আমার এই লেখাটার পটভূমিটা বলি আগে।
যারা আমার লেখার সাথে মোটামুটি পরিচিত, তারা বলতে গেলে অনেকেই আমার দোস্ত কাম কলীগ ক্রিসকে চিনেন। আমার মতোই ওর-ও নিত্য নতুন কুইজিন কিংবা খাবার-দাবারের স্বাদ নেয়ার ব্যাপারে দূর্বলতা আছে। ওর অনেকদিনের ইচ্ছা, আমরা ইফতার কিভাবে এবং কি দিয়ে করি সেটা জানা। আসলে এই জানার ইচ্ছার পিছনে মূল উদ্দেশ্য হলো মুফতে ভুড়িভোজন। সোজাসুজি বলতে একটু লজ্জা হয়তো পায়, সেজন্যে ঘুরিয়ে-প্যাচিয়ে বলে। তবে আমি শর্ত দিয়ে রেখেছিলাম, ইফতার করতে হলে রোযা রাখতে হবে। কিন্তু যখনই শোনে পানি কিংবা সিগারেটও ছোয়া যাবে না, তখন পিছিয়ে যায়। বলতে গেলে গত রমযান থেকেই সে এই আগু-পিছুর খেলা খেলছে। বিভিন্নভাবে আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে, ওর জন্য কোন ছাড়ের ব্যবস্থা করা যায় কি না! যাই হোক, শেষ পর্যন্ত ও বুঝতে পেরেছে যে, আমার সাথে দেন-দরবার করে কোন লাভ নাই; ইফতার করতে হলে রোযা রাখতেই হবে। ''আমার মন পাথরের মতো'' ইত্যোকার বিভিন্ন আপত্তিকর ডায়লগ উপহার দিয়ে অবশেষে বিগত রমযানের অষ্টম রোযাতে সে অসাধ্য সাধন করে আমার সাথে ইফতার করেছে।
ইফতারের টেবিলেই এই কথা সেই কথাতে আন্তর্জাতিক রাজনীতি তথা আমেরিকা-রাশিয়ার প্রসঙ্গ আসলো। এরই এক পর্যায়ে সে আমাকে জানায়, ওর অনেকদিনের শখ……...হেটে আমেরিকা থেকে রাশিয়া যাবে।
আমি ওকে আরেক গ্লাস রুহ আফজা শরবত এগিয়ে দিতে দিতে বললাম, কি ছাগলের মতোন আবোল-তাবোল কথা কস তুই? একটা রোযা রাইখ্যাই দেখি তোর স্যুগার লেভেল নাইমা হাটুর নীচে গ্যাছে গা! নে, এইটা এক চুমুকে খায়া ফালা। মাথা ঠিক হইবো।
ও সিরিয়াস হয়ে বললো, আবোল-তাবোল না মফিজ। তুমি জানো না যে এই দুইটা প্রতিবেশী দেশ? দেশ দুইটার মধ্যে বিশেষ সময়ে হাটা পথ তৈরী হয়? তারপরে আমাকে ফাদে ফেলার আনন্দে বললো, নিজেরে তো তুমি সবজান্তা শমসের মনে করো, আর এইটা জানোনা যে, এই দেশ দুইটা নেক্সট ডোর নেইবার!!!
মনে মনে বললাম, হালায় গেছে…….এরে আর রোযা রাখার কথা বলা যাবে না, এমনেই আরেকদিন ইফতার খাওয়ায়ে দিবো।
যাই হোক, বিদায় নেয়ার সময়ে আবারও বললো, তুমি সত্যিই জানো না! ঠিকাছে, আমি যাওয়ার পরে নেট ঘাটাঘাটি করো। আর এইবার করোনায় ভালোমতোই জানান দিছে যে, যে কোনও সময়ে আমি ফুট্টুস হয়া যাইতে পারি। তাই ভাবতাছি ফ্লাইট চালু হইলে এই বছরেই একটা এটেম্প্ট নিমু, কোন শখ ফালায়া রাখা ঠিক না। তুমি তৈরী থাইকো কিন্তু; একলগেই যামুনে।
বিষয়টা সম্পর্কে আসলেই কোন ধারনা ছিল না আমার। মনে মনে ভাবলাম, প্রতিবেশী দেশই যদি হয়, তো এতো এতো পয়সা খরচাপাতি করে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপনাস্ত্র বানানোর দরকার কি ব্যাটাদের! বর্ডার ক্রস করে ইন্ডিয়া-চীনের মতো ঝাপায়া পড়লেই তো পারে একটা আরেকটার উপরে! পরবর্তীতে সময় কইরা খোজ…..'দ্য সার্চ' লাগাইলাম। যতটুকু ফ্যাক্ট উদ্ধার করতে পারলাম তাতে আমার মনে এই ভাবনার উদয় হইলো……. আপনেরা যারা জানেন, তারা তো জানেনই; তবে যারা আমার মতো এই বিষয়ে বকলম, তাদের জন্য একটা পোষ্ট দিয়াই ফালাই, যা থাকে কপালে!!!
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
দেশটার গালভরা নাম হলো ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা যেটা সংক্ষেপে ইউএসএ, এটাই বাংলায় বহুল প্রচলিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র……...সবার জন্য আমেরিকা, আবার কারো কারো কাছে আম্রিকা; ৫০টা স্টেটের সমন্বয়ে একটা দেশ। কোন রকমের বিতর্ক ছাড়াই আমেরিকা তাদের ভু-সীমানা শেয়ার করে দু'টা দেশের সাথে; একটা কানাডা, আরেকটা মেক্সিকো।
এবার চলেন একটু ইতিহাস কচলা কচলি করি।
১৮৫৩ সালের অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারী ১৮৫৬ পর্যন্ত একটা যুদ্ধ হয়, যা ইতিহাসে ''ক্রিমিয়ার যুদ্ধ'' নামে পরিচিত। এটার একপক্ষে ছিল রাশিয়া আর অপরপক্ষে ছিল অটোম্যান সাম্রাজ্য, ফ্রান্স, বৃটেন আর সার্ডিনিয়া। যুদ্ধে রাশিয়া শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। আলাস্কা সপ্তদশ শতাব্দী থেকেই ছিল রাশিয়ার ভুখন্ড। ক্রিমিয়ার যুদ্ধে হারের পরে রাশিয়ার জার 'ক্যালিফোর্নিয়া গোল্ড রাশ' এর কথা মাথায় রেখে চিন্তা করলেন যে, ভবিষ্যতে এ'ধরনের কারনে কোন যুদ্ধ যদি আবার লেগেই যায়, তাহলে বৃটিশ বা অন্যদের থেকে আলাস্কাকে রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে দাড়াবে। ফলে সময় থাকতে থাকতেই এই ভুখন্ড বেচে দেয়া উচিত। তাছাড়া যুদ্ধে হারের পরে তার অর্থকষ্টও বেড়ে যায়। একজন সম্রাটের জন্য অর্থকষ্ট, গরীবের শ্বাসকষ্টের মতোই যন্ত্রণাকর একটা ব্যাপার! এই অবস্থায় তৎকালীন রুশ জার অর্থাৎ সম্রাট দ্বিতীয় আলেক্সান্ডার আলাস্কা বেচে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে রাশিয়া বৃটেনকে এটা কেনার জন্য প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু বৃটিশরা ভাবলো, এটা ভবিষ্যতে গোদের উপর বিষফোড়া হয়ে দাড়াতে পারে। ফলে রাশিয়া আমেরিকাকে একই প্রস্তাব দেয়। আমেরিকানরা দোনোমোনো করতে করতেই গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, ফলে পুরো ব্যাপারটাই ঝুলে যায়। আমেরিকার গৃহযুদ্ধের সমাপ্তির পরে তাদের সেক্রেটারী অফ স্টেট উইলিয়াম সিউয়ার্ড এবং রুশ মন্ত্রী এডোয়ার্ড আদ্রেভিচ স্টকল একটা সমঝোতায় পৌছান। এরই ধারাবাহিকতায় ১৮৬৭ সালের ৩০শে মার্চ আলাস্কা হস্তান্তরের চুক্তি হয় ৭.২ মিলিয়ন ডলারে, ২০১৮ সালের হিসাবে যার মুল্যমান দাড়ায় আনুমানিক ১০৯ মিলিয়ন ডলার। ১৫০ বছরে এটার মুল্য বাড়ে মাত্র ১৫গুন! খুব কি ভালো ডিল বলা যাবে এটাকে? আমাদের দেশের বসুন্ধরা, ইষ্টার্ন হাউজিং বা রুপায়ন; শুধুমাত্র এরাই এ'ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ মতামত দিতে পারবে। আমেরিকার পুণর্গঠনের সময়ে এই ক্রয় নিয়ে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এন্ড্রু জনসনের সাথে কংগ্রেসের তুমুল কাইজ্জা-ফ্যাসাদ হয়। পরে অবশ্য সিনেট কর্তৃক বিশাল ব্যাবধানে এই ক্রয় অনুমোদিত হয়।
চুক্তিসই অনুষ্ঠান
রুশ সম্রাট কর্তৃক আলাস্কা ক্রয়-বিক্রয় চুক্তির অনুমোদন
আমেরিকার ইস্যুকরা আলাস্কা ক্রয়ের চেক
বাংলাদেশের আয়তনের দশগুনেরও বেশী বড় ৫,৮৬,৪১২ বর্গ মাইলের এই ভু-খন্ডটুকু আমেরিকা কেন কিনলো? বেশীরভাগ আমেরিকান মনে করেছিল এটার ফলে এশিয়ার সাথে ব্যবসা-বানিজ্য করা সহজতর হয়ে উঠবে; ফলে, তখন এটাকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসাবেই দেখা হয়েছিল। বিরুদ্ধ মতের লোকেরা অবশ্য উপহাস করে এই ডিলটার নামকরন করেছিল ''সিউয়ার্ড'স ফলি'' (সিউয়ার্ডের বেকুবী) অথবা ''সিউয়ার্ড'স আইসবক্স'' (সিউয়ার্ডের বরফের বাক্স)।
যাই হোক, হস্তান্তরের পরে সেটলার রুশরা মোটামুটি সবাই নিজ দেশে ফিরে যায়। এলাকাটা ১৮৯৬ সালের বিখ্যাত ক্লনডাইক গোল্ডরাশের (আলাস্কান গোল্ডরাশ নামেও পরিচিত) আগে পর্যন্ত মোটামুটি জনবিরলই ছিল। পরবর্তীতে তালিকায় আরো যুক্ত হয় নম গোল্ডরাশ (১৮৯৯-১৯০৯) আর ফেয়ারব্যাঙ্ক গোল্ডরাশ (উনিশ শতকের শুরুর দিকে)। এগুলোই এই অন্চলে প্রান-চান্চল্য নতুন করে ফিরিয়ে আনে। সেটা আকর্ষণীয় হলেও অন্য কাহানী……..আমার এই পোষ্টের সাথে মোটেই সম্পর্কিত না, তাই সেদিকে আর নাই বা গেলাম।
এভাবেই ১৮৬৭ সালে আলাস্কা হয়ে যায় ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা'র ৪৯তম স্টেট। তবে একটা কারনে আলাস্কা অন্যান্য স্টেট থেকে ইউনিক। মূল ভু-খন্ডের কোন আমেরিকানকে যদি ভুমি ব্যবহার করে আলাস্কা যেতে হয়, তবে তাকে যেতে হবে কানাডার উপর দিয়ে। এর মানে হলো, এই স্টেটটা আমেরিকার মূল ভু-খন্ডের সাথে সরাসরি যুক্ত না।
আলাস্কার লোকেশান ম্যাপ
এখন আসি আমেরিকা (আলাস্কা) থেকে রাশিয়া হেটে যাওয়ার বিষয়ে।
রাশিয়ার মূল ভুখন্ড আর আলাস্কা বেরিং প্রণালী দিয়ে আলাদা করা, যা কিনা উত্তর মহাসাগর (আর্কটিক ওশ্যান) আর বেরিং সাগরকে যুক্ত করেছে। এই দুই ভু-খন্ডের সবচাইতে কম দুরত্ব হলো ৫৫ মাইল। এই ৫৫ মাইল দুরত্বের মোটামুটি মাঝামাঝি স্থানে দু'টা দ্বীপ আছে। বড় ডায়ামিড (রাশিয়া), ছোট ডায়ামিড (আমেরিকা)। এই দুই দ্বীপের পারস্পরিক দুরত্ব ২.৫ মাইল। শীতকালে বেরিং প্রণালীর পানি শক্ত বরফে পরিনত হয়, ফলে এর উপর দিয়ে হেটে অনায়াসে এবং আক্ষরিক অর্থেই আপনি আমেরিকা থেকে রাশিয়া যেতে পারেন। কেউ কি গিয়েছে? উত্তর হলো, হ্যা।
বেরিং প্রণালী এবং বড়/ছোট ডায়ামিডের অবস্থান
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন
আলাস্কা থেকে রাশিয়ার মূল ভু-খন্ডে যাওয়া, কিংবা দুই ডায়ামিডের মধ্যে হাটাহাটি করা একটা এ্যডভেন্চার। আর যেখানে এ্যডভেন্চারের গন্ধ, সেখানেই কতিপয় মানুষ তৈরী থাকে চ্যালেন্জ নেয়ার জন্য। কয়েকটা ঘটনা বলি।
ঘটনা ১ঃ ১৯৮০ সাল থেকে অবৈধভাবে আমেরিকায় থাকা ২৭ বছরের মেক্সিকান লাজারো রুইজ ক্যাস্ট্রো ১৯৮৭ সালের ১৫ই জানুয়ারী সোভিয়েত কালচার দেখার জন্য শখ করে ছোট ডায়ামিড (আমেরিকা) থেকে হেটে বড় ডায়ামিড (রাশিয়া) যায়। তবে তার রাশান কালচার দেখার তেমন একটা সৌভাগ্য হয় নাই। সীমান্ত রক্ষীরা তাকে ১৮ দিন আটকে রেখে সোভিয়েত জেলের কালচার দেখিয়ে আমেরিকায় ফেরত পাঠায়।
ঘটনা ২ঃ ১৯৮৭ সালের ৭ই অগাষ্ট লিন কক্স নামে ৩০ বছর বয়সী এক দুঃসাহসী আমেরিকান মেয়ে প্রথমবারের মতো বরফ শীতল বেরীং প্রণালী মাত্র দুই ঘন্টায় সাতরে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে যায়……...এটা ভেবেই আমার শরীর জমে বরফ!!! এর আগেও মাত্র ১৫ বছর বয়সে এই মেয়ে সাতারুদের জন্য বিশ্বের অন্যতম কুখ্যাত স্থান, ইংলিশ চ্যানেল ৯ ঘন্টা ৫৭ মিনিটে পার হয়। সেটা সে'সময়ে পুরুষ-মহিলা সবার জন্যই বিশ্ব রেকর্ড ছিল।
ঘটনা ৩ঃ ২০০৬ এর মার্চ মাসে বৃটিশ সেনাবাহিনীর এক্স-প্যারাট্রুপার কার্ল বুশবি আর ফ্রেন্চ অভিযাত্রী দিমিত্রি কিফার পায়ে হেটে ১৪ দিনে হিমশীতল ১৫০ মাইল পথ (যাওয়া-আসা মিলিয়ে) অতিক্রম করে বেরিং প্রণালী পাড়ি দিয়েছিল।
তবে কথা হলো, রাশিয়া-আমেরিকা প্রতিবেশী কিনা এটা নিয়ে খোদ আমেরিকানরাই দ্বিধা-বিভক্ত। এ'ব্যাপারে বিভিন্ন মন্তব্য পড়তে পড়তে আমার মনে পড়ে গেল, বহু ব্রিটিশই মনে করে বৃটেন যেহেতু একটা দ্বীপরাষ্ট্র, এটা ইওরোপের অন্তর্ভুক্ত না। আবার ইওরোপের অনেকেও বৃটিশ দ্বীপপুন্জসহ আরো কিছু দ্বীপকে ইওরোপের অংশ বলে মনে করে না।। এটা নিয়ে বিতর্ক বিতর্কের জায়গায় থাকুক। আমার লজিক বলে, গ্রেইট ব্রিটেন যেমন ইওরোপের অংশ, তেমনি রাশিয়াও মহান আমেরিকার প্রতিবেশী দেশ। একটা সহজ বিষয়কে জটিল করার মানে কি? হুদাই ক্যাচাল। পৃথিবীতে কিছু মানুষই থাকে ক্যাচাইল্যা। এদেরকে যদি আপনি বলেন……..ভাইজান, আপনি কিন্তু মানুষ হিসাবে চমৎকার! তাহলেও এরা ক্যাচাল বাধাবে। বলবে, এই কথা বলার পিছনে নিশ্চয়ই আপনার কোন গোপন এজেন্ডা আছে। বলেন, ঠিক না বেঠিক!!!
অনেক কসরৎ করার পর এক সময়ে লেখাটা শেষ করে ক্রিসকে ফোন দিলাম। বললাম, তোর জন্য দুইটা খবর আছে। একটা ভালো, আরেকটা খারাপ। কোনটা আগে শুনবি?
ও বললো, খারাপটাই আগে কও, শুনি!
আমি বললাম, ওই হাড্ডি-কাপানো ঠান্ডার মধ্যে পাহাড়-পর্বত ডিঙ্গায়া আমি তোর লগে বরফের উপর দিয়া তিন মাইল হাইট্টা রাশিয়া যাইতে রাজি না, আমারে মাইরা ফালাইলেও না। আর ভালো খবর হইলো, লেখাটা তোর নামে উৎসর্গ করতাছি।
এটা শুনেই সে মহা উত্তেজিত! আমাকে পই পই করে বলেছে, লেখাটার একটা প্রিন্টআউট তুমি কালকে অবশ্য অবশ্যই নিয়া আসবা। পড়তে তো পারুম না, তয় বান্ধাইয়া আমার ডেস্কের সামনে রাইখ্যা দিমু। প্রমান থাকবো যে, তুমি বিষয়টা জানতা না, আমার সৌজন্যে জানছো! এইটা দেইখাও মনের শান্তি!!!
শিরোনামের ছবিটা আমেরিকার ছোট ডায়ামিড দ্বীপের, এটাসহ বাদবাকী ছবি, তথ্য সবকিছু গুগলের সৌজন্যে প্রাপ্ত।।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৮