কিছু কিছু মানুষ আছে যারা আমার লেখার সাথে দ্বিমত পোষণ করে মন্তব্য করে। আমি তাদের সাধুবাদ জানাই। কারণ যথার্থ সমালোচনা করলে সঠিক ভাবে কাজ করা যায়। কিন্তু যারা অহেতুক ব্যাক্তিগত বা প্রসংগের বাইরে গিয়ে এমন কি আপত্তিকর মন্তব্য করে আমি তাদের এড়িয়েই চলতে চাই। কারণ এদের অনর্থক সমালোচনা কোন কাজেই আসবে না। কলামিস্ট আব্দুল গাফফার এবং প্রায়াত কবি ও সাব্যসাচী লেখক সৈয়দ সামসুল হক তাঁরা তাঁদের নিজ নিজ অবস্থানে সফল কিন্তু তাঁরাও আক্ষেপ করে বলেছিলেন যদি তাঁরা ভাল সমালোচক পেতেন তাহলে তাঁরা সফল হতে পারতেন। তাই আমি সব ভাল সমালোচকদের সমালোচনা গুরুত্বের সাথে নিই।
যাহোক এবার আসি মূল কথায়।
আওয়ামী রাজাকার নামা এই তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের উপ প্রধান সেনাপতি এ কে খন্দকার।
‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ বইটি প্রকাশের এক সপ্তাহ আগেও তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশবাশীর কাছে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ শিরোনামে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বই প্রকাশের পরই তিনি আওয়ামীলীগের কাছে পাকিস্তানের চর হয়ে গেছেন। সংসদেও তাকে গালাগালি করতে সবাই সরব। কেউ বলছেন, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর কাছ থেকে পরিকল্পনা নিয়ে এসে তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঢুকে পড়েছিলেন চর হিসেবে। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী খুব অল্প সংখ্যক মানুষের মধ্যে তিনি একজন ছিলেন। ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ প্রকাশের পর এই বীর যোদ্ধাকে কেউ বলছেন খন্দকার মুশতাকের দোসর। কেউ তার বই বাজেয়াপ্ত করতে বলছেন। বলছেন গ্রেফতার করতে। রাজাকার বলতেও কেউ দ্বিধা করছেন না।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ যারা শুধু রেফারেন্স হিসেবে লিঙ্ক চাই তাদের উদ্দেশ্য বলব তোমাদের বিবেকের চোখ অন্ধ, কান বধির, অনুভূতি ভোঁতা। তাইতো চোখের সামনের ঘটনা তারপরও বলবে আপনি কোথায় পেলেন লিঙ্ক দেন। বিবেকের চোখ কান খোলা রাখ, ভোঁতা অনুভূতিতে শাণ দাও সব পরিষ্কার হবে তোমাদের কাছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৯