কিছুক্ষণ আগে যমুনা টিভিতে সেনাপ্রধানের বক্তব্য দেখছিলাম। এক পর্যায়ে উনি খুব সিরিয়াসলি বলেছেন, গুজব না ছড়াতে এবং গুজব ছড়ানোর মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত না হতে। এটা দেশকে বর্তমান সংকটকালীন অবস্থা থেকে উত্তোরণে সাহায্য তো করবেই না, বরং সংকটকে আরো দীর্ঘায়িত করবে।
আমি এই আন্দোলনের শুরু থেকেই লক্ষ্য করছি, সামুতে প্রচুর গুজব ছড়ানো হয়েছে। আগের কথা যদি বাদও দেই, বর্তমানে আমরা সংকট থেকে উত্তোরণের একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। এই সময়ে কোন ধরনের গুজবই সেই উত্তোরণকে কোন সাহায্য করবে না। দেশটা আমাদের সবার। কাজেই সংকট উত্তোরণে সবার অবদান রাখা উচিত। আমি নির্দিষ্ট করে কোন গুজবের উদাহরন দিলে ব্লগারের নিকও সামনে চলে আসবে, তাই দিচ্ছি না। তবে কয়েকটা নিক থেকে প্রতিনিয়ত কোন অথেনটিক সোর্স ছাড়াই বিভিন্ন আপত্তিকর কথা বলা হচ্ছে।
কেউ কোন তথ্য দিলে দয়া করে অথেনটিক সোর্সের লিঙ্ক দিবেন। মনগড়া তথ্য না দিতে উৎসাহিত করার জন্য প্যানেলকে অনুরোধ করছি।
আমাদের এই সামুতে ব্লগার ছাড়াও হাজারের উপর ভিজিটর থাকেন। এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে একটা গুজব এক কান থেকে মুহুর্তের মধ্যে হাজারো কানে সঞ্চারিত হয়। ফলে ছোট হোক কিংবা বড়, একটা ইমপ্যাক্ট সমাজে অবশ্যই পড়ে। একটা সামাজিক প্ল্যাটফর্ম হিসাবে সামু'র সমাজে দায়বদ্ধতা আছে। সেটাকে এড়িয়ে যাওয়ার কোন উপায় নাই।
আমিও আমার সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই মডারেশান প্যানেলকে এই অনুরোধ জানাচ্ছি। আশাকরি, কেউ অন্যভাবে নিবেন না। সবাইকে ধন্যবাদ।
বি.দ্রঃ এই পোষ্টটাকে ''সাময়িক'' আখ্যা দিয়েছিলাম মুছে ফেলার জন্য। কিন্তু দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে যেসব ব্লগারগন দেশের ব্যাপারে সত্যিকারের সচেতন, তাদের অনেকেই এই পোষ্টে মুল্যবান মতামত দিয়েছেন। কিছু ছাগলের অতি-ছাগলীয় কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করেছেন। তাদের এই প্রতিবাদকে সন্মান জানিয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম, পোষ্টটা রেখে দিবো। ব্লগারগন দেখুক, যদিও অল্পকিছু চাটুকারের কারনে দেশে স্বৈরাচারের জন্ম হয়; কিন্তু নৈতিকতাবোধসম্পন্ন মানুষের সংখ্যা বেশী বলেই দেশ থেকে স্বৈরাচারের লজ্জাজনক বিতারিতও সম্ভব হয়। তাই ''সাময়িক'' শব্দটা তুলে দিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪