দেখি দেখি দেখি, ভাই একটু সরেন, একটু চেপে দাড়ান বলেই ব্যতিব্যস্ত লোকটা তার বিশাল ভুঁড়ি খানা চাপিয়ে দিল, হঠাৎ ভুঁড়ির চাপে অন্যমনস্ক হোসেনের দম প্রায় আটকে আসছিল।
বছরের প্রথম বৃস্টি। কি হয় একটু আয়োজন করে ভিজলে? এইত টং দোকানে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিল। হঠাৎ ই ঠাণ্ডা বাতাস। সারা শীতে গাছগুলির মরে যাওয়া পাতা গুলি ঝরে ঝরে পড়ছিল, সন্ধা ঘনিয়েছে আগেই। ধুপ করে কারেন্ট ও চলে গেল। বিশাল বিশাল দালান গুলি হুট করে অন্ধকার। হোসেন ভাবছিল কারেন্ট যেন না আসে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে অনুভব করছিল সব। ঝুম ঝুম করে বৃস্টি পরছে। পিচ ঢালা রাস্তা থেকেও মাটির সোদা গন্ধ আসছে। আসলেই কি? থাক না যেভাবেই হোক না কেন। আর তার সাথে মিশেছে ঝরে পড়া মুকুল। মিলেমিশে মাতোয়ারা করে দিচ্ছে অন্তরটাকে।
সবকিছু ভাল লাগছে, যান্ত্রিক মানুষের হুরোহুরি, মাথা বাচানোর জন্য একটু ঠাই। ছাতা থেকে বেয়ে বেয়ে পড়া টুপটুপ পানি, পিঠে লেপ্টে থাকা অগোছালো চুল, টং এর টিনের চালে রিমঝিম শব্দ, চায়ের কাপে পানির ফোটার টুপটাপ শব্দ। ভিজে যাওয়া ঠাণ্ডা হাত দিয়ে কপালটা চেপে ধরল হোসেন, যেন মাথার ভেতরটাও শীতল হয়ে উঠল।
কি হয় একটু ভিজলে? এত কিছু ঘটে যায় এই অল্পখানি বৃস্টির মধ্য দিয়ে।
থেমে গেলে সবাই চলে যাচ্ছে। দোকানদার হোসেন কে বলল, ভাইজান সব লইছেন তো? এক্কেবারে ভিজ্জা গেলেন যে।
হা নিয়েছি তো সব।
কই কিচ্ছু তো সাথে দেখিনা।
নিয়েছি, অনুভব। একান্ত ই আমার তা।