ছবি : নেট
প্রথম অংশ
স্বপ্ন যদি সত্যি হতো তোমায় খুঁজে পেতাম,
ভালোবাসা যদি নিখুঁত হত তোমায় ছুঁয়ে যেতাম।
হয়তো তোমায় বলার ছিল কে তুমি আমার,
জানি, সে বলাটা আমায় ভেঙে করবে চুরমার।
সামলে নিয়েছি আজ নিজেকে নতুন করে,
হঠাৎ আবার দেখে তোমায় সামলাবো কেমন করে?
দূর থেকে দেখব তোমায় এই অপেক্ষাই করি,
কাছে তুমি এসে দাঁড়ালে ততই ভয়ে মরি!
চেয়েছি কতটা তোমায় জানবে না কোনদিন তুমি,
আমার অব্যক্ত কথা ভুলবো না আমি।
একটু কি বেশি হয়ে গেল নাকি? যাইহোক, বেশি হলেও ক্ষতি নেই। কারণ এই কবিতার পেছনে একটা গল্প আছে ।আজ সে গল্প বলতেই চলে এলাম। তাহলে শুরু করা যাক,
ক্লাসের মধ্যমনিরা এবং ঘনিষ্ঠ বান্ধবীরা সকলে মিলে সবে মাত্র তখন নতুন কলেজে ভর্তি হয়েছি। স্কুলের পুরনো বান্ধবীদের সঙ্গে কলেজের নতুন বন্ধু-বান্ধব মন্দ লাগছিল না।পুরনো বন্ধুদের পাশাপাশি নতুন বন্ধু-বান্ধবদের সাথে তাল মিলিয়ে চলার অনুভূতিটায় যেন একটা অ্যাডভেঞ্চার কাজ করতো। কি দিন ছিল সেগুলো ! বন্ধুবান্ধব, নতুন মোবাইল ফোন এবং নতুন কলেজ পেয়ে আনন্দেই শুরুর দিকের কিছুটা সময় নষ্ট করে ফেলি। পড়ালেখার প্রতি আমার আগ্রহ এবং দুশ্চিন্তা সর্বদাই কাজ করত। যখন ভাবলাম এবার তো নড়েচড়ে বসতে হবে তখন পুরনো বান্ধবীরা মিলে প্রাইভেট কোচিং এ পড়া শুরু করলাম। সবচেয়ে অদ্ভুত ছিল ইংরেজি কোচিংটি! স্যারের নাম নিরব হলেও হয় যদি সে কভু নিরব! মুখে কথার ফুলঝুরি! মাগগো মা! কথা তো কয়না যেন বজ্রপাতের বিজলি! কথা কান দিয়ে মাথায় যাবার পথে যেন মাথায় আগুন জ্বলে উঠত। যদিও স্যারের এডাল্ট কৌতুকের পুরো মজা নিত অধিকাংশরাই। কথার এমন ফুলঝুরি ফুটতো যে লজ্জায় পাশের বান্ধবীর দিকেই তাকাতে পারতাম না। তাও আবার কম্বাইন্ড কোচিং! যেই আমরা আজীবন গার্লস স্কুলে পড়ে, গার্লস কলেজে ভর্তি হয়ে নিজেকে আদর্শ নারী গঠনের ব্রতচারী সেখানে ছেলেদের পাশের সারিতে বসে স্যারের মুখের উদ্ভট ফুলঝুরি! স্যারের কথা শুনে যেন মাঝে মাঝে লজ্জায় পালিয়ে যেতে চাইতাম। কিন্তু হায়! পালাবো কি করে? দুজনের বেঞ্চে তিনজন গায়ে লেগে লেগে বসতাম এত ছাত্র-ছাত্রী।
স্যারের যোগ্যতা অবশ্য প্রশংসনীয় কিন্তু সমস্যা এক জায়গাতেই। তিনি ওভার ম্যাচিউর! যে কথাগুলো শুনলে লজ্জায় কান ঝলসে মাথায় আগুন জ্বলে উঠত সে কথায় অ্যাডভান্স ছেলেমেয়েরা আনন্দে গর্জে উঠত! ভয়ে তো স্যারকে কোন প্রশ্নই করতাম না। না জানি উত্তর দিতে গিয়ে কি থেকে কি উদাহরণ দিয়ে বসেন আর লজ্জায় মাথা কাটা যাক। তারপরও স্যারের সকল উপদ্রব সহ্য করে যেতাম। কারণ শিক্ষক হিসেবে উনি অসাধারণ। কিন্তু হায়! একি পড়ায়! ইংরেজি একাডেমিক কোর্স রেখে ফার্স্ট ইয়ারেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কোর্স পরাচ্ছেন!তাহলে এইচএসসি পরীক্ষায় কি লিখব? ভর্তি পরীক্ষার উত্তর! সবাই তো বাহবা দিতে দিতে অজ্ঞান! কি অ্যাডভান্সড মাস্টার! আমার তো এক্কেবারে আন্ডা মনে হল। আজও যদি কোথাও স্যারকে পাই তো পচা ডিম ছুড়ে মারবো! অবশেষে একমাস উপদ্রব সয়ে ইতি টেনে বাঁচলাম। বাপরে! সে কি বিচিত্র অভিজ্ঞতা! কিন্তু এখানেই শেষ নয় বিচিত্র অভিজ্ঞতার মাত্র শুরু হল।
নিরব স্যারের কোচিং ছেড়ে বেরিয়ে পড়লাম ইংরেজি কোচিং এর খোঁজে। কিন্তু একি! যেখানেই যাই সেখানেই দেখি বিজ্ঞপ্তি, নিবিড় স্যারের ইংরেজি কোচিং! নিবিড় স্যারের ইংরেজি কোচিং!! কি মুশকিল! নিবিড় দেখলেই তো নিরব স্যারের কথা মনে পড়ে যায়। কেননা সেই কোচিংয়ে বিখ্যাত দুজন ছিলেন, একজন নিরব স্যার আরেকজন নিবিড় নামের একটি ছেলে। নিরব স্যার যেমন কথার ফুলঝুরি দিয়ে সাঁড়াশে আক্রমণ করতেন তেমনি নিবিড় নামের ছেলেটির বিচিত্র জীবনযাপন দেখে যেন আকাশ থেকে পড়তাম। অর্থাৎ চরিত্রের বিশাল গোলযোগ চোখে পড়ার মতো। এত্তগুলো ছেলেমেয়ের মাঝে কারো সাথে কথাই কয়না! শুধুমাত্র একটা বান্ধবী ছাড়া! ওইটা বান্ধবী না গার্লফ্রেন্ড না বউ তা ওরাই ভাল জানে! পড়তে আসে না কি করতে আসে কে জানে! সব ছেলেমেয়ে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকতো ওদের ঢং দেখে। এক্কেবারে আহ্লাদে আটখানা! তবুও ওরা নাকি জাস্ট ফ্রেন্ড! হায়রে! কি বড় মাপের বাটপার! এদের ঢং দেখলে যেন লজ্জায় আরো মরে যেতে চাইতাম। এক্কেবারে গলায় পরেই কথা বলতো।
যাই হোক অবশেষে কলেজের স্যারের কাছে নিয়মিত ইংরেজি পড়া শুরু করলাম। পড়াশোনা, বন্ধুবান্ধব ভালোই চলছে দিনকাল। এরই মধ্যে খেলাম এক ধাক্কা! আগেই বলে রাখি আমার জীবনে বন্ধুবান্ধব বলতে আমার স্কুলের বান্ধবীরাই সবচেয়ে ক্লোজ। যাদের সাথে আজও যোগাযোগ রাখি। তখন নতুন মোবাইল ফোন পেয়ে ভাইবার এ দোদারসে গ্রুপ চ্যাট চলত! সে কি চ্যাট! সময় পেলেই মোবাইল নিয়ে বসে পড়তাম। যেই আমরা বাবা-মায়ের ভয়ে মোবাইল ফোন ছুয়েও দেখতাম না সেই আমরাই নতুন সেলফোন পেয়ে যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেলাম! এক রাতে ঘুম ফাঁকি দিয়ে বান্ধবীর সাথে চ্যাটে মশগুল। এমনই সময় সে একটা ছবি ফরোয়ার্ড করল। বাপরে! ছবি দেখে মাথায় বজ্রপাত হলো! নিরব স্যারের কোচিং এর সেই নিবির নামের ছেলেটি! সাথে আর কেউ না আমারই সবচেয়ে কাছের বান্ধবী সারা! তাও আবার ক্লোজ পিকচার! যেন প্রেমিক-প্রেমিকা! ফিট হতে হতে যেন হুঁশ ফিরে পেলাম। সেদিনও সারার সঙ্গে কথা হলো আর কিছুই জানি না! আচমকা সেই উদ্দীপনা সামলাতে না পেরে বান্ধবীকে রেখেই সারাকে জরুরি তলব করে ফেললাম। ও ফোন রিসিভ করতেই আমি সরাসরি বলে উঠলাম,
- দোস্ত , কবে! কীভাবে! মানে তুই কি আর কোন ছেলে খুঁজে পেলি না? মানে শেষ পর্যন্ত এই নিবিড়?
বলেই আমি হাসিতে ফেটে পড়লাম। ওদিকে আমার বান্ধবী প্রথমটা থতমত খেয়ে রাগে গজগজ করে উঠল। আমাকে এবার ধমক মেরে বলে,
- তুই থামবি? কি শুরু করলি? নিবির আমার জাস্ট ফ্রেন্ড!
কিন্তু কে শুনে কার কথা। আমার হাসি দেখে কে! যে ছেলের ছায়া দেখলেও পচা ডিম ছুড়ে মারতে ইচ্ছা করে সেই ছেলে আমার বান্ধবীর সঙ্গে! পরে ব্যাপারটা একটু সিরিয়াস হয়েই গেল। কেননা ফোনের ওপাশ থেকে সারার রাগে গজগজানির শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। আমিতো অট্টহাসিতে অজ্ঞান আর সারা ভীষণ রেগে যায়। তাই নিজেকে সংযত করে ফেলি। কারণ ব্যাপারটাকে এবার না সামলালেই নয়।
- না মানে দোস্ত নিবিড়ের বেস্ট ফ্রেন্ড ঈশিতার সঙ্গে ওর আচরণ দেখে আমার মনে হয় না যে ছেলে হিসেবে সে তেমন একটা সুবিধার।তাই তোর সাথে ওকে হঠাৎ করে দেখেই শক খেয়ে যাই।
-তো? আমি কি করবো? এটা তোর চিন্তা ভাবনা। জরুরি না সবাই তোর মতই চিন্তা করবে। আর তাছাড়াও তোর তো পৃথিবীর সব ছেলেকে এমন মনে হয়। ( যদিও সত্যি ছেলেদের তখন অসম্ভব রকমের বিরক্ত লাগত। সো কোন আইডিয়াও ছিল না।) তোর চিন্তা ভাবনার সঙ্গে তো আর বাস্তবতা মিলবে না। ও খুব ভালো ছেলে। আর ঈশিতা শুধুই ওর ভালো বন্ধু এন্ড আই এম অল সো হিস ফ্রেন্ড। নাও লিভ মি অ্যালোন অ্যান্ড স্টপ স্মাইল লাইট ফুল।
বলেই ক্যাচ করে ফোন কেটে দিল। আমি তো হতভম্ব! হায় হায়! এত লম্বা ইংরেজি ! এই ইংরেজির জ্বালায় তো জীবনটাই তেজপাতা ! যাইহোক ধমক খেয়ে কৌতুহল সংবরণ করে লম্বা একটা হাই তুলে ঘুমাতে চলে গেলাম। কেননা তখন রাত একটা বাজে এবং সকালে ক্লাস। সো নো কম্প্রোমাইজ উইথ স্টাডি। পরদিন দৈনন্দিন জীবনের মতই কলেজ, কোচিং আর পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। তিন-চারদিন পর হঠাৎ করেই সারা আমার বাসায় চলে এলো। যেটা সে সবসময়ই করে। বলা কওয়া ছাড়াই হঠাৎ টপকে পড়ে। অবশ্য ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বলে কথা। তবুও সেদিন ধমক খেয়ে ভেবেছিলাম এ জন্মে আর আমার মুখও দেখবে না কিন্তু সে অত্যন্ত লক্ষীমেয়ে। বেশিক্ষণ কারো সাথে রাগ করে থাকতে পারে না এবং দুটো কঠিন কথা বলে শান্তিও পায়না। সেদিন আমাকে ধমকে সে এ কয়টা দিন যে অশান্তিতে ছিল তা বুঝতে আমার বাকি ছিল না। কারণ সারা আমার ছোটবেলার বান্ধবী। আমার সঙ্গে রাগ করে থাকা ওর জন্য অসম্ভব। তাই আমি ওকে পেয়ে আগের মতোই মিলেমিশে একাকার। অনেকক্ষণ গল্পগুজব করে কফি খেতে বেরুলাম। গল্পে গল্পে হঠাৎ সারা বলে উঠলো,
- তুই সেদিন নিবিড়ের সঙ্গে আমার ছবি দেখে অমনভাবে হেসে উঠলি কেন? ব্যাপারটা আমার একদমই পছন্দ হয়নি। তাই তোর উপর ভীষণ রেগে গিয়েছিলাম।
আমিতো হঠাৎ এই কথায় হতচকিত। আমি ভাবিনি ওর মনে এখনও সেই প্রশ্ন থাকতে পারে। কারণ কোন কিছুকেই ও এত বেশি পাত্তা দেয় না যে পুনরায় জিজ্ঞেস করবে। মানে এই কয়টা দিন সে এই ব্যাপারটা নিয়েই ভাবছিল! আমি তাই ব্যাপারটাকে একটু স্বাভাবিক করতে চাইলাম,
- একই কোচিংয়ে পড়েছি বলে নিবিড় সম্পর্কে অনেক কিছুই শুনেছি। তাই কিছুটা ধারনা আমার ছিল। তাছাড়া ঈশিতার সাথে ওর আচরণ দেখে ওকে কোনো সহজ ছেলে বলে আমার মনে হয় না। তাই তোর সাথে ওর ছবি দেখে প্রথমে ব্যাপারটাকে নিতে পারিনি।
সারা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আমাকে বলে উঠল,
- না দোস্ত, তুই ভুল করছিস। সে এমন ছেলে না আর তাছাড়া আমি জানি ও খুব ভালো ছেলে। কারন ও আমার ভালো বন্ধু এবং ঈশিতা শুধুই ওর বেস্ট ফ্রেন্ড। অনেক সময় আমাদের ধারণা ভুলও তো হতে পারে, তাই না?
একই কোচিংয়ে পড়ার সুবাদে আমি নিবিড় কে চিনলেও সে আমাকে চেনে না। আর কোন দিন কথাও হয় নি কিন্তু নিবিড় সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারণা আমার মধ্যে ছিল। ততক্ষণে আমি বুঝে গেছি সারার চোখে কাঠের চশমা লেগে গেছে। অথচ ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর এমন নেতিবাচক মনোভাবে সারা ব্যথিত। সারা বুদ্ধিমতি মেয়ে তাই অন্ধবিশ্বাসের ডুবে যাবে সেটিও অবাস্তব। নিবিড় সম্পর্কে আমার ধারণা এবং শোনা কথা ভুলও হতে পারে ভেবে আমি আর কোনো তর্ক করিনি। কেননা অ্যাডভান্স ছেলেমেয়েদের মহলে হয়তো বন্ধুত্ব নামক অতি ঘনিষ্ঠতা স্বাভাবিক বিষয়। তাই নিজের অযোগ্যতা দিয়ে এসব যোগ্য ম্যাচিওর ছেলেমেয়েদের বিচার-বিবেচনা না করাই উত্তম মনে করে আমি সারাকে বলি,
- আমি নিবিড় সম্পর্কে কি মনে করি তা নিয়ে তোকে ভাবতে হবে না। হতে পারে তোর কথাই সঠিক আমি ভুল। কেননা নিবিরের সঙ্গে কোনদিন কথা হয়নি। ও তোর ভালো বন্ধু হতেই পারে। ব্যাপারটাকে আমার স্বাভাবিক ভাবেই নেয়া উচিত। আমার মনে কোন অভিযোগ নেই। তবে হ্যাঁ যদি আমার কাছে কোনদিনও কিছু খটকা লাগে আমি তোকে সতর্ক করবই এবং আমি তা-ই করেছি। এখন এসব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল। নিবিড়ের সঙ্গে আমাকেও পরিচয় করিয়ে দিস, কেমন ?
আমার কথাগুলো শুনে মুহূর্তেই সারার উদ্বিগ্নতা কেটে প্রাণোচ্ছল হাসি চলে এলো।
- অবশ্যই! একদিন আমরা সবাই মিলে অনেক গল্পগুজব করব!
সেদিন কফি খেয়ে যে যার বাড়িতে নিশ্চিন্ত মনে ফিরে এলাম। তারপর মাসখানেক সারার সঙ্গে আর কোন যোগাযোগ নেই। থাকবেই বা কি করে? সামনে এইচএসসি ফাইনাল পরীক্ষা পড়াশোনা নিয়ে এত ব্যস্ত হয়ে পড়েলাম যে, কোন দিকে তাকানোর সুযোগ নেই। আর এমনিতেও আমি পড়াশোনা নিয়ে একটু বেশি কন্সার্ন। যাই হোক পরীক্ষা শুরু হয়ে গেল। এদিকে আমাদের পরিবারের মধ্যমনী 'আমার দাদি' অসুস্থ হয়ে পড়লেন। এবার যেন মনে হল এ যাত্রায় তাকে আর ফিরিয়ে আনা যাবেনা। পারিবারিক এসকল টানাপোড়েনে মন-মানসিকতা এমনভাবে ভেঙে গেল যে বিভ্রান্তিতে পড়ে গেলাম পরীক্ষা দেবো কিনা? তবুও সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও পরীক্ষা দেয়া সম্পূর্ণ হলো। পরীক্ষার এক সপ্তাহ পরেই দাদী আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। মানসিকভাবে যেন আরো ভেঙ্গে পড়লাম।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : গল্পের পরবর্তী অংশটি আগামী দুই দিনের মধ্যেই পোস্ট করা হবে।
আশা করি গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং ধন্যবাদ জানাই প্রিয় ব্লগারদের যারা গল্পটি জন্য আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন। উৎসর্গ করা হল @ আহমেদ জী এস,@ পদাতিক চৌধুরী,@ সাড়ে চুয়াত্তর এবং@ শায়মা আপু
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৫৯