somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

করোনা ভাইরাসের সাথে একান্ত আলাপচারিতা

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সুধী দর্শক শ্রোতা, আমি জানি আপনারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন আজকের অনুষ্ঠানের জন্য। ''আসেন বসেন, বইসা যান'' টেলিভিশনের পক্ষ থেকে আমি মধুরিমা খন্দকার আপনাদেরকে স্বাগতঃ জানাচ্ছি আজকের লাইভ প্রোগ্রামে। আজ আমাদের সাথে আছেন বিশ্ব করোনা ভাইরাস ভাতৃসংঘের বাংলাদেশ কোঅর্ডিনেটর। উনার সাথে একান্তে, খোলামনে আলাপ করবো কিছু কথা। আপনারা কোথাও যাবেন না কিন্তু। উনি এখনও মেকআপ রুমে আছেন, এলেই শুরু হবে কথোপকথন। ইত্যোবসরে আপনারা কিছু বিজ্ঞাপন দেখুন। ফিরে আসছি, যখন উনি ক্যামেরার সামনে আসবেন।

বিজ্ঞাপন বিরতির পর…….

মধুরিমাঃ শুভ সন্ধ্যা। আজ আপনি কেমন আছেন মাননীয় কোঅর্ডিনেটর সাহেব? আপনাকে আমি এভাবেই সম্মোধন করছি, কিছু মনে করবেন না। আপনার ব্যাপারে, আপনাদের ব্যাপারে একটু বিস্তারিত বলবেন কি আমাদের?

বা. কোঃ আমি ভালই আছি। অনুষ্ঠানের আগেই আপনার সাথে শেয়ার করেছিলাম মধুরিমা, এবার দর্শক শ্রোতাদের জানাই, আমাদের আসলে কোন নাম নাই। আমাদের প্রত্যেকের একটা ইউনিক আইডেন্টিফিকেশান নাম্বার আছে। সেটা দিয়েই আমরা পরস্পরের সাথে পরিচিত। সেই নাম্বারও বিশাল আর খটোমটো। তাই সেদিকে যাচ্ছি না। আমরা আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি। আমাদের কমিউনিটির কার্যক্রমও চলছে বেশ জোড়েসোড়ে। কাজের চাপে শরীরটা অবশ্য কয়েকদিন ধরে একটু কেমন জানি লাগছে, তারপরেও…...ভালো।

মধুরিমাঃ আমাদের সময় একটু টাইট; বুঝতেই পারছেন, এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় চ্যানেল। তাছাড়া আপনারাও এখন ভীষণ ব্যস্ত…..তাই সরাসরি মূল প্রসঙ্গে চলে আসি।

বা. কোঃ সেটাই…..আসলে সন্ধ্যা ৬টার পর রাস্তাঘাটে লোকজন পাওয়া যায় না, তাই তার আগ-পর্যন্ত আমাদের খুবই ব্যস্ত থাকতে হয়। ৬টার পর আবার সারাদিনের রিপোর্ট কম্পাইল করে হেড অফিসে পাঠাতে হয়, আমাদের গ্লোবাল নেটওয়ার্কের ভিডিও কনফারেন্সগুলোও হয় রাতে। সব মিলিয়ে আমাদের দম ফেলার সময় থাকে না। এর মধ্যেই জোড়াতালি দিয়ে আমাদের দম ফেলতে হয়…..হে হে হে!

মধুরিমাঃ আচ্ছা, দু'টা প্রশ্ন করি আগে। বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত আপনারা কবে নিলেন, আর কিভাবে আসলেন? আসতে কোন অসুবিধা হয়নি তো!

বা. কোঃ আসলে এই দেশটার প্রতি আমাদের নজর ছিল প্রথম থেকেই। এখানকার আবহাওয়া যদিও আমাদের ততোটা পছন্দ না, তবে মানুষগুলা খুবই ফ্রেন্ডলি। আমাদের কোঅর্ডিনেটর প্যানেলের অনেকেই এখানে আসতে আগ্রহী ছিল। কাজেই সিলেকশান করতে গিয়ে গ্যান্জাম লেগে গেল। সব ঝামেলা মিটিয়ে আসতে একটু দেরী হয়। তবে, আপনাদের প্রশাসন যতোটা বলে ততোটা দেরী হয়নি কিন্তু। জানুয়ারীর শেষের দিকেই চলে এসেছিলাম। এখানকার নেটওয়ার্ক ঠিক করতে গিয়েও একটু দেরী হয়। ২১শে ফেব্রুয়ারীর শুভদিনে আমরা আমাদের কার্যক্রম উদ্বোধন করি। আর আসার সুবিধা অসুবিধার কথা বলছেন? ওই যে বললাম আপনাদের ফ্রেন্ডলীনেসের কথা। যাদের সাথে আসলাম, তারাও গুরুত্ব দেয়নি, আপনাদের এয়ারপোর্টের লোকজন নিয়ে একটু টেনশানে ছিলাম, কিন্তু তারা তো আরো ভালো। সবমিলিয়ে কোন সমস্যাই হয়নি।

মধুরিমাঃ আপনাদের কার্যক্রম নিয়ে কিছু বলুন।

বা. কোঃ শুরুতেই বলেছি, আমাদের অনেকেই এদেশে আসতে আগ্রহী ছিল, কারন এখানে কাজ করা অনেক সহজ। সরকার, প্রশাসন, জনগন সবাই খুবই সহযোগিতা করেছে, করছে। বিদেশ ফেরতা, যাদের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে আমরা এসেছিলাম, তারা সরকারী সহযোগিতায় আমাদের ঘর গুছাতে সহায়তা করেছে। মুজিব বর্ষ নিয়ে আমাদের বিশাল ক্র্যাক ডাউন প্রোগ্রাম ছিল। তার আগেই আমরা অবশ্য গ্রাউন্ড ওয়ার্ক হিসাবে কিছু মডেল টেস্ট করি, যা খুবই সফল হয়। মুজিব বর্ষ নিয়ে আমাদের হতাশ হতে হয় নি। সেটা খুবই সাফল্যের সাথে আমরা করতে পেরেছি। তারপর মনে করেন, সিটি কর্পোরেশানের নির্বাচন, ১০ দিনের ছুটির অবকাশ ভ্রমন, কতিপয় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী খোলার কথা বলে শ্রমিক এনে তাদের আবার ফেরত পাঠানো, ধর্মীয় জমায়েত…..কোনটা রেখে কোনটা বলবো! তাছাড়া আপনাদের মন্ত্রীরা ক্রমাগত বিভ্রান্তিমূলক কথা বলে আমাদের কাজ আরো সহজ করে দিয়েছেন। এটা নিয়ে আমরা শুরুতে একটু টেনশানে ছিলাম কিনা…..হে হে হে! সবই আমাদের সৃষ্টিকর্তার কৃপা। আসলে এই দেশের সরকার আমাদেরকে এতো আন্তরিকতার সাথে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে যে কি বলবো। কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমাদের জানা নাই! সারা পৃথিবীর সরকারগুলোর জন্য এটা একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। স্যালিউট…...গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার!

মধুরিমাঃ আচ্ছা, আপনাদের খারাপ লাগে না এভাবে নিরীহ মানুষ মারতে?

বা. কোঃ দ্যাখেন, সবসময়ে পজিটিভ চিন্তা করবেন। এটা আপনাদের হার্টের জন্যও ভালো। ‍বি পজিটিভ। আমাকে ভুল বুঝবেন না আবার! আপনার রক্তের গ্রুপ বলছি না, আপনাদের মানসিকতার পরিবর্তনের কথা বলছি। আমরা পৃথিবী ব্যাপী একটা মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছি। জনসংখ্যার ভারে এই পৃথিবী নিমজ্জিত। আমরা জনসংখ্যা কমাতে সহায়তা করছি। আপনারা নিজেরাই তো অহরহ নিজেদের মারছেন……..কৃষ্ণ করলে লীলাখেলা, আমরা করলে দোষ…..কথাটা কি এমন শোনাচ্ছে না! আপনাদের মহান নেতা বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের একটা কথা আমাদের কমিউনিটিতে খুবই জনপ্রিয়। উনি পাকিদের বলেছিলেন, তোদের ভাতে মারবো, পানিতে মারবো। সেখান থেকেই আমরা অনুপ্রেরণা নিয়েছি। আমরা আমাদের কার্যক্রম এমন এক পর্যায়ে গুটিয়ে নেবো, যখন বিশ্বের মানুষ…….বিশ্ব বাদ দেন, আমরা বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলছি। তখন বাংলাদেশের মানুষ আমাদের কারনে না, ভাতের অভাবে মরবে। লোকজনের আয় থাকবে না, খাদ্য থাকবে না; অর্থনীতি ধ্বসে যাবে, আর দেশে দুর্ভিক্ষ লেগে যাবে। আমাদের অসমাপ্ত কাজ তখন প্রকৃতি শুরু করবে…..অবশ্যই আপনাদের নেতাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়। চাল চুরি এর একটা নমুনা মাত্র। শিয়াল আর শকুনের আনাগোনা যাবে বেড়ে! দ্যাখেন না সামনে আর কি কি হয়……….। উমা আ হা হা হা করে কোঅর্ডিনেটর সাহেব একটা রক্তহীম করা রাজীবমার্কা (আমাদের ব্লগার রাজীব না, বাংলা সিনেমার ভিলেইন রাজীব) অট্টহাসি দিল।

মধুরিমাঃ একটা ঢোক গিলে…….আপনার কথা শুনে আমার ভয় করছে!!

বা. কোঃ আপনার ভয় করছে? কি বলেন এসব!! যার চুলের বেণীতে ঝুলে ব্যর্থ প্রেমিকেরা গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করে তার ভয় করছে? হাসালেন ম্যাডাম! ভয়ের কিছু নাই। বাস্তবতার সম্মুখীন হওয়ার প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেন, ভয় কেটে যাবে। এই দেশ আমাকে অনেক দিয়েছে। আমাদের কমিউনিটিতে আমার ইজ্জত এখন তুঙ্গে। আমি অকৃতজ্ঞ না। আমিও আপনাদেরকে ভবিষ্যতের কথা জানিয়ে গেলাম। আপনাদের ভবিষ্যত আপনাদের হাতে। আমাদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন হলেও দুর্ভিক্ষ থেকে রক্ষা পাওয়া ততোটা কঠিন না…..এখনও আপনাদের হাতে যথেষ্ট সময় আছে। আর যদি আগেরবারের মতো কালক্ষেপণ করেন, তাহলে আপনাদের সর্বনাশ কেউ ঠেকাতে পারবে না। জানেন নিশ্চয়ই, ডাব্লিউএইচও সারা বিশ্বে স্বাস্থ্য জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে জানুয়ারীর ৩১ এ, আর আপনাদের সরকার এপ্রিলের ১৬ তারিখ! উনারা ঘুমান নাকি? আপনাদের প্রশাসনের কাছে এ'জন্যেই তো আমরা কৃতজ্ঞ!!

মধুরিমাঃ আচ্ছা, আপনি বারবার সরকার আর জনগনের সহযোগিতার কথা বলছেন; বিশেষ করে সরকারী সহযোগিতার কথা। ব্যাপারটা একটু খুলে বলবেন কি?

বা. কোঃ দারুন প্রশ্ন করেছেন। দেখুন, জনগনতো অবশ্যই সহযোগিতা করছে, তবে তারা আমাদের প্যাসিভ সহযোগী, অনেকটা সিস্টেমের যাতাকলে পড়েই তাদের এই সহযোগিতা। এক্টিভ সহযোগী হলো সরকার। আমাদের পরিকল্পনার কৌশলগত কারনে বিস্তারিত আপনাকে বলতে পারছি না, প্রোগ্রাম ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। শুধু এটুকু বলি, সমগ্র দেশে সরকার যে বিশৃংখলা, সমন্বয়হীনতা, সঠিক তথ্যের অবাধ প্রবাহ ইত্যাদি বন্ধ করে রেখেছে, তাতে জনগন বিভ্রান্ত হয়েই আমাদের সহযোগী বনে গিয়েছে। তাছাড়া সরকার কিছু কিছু অপ্রয়োজনীয় বা কম প্রয়োজনীয় ব্যাপার খুব শক্ত হাতে দমন করে; কিছু লোক-দেখানো কাজ করে। কিন্তু যেগুলো করলে দেশ ও জাতি সত্যিকারভাবে উপকৃত হবে, সেখানে অনেক কম্প্রোমাইজ করে। যেমন ধরুন, ধর্মীয় গন-জমায়েত। এখানে সরকার তাদের প্রশাসনিক দৃঢ়তা দেখাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আপনাদের মেয়রের 'হাতধোয়া কর্মসূচী'ও আমাদের কমিউনিটিতে ব্যাপক হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে। ব্যাপারটা আমাদের কাছে অনেকটা 'শাক দিয়ে মাছ ঢাকা'র মতো!

মধুরিমাঃ আচ্ছা, আপনাদের দূর্বলতা কি?

বা. কোঃ আমি বিশ্ব করোনা ভাইরাস ভাতৃসংঘের বাংলাদেশ কোঅর্ডিনেটর। আপনার কি আমাকে লিলিপুটিয়ান মনে হয় নাকি প্রশ্নফাস জেনারেশানের সদস্য মনে হয়! আপনাকে খোলা ময়দানে এটা বলে দেই…….আর বিশ্বব্যাপী আমাদের কর্মসূচীর বারোটা বাজুক! আমরা করোনা ভাইরাস, কঠিন চীজ। আমাদের কোন দূর্বলতা নাই। উমা আ হা হা হা…...আবারও অট্টহাসি!

মধুরিমাঃ আমাদের সময় প্রায় শেষ। দেশের জনগন বা সরকারের প্রতি আপনি কোন বাণী দিতে চান?

বা. কোঃ সরকারের প্রতি বলার কিছু নাই। উনারা যেভাবে কাজ করছেন, আমরা চাই উনারা সেভাবেই কাজ করে যান। আমরা উনাদের সাথে আছি। আর ব্যাক্কল জনগনকে বলবো, এসব হাত ধোয়া, মাস্ক পড়ে ডাকাতের মতো ঘুরে বেড়ানো, হুদাই কাজ-কাম বাদ দিয়ে ঘরে বসে থাকা…...এসব বাদ দিন। কোন লাভ নাই। এসব করে আমাদের ঠেকানো যাবে না। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত। এই পৃথিবীতে এমন কোন শক্তি নাই, যা আমাদেরকে ঠেকিয়ে রাখতে পারে। আপনাদের বিশ্ব-মোড়ল আমেরিকাকে দেখুন, কি অবস্থা সেখানে? ওরাই পারে না, সেখানে আপনারা…..ফুহ্!! আর হ্যা, আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথা শুনুন। আপনাদের উপকার হবে। বিদায়!!

দর্শক স্রোতা, আজকে এ'পর্যন্তই। এই আলাপচারিতা থেকে আপনারা কে কি শিখলেন জানি না। তবে, আপনাদের আক্কেলকে কাজে লাগান। কোনটা সঠিক, কোনটা বেঠিক বুঝতে শিখুন। সময় শেষ, চাইলেও আর কিছু বলতে পারছি না। আমি মধুরিমা, ''আসেন বসেন, বইসা যান'' টেলিভিশনের পক্ষ থেকে আপনাদেরকে বিদায় জানাচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন। আর অবশ্যই অবশ্যই সুস্থ্য থাকুন।

কিছু কথাঃ কয়েকদিন আগে সুপ্রিয় ব্লগার ইসিয়াক একটা কবিতা পোষ্ট করেছিলেন। পোষ্টের কবিতা না, ছবিটা আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কবিতার নায়িকা মধুরিমা'র চুলের বেনীতে ফাস লাগিয়ে আত্মহত্যা করা এক আদম সন্তানকে চিচিংগার মতো ঝুলে থাকতে দেখে আমার মনে হলো, করোনা নিয়ে আমাদের সরকারের কার্যক্রমের সাথে এই আত্মাহুতির কোথায় যেন একটা মিল আছে। সেখান থেকেই এই লেখাটার উদ্ভব। সাক্ষাৎকারের সন্চালকের নাম 'মধুরিমা' সেই কবিতা থেকেই নেয়া। সঙ্গত কারনেই আমার এই লেখাটা ব্লগার ইসিয়াককে উৎসর্গ করছি।

ছবিটা গুগলের সৌজন্যে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:০৭
২১টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×