আমস্টারডাম থেকে হিলভারসাম প্রায় ৫০ কিলোমিটারের পথ যেখানে আমি হোটেল ভাড়া নিয়ে ছিলাম। যে কয়েকদিন ছিলাম হোটেলেই ছিলাম। যদিও কোন বাংলাদেশী লোক কে চিনতাম না কিন্তু চেষ্টা ছিল সেখানে কাউকে পেলে স্থানীয় কোন বাসায় একটি সিট ভাড়া নিতাম। তাতে অনেক কম খরচে বেশি দিন থাকা যেত। তাই সেই আশাই প্রায় প্রতিদিন হিল্ভারসাম থেকে রাজধানী আমস্টারডাম এ আসতাম। আমস্টারডাম এ বিভিন্ন স্থান ঘুরে বেড়াতাম আর শুধু বাংলাদেশী মানুষ খুজতাম। তাই যে লোক গুলো কে দেখে এশিয়ান মনে হত চেষ্টা করতাম তাঁদের সাথে কথা বলতে। সেই রকম দেখতে এক জনকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি এশিয়ান কিনা! সে অবাক কাণ্ড! সে আমাকে উত্তর দিল নেহি নেহি।এই বলে সে তার পথ ধরল। তাকে কিন্তু আমি ইংলিশ এ জিজ্ঞেস করেছিলাম। সে যাইহোক পরে অবশ্য বেশ কয়েক জন বাংলাদেশী ভাই খুঁজে পেয়েছিলাম এমনকি দু জন বাংলাদেশ থেকে বেড়াতে গিয়েছিলেন সেখানে, দেশের অনেক বড় অফিসের কর্তা ব্যক্তি, তাঁদের সাথে ও দেখা হয়েছিল। খুব ভাল লেগেছে যখন বাংলাদেশী মানুষ খুঁজে পেয়েছিলাম। তবে আমার বিমানে উঠার দিন ঘনিয়ে আসায় আর বাসা ভাড়া করতে হয়নি। আসলে ইউরোপ এর প্রায় প্রতিটি দেশই পর্যটকদের জন্য খুব আকর্ষণীয় কারণ সুন্দর ও নিরাপত্তার জন্য। আমাদের দেশ কত সুন্দর কিন্ত পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকাই পর্যাটকদের আকর্ষণ করে না কারণ জীবন আগে। একদিন আমস্টারডাম এর প্রাণ কেন্দ্র মাদাম তুস জাদুঘরের সামনে দেখলাম কবুতর আর আগত মানুষের খেলা। খুব মনোরম দৃশ্য! তার জন্যে এখানে কত মানুষই যে আসে তা অনুমেয়। অথচ তাঁরা যদি দেখত আমাদের এই সুন্দর বাংলাদেশ যেখানে মানুষের ডাকে জল থেকে কুমির উঠে আসে, ছোট একটি পুকুরে এত বড় কচ্ছপ আছে যা গভীর সুমুদ্রে পাওয়া দুষ্কর! যেখানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সুমদ্র সৈকত ! আরও কত কি। তাহলে তাঁরা তাঁদের প্রতি বছরের অবকাশ যাপন এই সোনার বাংলাদেশেই করত। অবশ্য তাঁরা যে একেবারে জানে না তা কিন্তু নয়। নিরাপত্তা যে সবার আগে! বন্ধুরা এবার চলুন দেখি কিছু ছবি ও তথ্য চিত্র।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ সংযুক্ত ভিডিও টা কারিগরি ত্রুটির কারণে মনে হয় দেখা যাচ্ছে না। Amsterdam 2014: In front of Madame Tussaud কপি করে ইউটিউব এ দিয়ে দেখতে পারবেন আশাকরি। ধন্যবাদ।
আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন