কেমন আছ, মনা ড্রাইভার।
বোজেন ই তো।
এত রাতে কেন বের হউ?
আপনাগো নিরন্তর দেখাইতে বাইর হই, যেইখানে অই যে হলুদ বাত্তির আলোতে শইল্লের ছায়া পড়ে, চুপ কইরা থাকেন, অই খানে নিয়া যাইতে বাইর হই।
ভালো লাগে এতে?
হ, চুপ কইরা যখন অই আলোতে নিজের ছায়া মেইল্লা দাঁড়ায় থাহেন তহন মনে হয় দুনিয়াডা কি শান্তির। কেম্নে যে মানুশ এত কষ্ট পুইষা ঘুমাইতে যায়?
হোসেন আর কথা বাড়ায় না, চুপ করে অপেক্ষা করতে থাকে কখন মনা ড্রাইভার তাকে পৌছে দেবে।
ছবি: ইনটারনেট
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮