সময়ের সাথে সাথে বাড়ছে প্রতারণার ধরন,
বাড়ছে প্রতারকের সংখ্যা
এবং প্রতারণার স্বীকার মানুষের হাহাকার।
বেশির ভাগ প্রতারণারই শাস্তির বিধান থাকলেও আইনের ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে বেড়িয়ে এসে পুনরায় নতুন করে করে কাউকে টার্গেট করে এসব প্রতারক চক্র।
ঘরে বসেই বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে টাকা ও ডলার উপার্জনের প্রতারণাপূর্ণ আহ্বানে সাড়া দিয়ে এরই মধ্যে নিঃস্ব হয়েছেন দেশের লাখ লাখ যুবক। ঢাকা থেকে শুরু করে রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলি গড়িয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও পৌঁছে গেছে এসব প্রতারকের কালো থাবা। অল্প সময়ে কম বিনিয়োগ ও শ্রমের বিনিময়ে ঘরে বসে মোটা টাকার মালিক হওয়ার লোভে দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেকার যুবক পতঙ্গের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন অর্থ ও মেধা নিয়ে। তবে তাদের শর্টকাটে বড়লোক বনে যাওয়ার অঙ্কুরিত স্বপ্ন আর পল্লবিত হতে পারেনি। লাখ লাখ বেকার যুবক যুবতির
কোটি কোটি টাকা নিয়ে প্রতারকরা এরই মধ্যে সটকে পড়েছে।
এখন হা-হুতাশ করেও কোনো সমাধান মিলছে না
প্রতারিতদের ভাগ্যে। এরই মধ্যে অনেক প্রতারক তাদের
বাড়িঘর ফেলে গ্রাহকদের মোটা অঙ্কের
টাকা নিয়ে আত্মগোপন করেছেন।
এসব অনলাইন প্রতারণার বিষয়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনেক আগে অবহিত করার পরও তারা কেন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি???
প্রতিনিয়ত নিঃস্ব হয়েছে দেশের হাজারো যুবক-যুবতী। অনলাইনে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আয় করতে কোনো অর্থ বিনিয়োগ করার প্রয়োজন নেই। শ্রম ও মেধাই এক্ষেত্রে সম্বল। তবে অনলাইনে আয়ের নামে যারা প্রতারণা করছে তারা সদস্য ফরম পূরণ থেকে শুরু করে সদস্য সংগ্রহে কমিশন পর্যন্ত চালু করেছে,যা কোনোভাবেই আউটসোর্সিংয়ের সংজ্ঞায় পড়ে না।
মূলত আউটসোর্সিং সম্পর্কে অজ্ঞতাই এ ক্ষেত্রে
প্রতারিত হওয়ার মূল কারণ।