somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

Amit biswas
কল্পনা দিয়ে সবকিছুর শুরু, কিন্তু শেষটা কয়েকভাগে বিভক্ত হয়; তা হল ধর্ম, বিজ্ঞান, বাস্তবতা আর শেষেরটা হল যেখান থেকে শুরু হয়েছিল অর্থাৎ কল্পনা।nযার শুরুটা হয় কল্পনা দিয়ে আর শেষটাও হয় কল্পনাতে তাই আমার প্রিয়। কল্পনাতে বসবাস করতে চাই। কল্পনা বিলাস করতে চায়। আ

১.২ মৃত্যুর সাথে বসবাস

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৭:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এটা দেখেছিলাম আসলে আমি স্বপ্নে কিন্তু
এর পর থেকেই মৃত্যুত সাথ্র বসবাস শুরু হয় আমার! বলে সাইকিয়াট্রিস্ট জোয়ানের দিকে তাকালাম।
জোয়ান কিছু বল্ল না। ভারী চশমার কাচের মধ্য দিকে উতসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল আমার দিকে।

আমি বলতে লাগলাম আমার মত...
এরপর থেকে আমি রাতে আমার নিজের বিভিন্ন ধরনের মৃত্যুর ভয়ানক বিভতস উপায়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম। শুধু স্বপ্নই না, সেই রকম অনুভূতি ও আমার হতে লাগল। কখনো আমি গাড়ির ধাক্কায়, কখনো পুকুরে বা সমুদ্রে ডুবে কিংবা খুন হয়ে মৃত্যুবরণ করতে লাগলাম।কিন্তু আমার মৃত্যুর যে অনুভূতি টা হত, মনে হত সেটা চরম বাস্তব! ঘুম থেকে জেগে উঠতাম আতংকে। উঠে দেখতাম আমার সারা শরীর ঘামে ভিজে গেছে। ঘুমাতেই আমি খুব অতংক বোধ করতাম! ঘুমাতে চাইতাম না। প্রচুর কফি খেতাম যাতে ঘুম না হয়। তারপরেও ঠিক ১২ টার পর আর চোখ মেলে রাখতে পারতাম না। মাঝে মাঝে একের অধিক মৃত্যুর ঘটনার স্বপ্ন দেখতাম।

এসব যে আসলে স্বপ্ন না, তা আমি বুঝতে পারলাম একটা খবরের কাগজের ঘটনা পড়ে। এক জনের লাশের ছবি দেখলাম, আর তার আশপাশের ছবি দেখে মনে পড়ল আগের দিন রাতে আমি এমন স্বপ্নই দেখেছিলাম। একজন আমাকে ছুড়িকাঘাত করে করে হত্যা করেছে। আসলে সেই আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু যন্ত্রনা আমি অনুভব করেছিলাম। সত্যিকার অর্থে আমি যারা মারা যায় তাদের কষ্টটুকু অনুভব করি। আবার আমার ব্যপারটা কাকতালীয় বলে মনে হল।

আসলে আমি কখনোই খবরের কাগজ পড়ি না। এমনকি চোখ পর্যন্ত বুলায় না। কিন্তু সেদিন আমি সকালে বাইরে থেকে সকালের নাস্তা সেরে আমার দালানের সিড়ি দিয়ে উঠার সময় খবরের কাগজের হকার আমাকে দেখে অনুরোধ করল খবরের কাগজটা আমার পাশের ফ্ল্যাটের মঈনুল সাহেবকে দিয়ে দেবার জন্য। সে নাকি সকালে তার পায়ে ব্যাথা পেয়েছে। তাই তার ৪ তলা বেয়ে উঠতে খুবে কষ্ট হবে আর সেই সমসময় বাসার দড়োয়ান ও উপস্থিত ছিল না। সে তাই দাড়োয়ানের অপেক্ষায় বাসার নিচে দাঁড়িয়ে ছিল, দেরি হচ্ছে বলে আমাকে দেখে খবরের কাগজটা দিয়ে দিতে অনুরোধ করেছিল। আমি অনিচ্ছা সত্ত্বেও তার অনুরোধ রক্কার জন্য পেপারটা নিলাম। আমি সিড়ি বেয়ে উঠার সময় তাকাব না তাকাব না করেও খবরের কাগজেএ দিকে তাকিয়ে ফেলেছিলাম। আর একদম সেই খুনের খবরের দিকেই চোখ গেল প্রথমে। দেখতেই মাথা চক্কর দিয়ে উঠল, পালপিটিশন বেড়ে গেল। আরেকটু হলে সিড়ি থেকেই পড়ে যাচ্ছিলাম।

আমি খবরের কাগজ মূলত এই জন্যই পড়ি না। ধরুন, খবরের কাগজ পড়ছি, হঠাৎ করে কোন এক খবরের হেডিং এ চোখ যায়, আর এই রকম মাথা চক্কর আর পালপিটিশন বেড়ে যায়। মনে হয়, এই ঘটনা খুব পরিচিত, আমার জীবনেই ঘটেছে। কিন্তু আসলে আমার জীবনে কোনদিনই ওরকম ঘটনা ঘটে না। সেইজন্য আমি পত্রিকা পড়া ছেড়েই দিয়েছিলাম কেননা সেই অবস্থায় আমার মরে যাবার মতই অবস্থা হয়।

কিন্তু সেদিন মঈনুল সাহেবের বাসায় পত্রিকাটা দিতে গিয়ে আগের দিনের পেপার গুলো পড়তে চাইলাম। উনি অবাক হলেও দিলেন। আমি এক সপ্তাহ আগের পর্যন্ত পত্রিকা গুলো নিয়ে এসে ঘেটে দেখলাম। যতগুলো মৃত্যু আমি দেখেছি বা অনুভব করেছি প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই সেখানে ছাপা হয়েছে। হতভম্ব হয়ে অনেকক্ষণ পর্যন্ত বসে ছিলাম আমি। এ কোন রোগ ধরল আমাকে? নিজেকেই প্রশ্ন করছিলাম। হঠাৎ করেই তারপর ঘুম চলে আসতে লাগল। ঘড়িতে দেখলাম রাত ১২ টা বেজে গেছে। সারাদিন পত্রিকা খুজতে খুজতেই সমত পার করেছিলাম। সেদিন থেকে আমার আর ঘুমাতে কোন আতংক অনুভূত হত না। কেন তা বলতে পারব না। মনে হয় অবচেতন মন এমন একটা ভয়ংকর ঘটনা মেনে নিয়ে আমার জীবনটা স্বাভাবিক রাখতে চাইল। কিন্তু আসলেই কি আমার জীবন স্বাভাবিক?
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৭:১৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছাত্রলীগের লুঙ্গির নিচে ছিল শিবির, এখন শিবিরের লুঙ্গির নিচে ঘাপটি মেরে আছে গায়ে বোমা বাঁধা সশস্ত্র জঙ্গিরা

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১৫


"তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আদেশ: চোখে যা দেখেছো, কানে যা শুনেছো, সেগুলো সঠিক নয়, সেসব ভুলে যাও।" - জর্জ অরওয়েল

অনেকদিন ধরে একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই। এতদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারো বলছি দেশে জঙ্গী নেই উহা ছিল আম্লিগ ও ভারতের তৈরী

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৮


আওয়ামী নস্টালজিয়ায় যারা অন্তরের ভিতর পুলকিত বোধ করে তাদের কাছে বাংলাদেশ মানেই হলো জঙ্গী, অকার্যকর অথবা পাকিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্র। ৩৬ জুলাই পরবর্তী মহা-গণবিস্ফােরনকে কোনাভাবেই মানতে পারেনি তারা ভয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী-লীগের ছায়া দায়িত্ব নিয়ে তারেক জিয়া এখন দেশে

লিখেছেন অপলক , ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৬



সংবাদের টাইটেল অনেক কিছু বলে দেয়। ভেতরেটা না পড়লেও চলে। বস্তুত: এতদিন ধরে ভারতের গ্রীন সিগনাল পাচ্ছিলেন না, তাই তারেক জিয়া দেশে আসার সময় বারবার পিছাচ্ছিলেন। এখন চুক্তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভোটের পর, আমরা পাকীদের বুটের নীচে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩২



পাকীরা অমানুষ, অপসংস্কৃতির ধারক ও বাহক; ওরা ২টি জাতিকে ঘৃণা করে, ভারতীয় ও বাংগালীদের; ওরা মনে করে যে, বাংগালীদের কারণেই পাকিরা হিন্দুদের কাছে পরাজিত হয়েছে ১৯৭১... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফুড ফর থট!!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৫



একটা বিশাল আলোচনাকে সংক্ষিপ্ত আকার দেয়া খুবই কঠিন, বিশেষ করে আমার জন্যে। তারপরেও বর্তমান পরিস্থিতিতে ভাবলাম কিছু কথা বলা উচিত। দেশের আভ্যন্তরীন বা আঞ্চলিক রাজনীতিতে ক্রমাগত বড় বড় ভূমিকম্প... ...বাকিটুকু পড়ুন

×