ছবি সংগ্রহ;
শেখ মুজিবুর রহমান তাকে আদর করে বলতেন বঙ্গবীর। বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে তিনি হলেন একমাত্র বীরোত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। হ্যাঁ, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকির কথা বলছি। এখন তথাকথিত আওয়ামী অনেক নেতা যখন শেখ মুজিবর রহমানের ধারের কাছেও অনেকে পৌঁছাতে পারত না কিন্তু শেখ মুজিবর রহমান নিজে যাকে আদর করে বুকে টেনে নিতেন তিনি হলেন আমাদের বাঘা সিদ্দিকি। প্রথম সারির খেতাব প্রাপ্ত ব্যাক্তিদের শেখ মুজিবর রহমান নিজে সম্মানিত করেছেন অথচ এখন কিছু নেড়ি কুকুর সেই সব সম্মানিত ব্যাক্তিদের যুদ্ধ অপরাধী, রাজাকার ইত্যাদি বলে অস্মমানিত করতে চাচ্ছে। কিন্তু ওরা কিভাবে ভুলে যাই যে শেখ মুজিবর রহমান যেখানে জাতীয় বীর উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছেন সেখানে সেই সম্মানিত ব্যাক্তিদের অসম্মান করা কি শেখ মুজিবর রহমানকে অসম্মানিত করা নয়? বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি আওয়ামীলীগ থেকে সরে গিয়ে যখন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ করলেন তখনই তিনি হয়ে গেলেন রাজাকার। অনেকে বলে বেশি লম্বা মানুষের নাকি বুদ্ধি কম! শুধু নামেই বাঘা নয়, চলনে বলনে দৈহিক গড়নে পুরদস্তুর বাঘা। আওয়ামীলীগ তাঁকে বহিস্কার করবে কি তিনিই আওয়ামীলীগকে বহিস্কার করে নিজে একটি দল গঠন করেছেন। সেখানেই আওয়ামীলীগ অপমানিত বোধ করে তাঁর বিরুদ্ধে উঠে পরে লেগেছে।
এই রকম একজন বীরউত্তম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে যখন দলের শীর্ষ পর্যায়ে থেকে রাজাকার বলে অপমানিত করা হয় তখন প্রকৃত রাজাকাররা তো তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলবেই। অবশ্য বাঘা সিদ্দিকি যথার্থই বলেছেন যে, আমি যদি রাজাকার হয় তাহলে আমার নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান রাজাকার কমান্ডার কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাঁর কমান্ডার।
যে সময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকিকে এই মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হল এবং আওয়ামীলীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে কোন প্রতিবাদ না করে আরও উৎসাহ দেওয়া হল সেই সময় আমি একটি পত্রিকায় কলাম লিখেছিলাম এবং আলোকপাত করে লিখেছিলাম যে সর্বজন স্বীকৃত বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যেভাবে রাজাকার বলে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে খুব সহসায় শেখ মুজিবকেও রাজাকারের খাতায় অন্তর্ভুক্ত করবে কেউ কেউ। যেমনটা ভাবা হয়েছেও তাই বাম ডান প্রায় অনেক নেতা এই বিষয়ে তথ্য দিয়ে লেখার বা বলার চেষ্টা করেছেন যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রাজাকার ছিলেন! বলবেই তো বলার পরিবেশ তৈরি করলে তো বলবেই।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৩০